হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, নবীপাকের আনিত তৌহিদ, নবীপাকের আনিত দ্বীন ইসলাম, নবীপাকের আনিত নিজের রিসালতসহ নবীপাকের মারেফত যদি কেউ বুঝে গ্রহন করতে চাই তাহলে উম্মাত'কে সর্বপ্রথম মওলা আলী (আঃ)-কে বুঝতে হবে, তাঁর মারেফত ঢুবতে হবে ৷
তবে আপনি নবীপাককে বুঝতে সক্ষম হবেন, তবে আপনি দ্বীন কি তা বুঝতে পারবেন, তবে আপনি আল্লাহর তৌহিদ কি বুঝতে পারবেন ৷ তবে আপনি কাবার গুরুত্ব বুঝত সক্ষম হবেন, তবে আপনি এবাদত কি তা বুঝতে পারবেন ৷ তবে আপনি মানূষ সৃষ্টির রহস্য তা বুঝতে পারবেন ৷
মাওলা আলী (আঃ) হচ্ছেন জীবন্ত কোরআন এবং সকল আসমানী কিতাব সমুহে রহস্যের গুপ্ত ভান্ডার।
হযরত উসমান (র:)'র খেলাফত কালে যখন মুদ্রিত কোরআন মাওলা আলী (আঃ) 'এর খেদমতে নিবেদন করা হয়, তখন মাওলা আলী(আঃ) বলেছিলেন......
"হাজ্বাল কোরআনু সামিতুন ওয়া আনা কোরআনু নাতিকুন ।
অর্থাৎ :- এ হলো নির্বাক (বাক শক্তিহীন) কোরআন, আর আমি হলাম জীবন্ত (নাতিক, জিন্দা) কোরআন ।
সিফফিন যুদ্ধে মুয়াবিয়া যখন পবিত্র কোরআনকে বর্শার আগায় গেঁধে নিজের পিট বাঁচাবার জন্য সন্ধি চায়ছিল, তখন মওলা আলী (আঃ) বললেনঃ "হাজ্বাল কোরআনু সামিতুন ওয়া আনা কোরআনু নাতিকুন ।
অর্থাৎ :- এ হলো নির্বাক (বাক শক্তিহীন) কোরআন, আর আমি হলাম জীবন্ত (নাতিক, জিন্দা) কোরআন ।
কাবার অভ্যন্তরে মওলা জন্ম নিলেন, তিনদিনের শিশু মওলা আলী পড়তে লাগলেন কোরআন থেকে, তওরাত থেকে, ইঞ্জিল থেকে, জব্বুর থেকে ৷
ইমাম হুসাইন (আঃ)এর কাটা মাথা বর্শায় আগায়ে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছিল, আর মওলা হুসাইন আঃএর কাটা মাথা থেকে পবিত্র কোরআনের তেলায়তের আওয়াজ আসছিল ৷
علم أن جميع أسرار الكتب السماوية في القرآن، وجميع
،مافي القران في الفا تحة، وجميع ما في الفاتحة في البسملة
ما في باء
البسملة في النقطة التي هي تحت الباء، قال الامام علي ) کرم
ال له وجه ه(: أنا النقطة التي تحتالباء
ما في البسملة في باء البسملة
অর্থাৎ হযরত আলী ইবনে ইমরান (আঃ) বলেছেন- হে ইবনে আব্বাস!
সকল আসমানী কিতাবের রহস্য একমাত্র কোরআন
মাজিদে আছে এবং সমগ্র কুরআন মাজিদে যা আছে তা একমাত্র সূরা ফাতিহাতেই আছে, সূরা ফাতিহায় যা আছে তা বিসমিল্লাহ এর মধ্যে আছে, আর বিসমিল্লাহ তে যে বা (ب) অক্ষর আছে, তার নিচে একটা নুকতা (বিন্দু.) আছে, আমি (আলী) সেই নুকতা।
তথ্যসূত্রঃ-[ইয়া মুকাললেবুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-৪৬] [ইমাম কানদুজি : ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাহ, খন্ডঃ- ১ পৃষ্টাঃ-৩৭১, ৩৭৭]
উল্লেখ এক মোল্লাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলোঃ "রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মর্যাদা বেশি না পবিত্র কোরআনের মর্যাদা বেশি ??
