۲۳ آذر ۱۴۰۳ |۱۱ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 13, 2024
তাহলে ইরান কি ইজরাঈলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ?? 
ইরান ও ইসরায়েল

হাওজা / ইরান ও ইজরাঈল এক অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কেন করবে না।

রিপোর্ট: মুস্তাক আহমদ

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, তাহলে ইরান কি ইজরাঈলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ?? অথবা প্রশ্নটি যদি ঘুরিয়ে করা হয় - তাহলে ইজরাঈল কি ইরানে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ??

দু'টি প্রশ্নের জবাব একটি শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ, সেই একটি জবাব হলো 'না' ৷ ইরান ইজরাঈলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না, আর ইজরাঈলও ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না ৷

তাহলে আর একটি বড় প্রশ্ন রয়ে গেলো,...
তাহলে এই যে ব্যালেস্টিক মিশাইল, বোমা গুলি-গালার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে.
(১) এগুলি'কি যুদ্ধ নয় ?
(২) তাহলে এগুলি কি চলছে ?
জবাব হলোঃ এগুলি যুদ্ধের কোন কিছুই নয়৷

বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে এই মুহুর্তে পুরো দুনিয়া'কে দুটি প্রন্থি'কে আমরা দেখতে পাচ্ছি ৷
(এক) ফিলিস্তিন প্রন্থি
(দুই) জায়োনিষ্ট প্রন্থি

(এক) ফিলিস্তিন প্রন্থির মধ্যে আছে, - ইরান, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়ামেন ও বিশ্বের কিছু আহলে বাইত প্রেমী মানুষ৷

(দুই) জায়োনিষ্ট প্রন্থির মধ্যে অবস্থান করছে, - ইজরাঈল, আমেরিকা, জর্ডন, সৌদি আরব ও সৌদি সমর্থক দেশগুলি, ফ্রান্স, জার্মান, তুর্কী, ন্যাটোসহ বিশ্বের আরও বিভিন্ন দেশ ও দেশের ৯০% মানুষ৷

এখন এই দুই প্রন্থির আনুপাতিক পরিসংখ্যা হিসেব করলে মোটামুটি বোঝা যাবে ফিলিস্তিন প্রন্থিরা মাত্র ১৫%
বাকি জায়োনিষ্ট প্রন্থি আনুপাতি পরিসংখ্যায় মোটামুটি ৮৫%
এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিন প্রন্থির নেতৃত্বে থাকা ইরান তাই কোনদিন যুদ্ধের কথা ভাবে না, ইরান যেটি করছে তাহল জায়োনিষ্ট প্রন্থিদের জালেমদের সাহায্য করছে মাত্র ৷ আপনি বলবেনঃ এটা আবার কী কথা, ইরান জালেমদের কিভাবে সাহায্য করছে ??

হ্যাঁ, এটাই আসল কথা৷ আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর নির্দেশ ছিল, যখন জুলুম দেখবে, তখন মজলুম'কে সাহায্য করার সাথে সাথে জালেম'কেও সাহায্য করবে৷ এ প্রসঙ্গে উপস্থিত সাহাবীদের পাল্টা প্রশ্ন ছিল, মজলুম'কে না হয় সাহায্য করবো -সেটা বুঝলাম৷ কিন্তু জালেমকে কিভাবে সাহায্য করবো??
সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে, আল্লাহর রসুল (সঃ) বললেনঃ এক্ষেত্রে জালেমের হাত'কে ধরে ফেলবে৷ যাতে সে যে হাত দিয়ে জুলুম করছে, যেন আর না জুলুম করতে পারে৷

ফিলিস্তিন প্রন্থি ইরান তাই বিগত ৩০-৩৫ বছর ধরে এই হাদিসটির অনুসরণ করে আসছে৷
এ প্রসঙ্গে ইরান বার বার হুমকি দিয়েছে, কিন্তু আগ বাড়িয়ে কোনদিন ইজরাঈলের উপরে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়নি৷ ইরানের বার বার হুমকি শুনে, বিশ্বের পন্ডিত মহল ইরানের হুমকি'কে- "ফাঁকা হুমকি", "ফাঁকা বুলি" শব্দে ব্যাঙ্গ করছে, বা তামাশা করেছে৷ এই ব্যাঙ্গ শুনে ইরানের কিছু যায় আসেনি৷

কিন্তু ইরান ইজরাঈলের উপরে তখনই মিশাইল ছুড়েছে, যখন ইজরাঈল তাদের কোন নেতা বা বিজ্ঞানীদের গুপ্ত হত্যা করেছে৷
— একে বলে মারের বদলে মার, ইরান কিন্তু কখনই আগে ভাগে মারতে যায়নি, আর ভবিষ্যতেও যাবে না ৷

মন রাখা দরকার ইসলাম কখনই আগে কাউকে মারতে যায় না, তবে মারতে এলে তোমার মারের বদলা দেওয়া হবে ৷
গতকাল ১-লা অক্টোবর'২৪ ইরান যে ব্যালেস্টিক মিশাইল ইজরাঈলের উপরে ছুড়লো, এটা মোটেও যুদ্ধ নয় বা যুদ্ধের কোন অংশও নয়, বরং এই ব্যালেস্টিক মিশাইল ছোড়ার মূলত কারন 'বদলা' ৷ হিজবুল্লাহ ও হামাস প্রধানের হত্যার বদলা ছিল৷ আবারও বলছি, এটা যুদ্ধ নয়৷

এই মুহুর্তে ইরানের বিন্দুমাত্র পরিকল্পনা নেই ইজরাঈলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার৷ এতে ইরানের সময় নষ্ট, কারন হাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকী আছে৷

আসলে ইরান যেটা করছে তাহলঃ
(১) ফিলিস্তিন প্রন্থিদের রক্ষা করা ও শত্রুদের মনে ভয় ধরানো৷
(২) বদলার সময় মিশাইলের মধ্যমে শত্রুদের সামরিক স্থানগুলোকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করে দেওয়া, গতকাল ইরান ইজরাঈলের মিশাইল ছুড়ে সেটাই করেছে৷
ইরান ইজরাঈলের ২০-টির মত F-35 জেট বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি বিমান বন্দরের ক্ষতি করছে৷
আরও লক্ষ্যণীয় গতকাল ইরান কোন বে-সামরিক স্থানে একটিও হামলা করেনি ৷
—এর মানে কী ?? এর মানে হল ঈমান, মনে রাখতে হবে ফিলিস্তিন প্রন্থি ইরান দেশ বা ভূমি লড়াইয়ে নামেনি৷ যেটা ইজরাঈল বা তাদের মত লোকেরা ভাবে৷
তবে সোসাল মিডিয়াতে বে-সামরিক স্থানে হামলার যে ছবিগুলি শত্রুদের মিডিয়া দেখাচ্ছে এসব শুধুমাত্র যুদ্ধ পরিস্থিতিকে উঁসকে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা মাত্র ৷ এসব মিথ্যা ও প্রগাপ্রন্ডা৷
তাহলে আর একটি প্রশ্ন বাকী রইলো, তাহলে ইজরাঈল কি যুদ্ধ করবে না ?? না ইজরাঈলও যুদ্ধ করবে না ৷ সে যেটা করবে তাহল, ফিলিস্তিন প্রন্থি ইরানীদের নেতা ও বিজ্ঞানীদের গুপ্তহত্যা করা৷ যেটা কাপুরুষের কাজ৷ চোখে চোখ রেখে আমেরিকা ও ইজরাঈল কোনদিন ইরানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে নামবে না ৷

تبصرہ ارسال

You are replying to: .