হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৬ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে। শিশুসহ শহীদ ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারি মিডিয়া অফিস।
মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে জানানো হয়, যুদ্ধে প্রায় ৯০ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এছাড়াও প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, গাজায় খাদ্য, পানীয় ও মানবিক ত্রাণসমগ্রী সরবরাহে ইহুদিবাদী বাহিনীর তীব্র বাধার কারণে সেখানে অপুষ্টির কারণে অন্তত ৩৪ শিশু মারা গেছে, চরম অপুষ্টিতে ভুগছে আরও হাজারো শিশু। এছাড়া, ১৭ হাজার শিশু মা কিংবা বাবা অথবা উভয়কেই হারিয়ে এতিম ও আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনেও হামাসের মিডিয়া অফিসের তথ্যসমূহ উল্লেখ করেছিল।
শীর্ষস্থানীয় ঐ সাময়িকীটি নিজ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেছে, ইসরায়েলের গণহত্যা অভিযানে নিহতের সংখ্যা এক লাখ ৮৬ হাজার বা তারও বেশি হতে পারে, যা গাজার মোট জনসংখ্যার ৭.৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে ল্যানসেট সংযুক্তি করে যে, এই পরিসংখ্যানে ইসরায়েলি হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মৃত্যু এবং গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আল-আকসা তুফান অভিযান শুরুর পর দখলদার ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী অধিকৃত অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা শুরু করে। গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ, বিদ্যুৎ এবং পানির প্রবাহকে কমিয়ে দেয়। ফলে অঞ্চলটিতে মানবিক দুর্যোগ সৃষ্টি হয়েছে।