جمعہ 21 اپریل 2023 - 16:16
শিশুদের প্রতি নবীজীর মমতা

হাওজা / এক সময় পশ্চিমা চিকিৎসা শাস্ত্র ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে ( ইলম - ই তেব্ব ও ইলম - ই বেহদশতে ঘার্বী ) চুম্বন দেওয়া অস্বাস্থ্যকর মনে করে নিরুৎসাহিত করা হত ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন চুমু খেতে হবে, চুমু খাওয়ার বিকল্প নেই এক সময় পশ্চিমা চিকিৎসা শাস্ত্র ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে ( ইলম - ই তেব্ব ও ইলম - ই বেহদশতে ঘার্বী ) চুম্বন দেওয়া অস্বাস্থ্যকর মনে করে নিরুৎসাহিত করা হত ।

কারণ এর ফলে নাকি একে অন্যের মধ্যে রোগজীবাণু চলে যাবে এবং লোকজনের মধ্যে সংক্রামক রোগ ও ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ও বিস্তার ঘটবে !!! তাই চুম্বন অবৈজ্ঞানিক, অস্বাস্থ্যকর ও সেকেলেপনা বলে মনে করা হত তথাকথিত পশ্চিমা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে । অথচ এখন বৈজ্ঞানিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা ! পারস্পরিক চুম্বনের রয়েছে মেলা ফায়দা ও উপকারিতা।

যেমন : উদ্বেগ হ্রাস পাওয়া , দাঁতের ও মুখের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা , মন ভালো থাকা , জীবনসঙ্গীর ( স্বামী - স্ত্রী) সাথে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি , মুখের আদর্শ ব্যায়াম ( মুখের অন্ততঃ ৩০ টি পেশী সচল হয় চুম্বন প্রক্রিয়ায় এবং প্রতি মিনিটে ২৬ ক্যালোরি এনার্জি খরচ ও ব্যয় হয় চুম্বনে ) , রক্তচাপ কমা , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বয়সের ছাপ হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি ।

ইসলাম ও পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে মুমিনগণ পরস্পর ভাই ও বন্ধু ( ওয়ালী ) । আর তাদের ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের প্রতীক ও বহি:প্রকাশের এক অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পারস্পরিক চুম্বন। মহানবীর ( সা ) হাদীস, সুন্নত ও সীরতে , আহলুল বাইতের সীরতে এবং সাহাবাসহ মুসলিম উম্মাহর রীতিনীতিতে পারস্পরিক চুম্বনের ঐতিহ্য রয়েছে যার মাধ্যমে পারস্পরিক ভালোবাসা ( মহব্বত ) , সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিরই বহি:প্রকাশ ঘটে এবং তা ( চুম্বন ) পারস্পরিক আন্তরিকতা , ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধন গভীর , প্রগাঢ় , অটুট ও দৃঢ় হতে সাহায্য করে । আমাদের উচিত মহানবী (সা) ও তাঁর পবিত্র আহলুল বাইতের (আ) সুন্নাহ , সীরাত, ঐতিহ্য এবং জীবন ধারা থেকে শিক্ষা নেয়া ; পশ্চিমা আঁতেল লাইফস্টাইল ও ঐতিহ্য থেকে নয়।

لیبلز

آپ کا تبصرہ

You are replying to: .