হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ধর্মীয় শহর কোমে হযরত মাসুমা (সা.)-এর মাজার শরীফের খতিব হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন নাসির রাফেঈ বলেন, রেওয়ায়েত অনুযায়ী একজন পুরুষ মানুষকে সদাচরণশীল, উদার ও পরিবারের প্রতি সম্মানশীল হতে হবে; যদি এই তিনটি গুণ ঘরোয়া ও পারিবারিক জীবনে অবলম্বন করা হয়, তাহলে বিবাহবিচ্ছেদের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে।
হুজ্জাতুল ইসলাম রাফেঈ তার বক্তৃতায় বলেন, যে হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)-এর দশটিরও বেশি উপাধি রয়েছে এবং প্রতিটি উপাধি তাঁর একটি নির্দিষ্ট গুণ নির্দেশ করে। এই উপাধিগুলির মধ্যে একটি হলো ‘হানিয়া’, যার অর্থ মমতা ও করুণাময়। তিনি বলেন, হযরত যাহরা তার পিতা-মাতা, স্বামী, সন্তান, প্রতিবেশী এবং অন্যান্য লোকদের সঙ্গে অত্যন্ত স্নেহ ও মমতাপূর্ণ আচরণ করতেন।
কুরআনের শিক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিতা-মাতা জীবিত হোক বা মৃত, তাদের প্রতি সদয়তার আদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করা দুনিয়া ও আখেরাতের বরকতের উৎস।
হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)-এর বিবাহিত জীবনের উদাহরণ দিয়ে হুজ্জাতুল ইসলাম রাফেঈ বলেন, তিনি তাঁর স্বামী হযরত আলী (আ.)-এর সঙ্গে অত্যন্ত ভালোবাসা ও ধৈর্যের সঙ্গে আচার-ব্যবহার করতেন এবং কখনো তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। মানব ইতিহাস ও সংস্কৃতি বলে যে, উত্তম মানুষ তারাই যারা রাগ করতে দেরী করে এবং দ্রুত মিটমাট করে, বিশেষ করে বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
তিনি বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে, পুরুষদের উচিত তাদের পরিবারের প্রতি উত্তম আচরণ, উদারতা এবং সম্মান প্রদর্শন করা। পুরুষের এই তিনটি গুণাবলী শান্তিপূর্ণ সংসারের কারণ হতে পারে এবং পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদ হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।
বক্তব্যের পরিশেষে হুজ্জাতুল ইসলাম রাফেঈ বলেন, হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) একজন সাধারণ নারী নন বরং পরিবারের জন্য পবিত্রতা ও সতীত্বের মডেল। তার ব্যক্তিত্ব আল্লাহর নিকট অত্যন্ত উচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং তার জীবন প্রতিটি মুসলমানের জন্য আদর্শিক আলোর বাতিঘর।