হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইরানের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ সংসদ সদস্য সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি গতকাল (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিজয়ী নির্বাচিত হলেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে কেউই এককভাবে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান-অফ পর্বে গড়িয়েছিল। নির্বাচনী নিয়মানুযায়ী এ পর্বে যে সর্বাধিক ভোট পেতেন, সেই হতেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
এ পর্বে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট। অন্যদিকে সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলির প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা এক কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯।
১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তার ঝুলিতে রয়েছে ইরানের দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।
উল্লেখ্য যে, ইরানে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরম থাকায় দিনের বেলা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও সন্ধ্যার পর ভোটারদের সারি বাড়তে থাকে এবং ভোটার উপস্থিতির চাপ থাকায় ভোট গ্রহণের নির্দিষ্ট সময় রাত ৮টা থেকে দুই দফা বাড়িয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার) রাজধানী তেহরানে দিনের প্রথম প্রহরেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আজ একটি ভালো দিন। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে আজ আমাদের প্রিয় জনগণের সক্রিয় হওয়ার দিন, অর্থাৎ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার দিন। ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রিয় জনগণ ভোট দিয়ে সেরা প্রার্থীকে বেছে নেবেন। এই পর্যায়ে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় কাজটি শেষ করবেন। ইনশাআল্লাহ আগামীকাল আমাদের একজন [নির্বাচিত] প্রেসিডেন্ট থাকবে।”