হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার কর্মী মিস ডাঃ দিনা সুলেমান ৩৮তম আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিয়ন সম্মেলনের প্রথম অনলাইন সম্মেলনে তার বক্তৃতায় বলেছেন ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইহুদিবাদী শাসনের গণহত্যা ব্যাপকভাবে ইসরায়েলপন্থী মিডিয়া এবং রাজনীতিবিদদের দ্বারা কভার করা হয়েছে।
সুলেমান যোগ করেছেন যে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহির দাবিতে সারা বিশ্বে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এখন সচেতনতা বাড়ছে এবং শান্তি ও আলোচনা অর্থহীন হয়ে পড়েছে। কারণ সবাই জানে যে ইসরায়েলকে শান্তি ও আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো যাবে না।
তিনি বলেন, গাজা গণহত্যার পর ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইসলামি বিশ্বের অনেক দেশ পঙ্গু হয়ে গেছে, ইসরায়েলের অপরাধ বন্ধে তাদের নীরবতা ও অনীহা এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করেছে।
ডাঃ দিনা সুলেমান জোর দিয়েছেন যে বিশ্ব ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের একটি নতুন প্রজন্মের উত্থান প্রত্যক্ষ করছে, যার একটি কার্যকর কৌশল রয়েছে যেখানে বিপুল সংখ্যক বাহিনী, সীমাহীন অস্ত্র এবং অসীম সাহস রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ান কর্মী জিজ্ঞাসা করেছেন যে সুবিধাবঞ্চিতদের পক্ষে এত শক্তিশালী ক্ষমতা থাকা এবং ইসরায়েলিদের পশ্চিমা সমর্থনে ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকা কীভাবে সম্ভব?
তিনি জোর দিয়েছেন যে ইসরাইল নিজেকে ধ্বংস করছে, কিন্তু ইজরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য মুসলমানদের একসাথে আরও অনেক কিছু করতে হবে, কারণ এটি কেবল একটি ফিলিস্তিনি সমস্যা নয়, এটি একটি ইসলামী সমস্যা।
ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ এখনও অবরোধের মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন।
তিনি বলেন, জেরুজালেমে গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে, যে কারণে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ফিলিস্তিনের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ।
ডঃ দিনা সুলেমান ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করার জন্য মুসলমানদের কর্তব্যের উপর জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে প্রতিটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত।
অবশেষে, ইন্দোনেশিয়ান কর্মী যোগ করেছেন যে আমাদের অবশ্যই শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতি ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে ইসলামী সহযোগিতার সীমা সংশোধন করতে হবে। কারণ একসাথে কাজ করে আমরা আমাদের সমাজকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি এবং আমাদের সাধারণ স্বার্থ রক্ষা করতে পারি।