হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, যদিও তুর্কি রাষ্ট্রনায়ক রজব তৈয়ব এরদোয়ান বরাবরই মুখে ইসরায়েল বিরোধী হুমকি-ধমকি উচ্চারণ তবুও তা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক সম্পর্কে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। সম্প্রতি যদিও তুর্কি রাষ্ট্রনায়করা দাবি করেছেন যে তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর কাছে ইস্পাত রপ্তানি সীমিত করেছে তবে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানগুলোর মাধ্যমে এটা দেখা যাচ্ছে যে ইসরাইলের কাছে দেশটির ইস্পাত রপ্তানি ১০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তুর্কি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বা টিআইএম একটি প্রতিবেদনে ঘোষণা করেছে যে গত ৮ মাসে ইহুদিবাদী ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীর কাছে তুরস্কের ইস্পাত রপ্তানি ১০০ গুণ বেড়েছে। তুর্কি সাংবাদিক মেতিন জেইহান এই প্রসঙ্গে বলেছেন, তুরস্ক ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য ইস্পাতের চাহিদা সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। তবে শুল্ক নথিতে ফিলিস্তিনের নামে রপ্তানির মিথ্যা নথিভুক্ত করেছে।
মিডল ইস্ট আই ওয়েবসাইটও এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে তুর্কি ব্যবসায়ীরা ইসরাইলে কিছু পণ্য রপ্তানি বাড়িয়েছে। কারণ সরকার এ বিষয়ে কঠোর নয়। আল-আকসা তুফান অভিযানের কয়েকদিন পর তুর্কি সরকার ঘোষণা করেছিল যে তারা ইসরায়েলে ইস্পাতসহ কিছু পণ্য রপ্তানির মাত্রা কমিয়ে আনবে। ইসরায়েল তার গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে ইস্পাত ব্যবহার করে। প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ইস্পাত চাহিদার ৬৫ ভাগ তুরস্ক সরবরাহ করে।