হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি বাংলাদেশে চলমান বিশৃঙ্খলার পেছনে উদ্দেশ্যমূলক ইন্ধন দেখছে সেনাবাহিনী। তবে এই ইন্ধনদাতা কারা তাদের সুনির্দিষ্ট পরিচয় সম্পর্কে সেনাবাহিনী কিছু বলেনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সেনাসদর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল-স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান এসব তথ্য জানান।
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গত দুই সপ্তাহে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, সেনাবাহিনীর পদক্ষেপের কারণে অনেক ঘটনা শেষ পর্যন্ত ঘটছে না। যেগুলো ঘটছে সেগুলোও যেন থেমে যায় সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তবে ছাত্র ও শ্রমিকদের মতো সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে যখন সেনাবাহিনীর শক্তি প্রয়োগের বিষয় আসে তখন অনেক চিন্তা করে এগোয় সেনাবাহিনী। সেজন্য হয়তো অনেকে মনে করতে পারেন যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।
সেনাবাহিনীর অবস্থান থাকার পরেও অনেক ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে আপনাদের গোয়েন্দা তথ্যের কোনো ঘাটতি আছে কী না জানতে চাইলে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, ঘাটতি আছে আমি বলবো না। ইন্টেলিজেন্সের বিষয়ে সবার সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানে না এরকম কোনো ঘটনা হয়নি। যৌথবাহিনীর অভিযান চালাতে গিয়ে অপরাধে জড়িয়েছে এরকম খবর শোনা যায়।
এরকম কতজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আছেন তারা অপরাধে জড়িয়েছেন এরকম ঘটনা হয়তো ঠিক না। তবে কিছু ঘটনা ঘটেছে যেগুলোতে হয়তো সেনা সদস্য বা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আমার কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য এখন নেই। তবে যত অভিযোগ আসছে প্রত্যেকটার তদন্ত হচ্ছে, কিছু তদন্ত শেষ হয়েছে। আমার জানামতে এখানে পাঁচ বছরের থেকে শুরু করে এক বছরের জেল, চাকরি থেকে বরখাস্তসহ বিভিন্নরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইন্ধনদাতা যাদের বলা হচ্ছে তারা আসলে কারা, তাদের বলার মতো কোনো পরিচয় আছে কী না এবং তাদের উদ্দেশ্য কী বলে এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে জানতে চাইলে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, তাদের আইডেন্টিটি এখন এক্সাকটলি বলতে পারবো না। বাট তারা কী চায় সেটা আপনি-আমি সবাই জানি। তারা দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। এটা এক ধরণের মোটিভ (উদ্দেশ্য) আছে এটা বলছি না, একেকজনের একেক ধরণের মোটিভ থাকতে পারে। এখানে ব্যক্তিস্বার্থ থাকতে পারে, সামষ্টিক স্বার্থ থাকতে পারে। এ ধরণের ইন্ধনদাতা থাকবেই, এটা শুধুমাত্র বর্তমান পরিস্থিতিতে না, যেকোনো দেশ যখন শান্তিকালীন পরিস্থিতিতে থাকে তখনও এরকম অনেক ধরনের হতে পারে। একটা দেশ যখন চলে তখন অনেক রকমের বিষয় থাকে-ব্যক্তিগত, সাংগঠনিক। ইন্ধনদাতারা সবসময় ছিল, থাকবে। কিন্তু আমরা যারা সাধারণ জনতা তাদের দায়িত্ব হচ্ছে ইন্ধনে প্ররোচিত না হওয়া।