۲۶ آذر ۱۴۰۳ |۱۴ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 16, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ হুসাইন মোমিনি
হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ হুসাইন মোমিনি

হাওজা / হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ হুসাইন মোমিনি আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি জ্ঞান ও ভালোবাসাকে মানুষের সৌভাগ্যের উৎস হিসেবে বর্ণনা করে বলেন যে, হযরত উম্মুল বানীন (সা.আ.) তাঁর সমস্ত ভালোবাসা আল্লাহর পথে উৎসর্গ করেছিলেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ধর্মীয় শহর কোমে অবস্থিত হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.) পবিত্র মাজার শরীফে দেয়া এক বক্তৃতায় হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ হুসাইন মুমিনি বলেন, পবিত্র কুরআন, মাসুম ইমামগণের বাণী, দোয়া ও জিয়ারতনামা বিশেষ করে জামিউল কাবীরে আহলে বাইতের (আ.)’র মারেফাত এবং মহব্বতের অশেষ গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে।

তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি তার ইবাদত ও আনুগত্যের সঙ্গে এই দুটি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করেন, তাহলে সে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জন করবেন। মারেফাত ও মহব্বত (ভালোবাসা) একজন ব্যক্তিকে দৃঢ় ঈমানের সঙ্গে পাহাড়ের মতো অবিচল রাখতে পারে।

হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুমিনি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, আল্লাহ মানুষকে তার প্রকৃত মারেফাতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন এবং যে এই মারেফাত অর্জন করে সে আল্লাহর প্রকৃত বান্দা হয়। এ ধরনের বান্দা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো থেকে মুখাপেক্ষী হয় না।

তিনি আরো বলেন, আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করা এবং তাঁর নিষেধকে এড়িয়ে চলা আল্লাহর প্রতি মানুষের মারেফাত (জ্ঞান) ও ভালোবাসার ফল এবং এগুলোই হলো দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্যের মাধ্যম।

হযরত সাইয়্যিদুশ শুহাদা ইমাম হোসাইন (আ.)-এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: কারবালার ঘটনায় কঠিনতম পরীক্ষা সত্ত্বেও ইমাম হোসাইন (আ.) আল্লাহর আদেশের প্রতি সম্পূর্ণরুপে আনুগত্যশীল ছিলেন।

তিনি আল্লাহর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মারেফাতকে ঈমানের ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করে বলেন যে, আল্লাহর রাসূলের সকল বাণীই আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং চৌদ্দ মাসুমের (আ.) প্রতি নিরঙ্কুশ প্রেম-ভালোবাসাই মানুষকে ঐশ্বরিকতার দিকে নিয়ে যায়।

হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুমিনি হযরত উম্মুল বানীন (সা.আ.)-এর কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, ইতিহাসে এই মহীয়সী নারীর নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে, যিনি হযরত ফাতিমা যাহরা (রা.)-এর পর তার সন্তানদের লালনপালন করেন এবং নিজে এমন একটি পরিবার গড়ে তুলেন যে পরিবারের সদস্যরা কারবালার ঘটনায় মহান আত্মত্যাগ করেছেন।

তিনি বলেন, আহলে বাইত (আ.)-এর জন্য হযরত উম্মুল বানীন (সা.আ.)-এর ভালোবাসা ও মারেফাত ছিল পরিপূর্ণ ও সুদৃঢ় এবং তিনি তাঁর পুরো জীবনকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .