রিপোর্ট: মজিদুল ইসলাম শাহ
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, জিয়ারতে আশুরা অত্যন্ত গুরুত্ব ও ফযিলতপূর্ণ এবং এর হাজারো বরকত রয়েছে।
জিয়ারতে আশুরা এমন একটি বিষয় যা সম্পর্কে কিছু বুযুর্গ ব্যক্তি দাবি করেছেন যে, জিয়ারতে আশুরা হলো হাদিসে কুদসী। হযরত ইমাম বাকির (আ.) এই জিয়ারতে আশুরা একজন একান্ত অনুগত শিয়া ও সাহাবী হযরত সাফওয়ান জামালকে শিক্ষা দিয়েছিলেন।
ইমাম বাকির (আ.) বলেছেন যে "আমাদের শিয়াদের উচিত (পারতপক্ষে) প্রতিদিন এই জিয়ারতটি পাঠ করা" কারণ এই বরকতময় জিয়ারত মানুষের উপর আত্মিক ও আধ্যাতিকভাবে প্রভাব রাখে এবং মানুষের জীবনে এই জিয়ারত বরকত বাড়িয়ে দেয়।
জিয়ারতে আশুরাতে আহলে বাইত (আ.)-এর শত্রুদের প্রতি ঘৃণা ও তাদের আদর্শ ও নানাবিধ শিক্ষা রয়েছে, যা সাধারণত অন্যান্য জিয়ারতে নেই।
কারবালা সংঘটিত হওয়ার কারণে সারা বিশ্বে ইসলামের বাণী আজও প্রোজ্জ্বল ও অগ্রসারমান। এই ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও বেদনাদায়ক হলেও ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও জাগ্রতচিত্তের মানুষের জন্য এর দুনিয়াবি ও পরকালীন গুরুত্ব ও প্রভাব রয়েছে। ঈমানদার মুসলমান ও জাগ্রতচিত্তের মানুষের উচিত কারবালার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জীবন গড়ে তোলা এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার শুকরিয়া আদায় করা।