۱۴ تیر ۱۴۰۳ |۲۷ ذیحجهٔ ۱۴۴۵ | Jul 4, 2024
ফিলিস্তিনি আহত বৃদ্ধা মাকে সন্তানের সামনেই পিষে দিল ইসরায়েলি ট্যাংক
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইহুদীবাদী বাহিনী

হাওজা / গাজা উপত্যকায় একের পর এক নৃশংস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে দখলদার দেশ ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।



হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় একের পর এক নৃশংস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে দখলদার দেশ ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। উপত্যকাটিতে গণহত্যার পাশাপাশি বর্বরতার সীমা ছাড়িয়েছে তারা।

গাজাতে আহত এক ফিলিস্তিনিকে গাড়ির সামনে বেধে নিয়ে গাড়ি চালানো, বৃদ্ধা নারীর উপর ভয়ানক কুকুর লেলিয়ে দেয়ার ঘটনার পর এবার সন্তানের সামনেই আহত এক মায়ের ওপর দিয়ে ইসরায়েলি ট্যাংক চালানোর মত বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছে দখলদার বাহিনী।

৩০ জুন, রোববার এ তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার পর্যবেক্ষনকারী সংস্থা ইউরো মেড। প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা গাজার এক পরিবারের সাথে ইসরায়েলের এমন বর্বরতার অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে।

ইউরোমেড জানায়, গাজার আল-শুজাইয়া শহরে বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযান ও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত বৃহস্পতিবার এক বয়স্ক নারীর বাড়িতে বোমা ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। ওই বাড়িতে ৬৫ বছর বয়সী সাফিয়া হাসান মুসা আল-জামাল তার চার সন্তান এবং দেড় বছরের নাতনি নিয়ে থাকতেন।

হামলার পর তাদের সবাইকে বোমাবর্ষণের মধ্যেই আহত অবস্থায় বাইরে ইসরায়েলি ট্যাংকের কাছে মানব ঢাল হিসেবে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখা হয়। সে সময় রাস্তায় আহত পড়েছিলেন সাফিয়া। এ সময় সন্তানরা তাদের মাকে হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও ইসরায়েলি সেনারা তাদের মায়ের ওপর দিয়ে ট্যাংক চালিয়ে নিয়ে যায়। সাফিয়ার ছেলে মুহান্নাদ আল-জামাল ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।

মুহান্নাদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির আল-শুজাইয়া শহরে প্রবেশ করে। তারা ক্রমাগত গুলি ও বোমা বর্ষন করছিল। এসব থেকে বাঁচতে তার মা, তিন বোন ও তাদের সন্তানরা ভবনের নিচ তলায় চলে আসেন।

সন্ধ্যার পর মুহান্নাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ইসরায়েলি সেনারা। বাড়িতে ঢুকেই ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ শুরু করে তারা। এছাড়া মুহান্নাদসহ সবার ওপর নির্যাতন চালায় সেনারা। এতে মুহান্নাস ও তার মা আহত হন।

মুহান্নাদের বোন আরেজি এই মানবাধিকার সংস্থাটিকে জানিয়েছেন, তাদের মাকে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এক নারী সেনা। এরপর বলা হয় তাদের মাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।

মুহান্নাদ জানিয়েছেন, এরপর তাকে এবং তার মাকে ট্যাংকে করে নিয়ে যাওয়া হয় মুস্তাহা চত্বরে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তার মাকে রাস্তায় শোয়ানো হয়। এরপর তার ওপর দিয়ে চলে যায় একটি ট্যাংক। এতে নিহত হয় মুহান্নাদের মা।

ভয়াবহ সেই ঘটনার কথা মনে করে মুহান্নাদ বলেন, “যখন আমি এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করি আমার মনে হয়েছিল আমি পাগল হয়ে গেছি। আমি চিৎকার ও কাঁদা শুরু করি। সেখানে তখন গোলাগুলি শুরু হলে আমি পালিয়ে যাই।”

ইউরো-মেড এর আগেও ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি সামরিক ট্যাংক চালিয়ে হত্যা করার অনেক ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .