হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের তেল বা পারমাণবিক স্থাপনায় নয়, বরং তাদের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করবে ইসরায়েল। বাইডেন প্রশাসনকে এ কথা বলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মূলত ইরানের পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা না চালাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর তাই ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের তেল পারমাণবিক স্থাপনা নয়, বরং দেশটির সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করবে বলে বাইডেনকে আশ্বস্ত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত সপ্তাহে বাইডেনের সাথে ফোনালাপের সময় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন দুই কর্মকর্তার বরাতে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
মার্কিন কর্মকর্তা আরও জানান, ইসরায়েল ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ইরানের উপর আক্রমণ চালাতে পারে। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপের অভিযোগ এড়িয়ে প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হতে পারে। কেননা, হামলার প্রকৃতি মার্কিন প্রশাসনে প্রভাব ফেলবে। নেতানিয়াহু সেটা অনুধাবন করেই পদক্ষেপ নেবেন বলে ওই কর্মকর্তার ধারণা।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইরানের তেল ক্ষেত্রে হামলার ফলে জ্বালানির মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে। আর দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করলে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে আত্মসংযমের আর কোনও রেশই থাকবে না। ফলাফল হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী সর্বাত্মক যুদ্ধ ও এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক শক্তির সম্পৃক্ততার আরও বৃদ্ধি।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, কখন ও কীভাবে হামলা চালানো হবে, এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসরায়েল প্রশাসন।
গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে লেবাননেও হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যেই বেশ কয়েকবার ইরান থেকে হামলা হয় ইসরায়েলে। এ নিয়ে ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব চরমে। হামাস ও হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে চলতি মাসে শত শত রকেট হামলা চালায় ইরান। এবারের হামলার পর ইসরায়েল হুঁশিয়ার করে বলছে, ‘কঠোর প্রতিশোধ নেবে তারা।‘