মূর্খ মোল্লাটি বলেছিলোঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইন্তেকাল করেছেন, আর সেক্ষেত্রে কোরআন কোন মৃত্যু নেই, ....... তাই পবিত্র কোরআন মর্যাদা বেশি ৷
অথচ মাওলা আলী (আঃ) বলেন এই চামড়ায় লিপিবদ্ধ কোরআন নির্বাক, বোবা, কথা বলতে পারেনা ৷
আর আমি জীবন্ত কোরআন ৷"
আল্লাহ পাক বলেনঃ আমি কোরআন সংরক্ষণ করে রেখেছি লোহে মাহফুজে, যা আল্লাহ আরশের নিচে, আর আমার নবী (সাঃ) আল্লাহ আরশ আজিমে জুতো মোবারক নিয়ে গমন করেন ৷
.......তাই, নবী (সঃ)-কে তুমি কি বুঝবে ?? আগে তাঁর আহলে বাইতকে বোঝো, তারপর নবী সঃকে বুঝতে সক্ষম হবে ৷ না হলে তোমার নবী হবে ৪০ বছর পর, তোমার নবী মাঝে মাঝে ভুল নামাজ পড়াতো, তোমার নবীর সিনাচাক করতে লাগবে ৷
কিন্তু আমার নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ), হযরত আলী'র থেকে মর্যাদাবান ৷ হযরত আলী তো মুহাম্মাদ সঃএর গোলাম, খাদেম ও তাঁর আহলে বাইত ৷
নবী সঃকে যদি চিনতে চাও ...তাহলে আগে মওলা আলীকে চেনো, আগে মওলা আলীর মারেফত বোঝ ৷
মওলা আলী (আঃ)-এর মারেফতের মধ্যে কিছু মারেফত হলঃ
(১) মওলা আলী আঃ হলেন নবীপাকের জ্ঞান নগরীর দ্বার ৷
(২) মওলা আলী (আঃ) হলেনঃ জীবন্ত কোরআন, বরং পবিত্র কোরআন বুঝতে হলেও মওলা আলীকে বুঝতে হবে ৷
(৩) মওলা আলী আঃ হলেন মাসুম ব্যক্তিত্ব ৷ আল্লাহর ওলী, আলীউন ওলী উল্লাহ ৷
(৪) মওলা আলীর মাধ্যমেই মুমিনের পরিচয়, আর অপরদিকে মুনাফেকের পরিচয় ৷
(৫) মওলা আলীর বেলায়তের ঘোষণার মাধ্যমে সকল নবীর দ্বীন, সকল আসমানী কিতাবের জ্ঞান পরিপূর্ণতা লাভ করেছে ৷
(৬) মওলা আলী'কে বুঝলে তবেই রাজ্য রাজনীতি ক্ষমতা প্রসাশন দক্ষতা ইত্যাদি বুঝতে পারবে, কারন মওলা আলী হলেন কোরআনের উলিল আমর ৷
(৭) মওলা আলী আঃকে বুঝলে তবেই আর ১১ ইমামকে বুঝতে পারবে, এমন কি ইমাম মাহদী আঃকেও বুঝতে পারবে ৷
তুমি নবী সঃকে বুঝবে ?? যখন মওলাকে বুঝতে পারো নি, তুমি মাহদী আঃকে কি চিনবে, যখন মওলা আলীকে চনতে পারবো নি !!
জন্য আল্লাহপাক বলেছেনঃ "যদি মানূষ আলীর ভালোবাসায় ঐক্য স্থাপন করতো, তাহলে জাহান্নাম সৃষ্টি করার দরকার ছিল না ৷
লেখা: মুস্তাক আহমদ (সত্যের পথে)