হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মাশহাদ প্রতিনিধির মতে, ২৩ অবন (১৩ নভেম্বর) ইরানের মাশহাদ প্রদেশের কুদস রাজাভির কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমীন রশিদ ইয়াজদি যিনি "নৈতিকতা ও বিপ্লবের বক্তা" হিসেবে সুপরিচিত তার স্মরণ অনুষ্ঠানে ইরানি ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার কার্যালয়ের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিম মোহাম্মদ মোহাম্মদী গোলপয়গানি বলেছেন, হুজ্জাতুল ইসলাম রশিদ ইয়াজদির সাথে আমার পরিচয় বিপ্লবের কয়েক বছর আগে, যখন তিনি অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কারণে আমাদের শহর ইরানশাহরে নির্বাসিত হয়েছিলেন।
ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার চীফ অফ স্টাফ হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন রশিদ ইয়াজদির মহান ব্যক্তিত্বের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তার নৈতিক গুণাবলীর মধ্যে একটি হলো তিনি অত্যন্ত মিষ্টিভাষী এবং তার অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আরেকটি হলে সর্বোচ্চ নেতার প্রতি তার একনিষ্ঠ ও অবিচল আনুগত্য। হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন রশিদ ইয়াজদি একজন সফল ও প্রভাবশালী ধর্মপ্রচারক এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে, একজন ধর্মপ্রচারকের কেবলমাত্র আল্লাহকে ভয় করা উচিত এবং যদি দ্বীন প্রচারের বিষয়ে তার সংশয় ও কোনো প্রাপ্তির প্রত্যাশা থাকে, তবে তিনি দ্বীন প্রচার করে লাভবান হবেন না।
হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন জনাব মোহাম্মদ মোহাম্মদী গোলপয়গানি তাী বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিন ও গাজার বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ফিলিস্তিন ও গাজার ক্ষেত্রে শত্রুদের অপপ্রচার এমন যে, বহু হত্যাকাণ্ডের পরও সেখানে মানবাধিকারের কোনো উচ্চবাচ্য নেই। অথচ তারা ইরানে একজন মানুষ হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিরুদ্ধে তারা মানবাধিকার রক্ষার জন্য চিৎকার করছে। তিনি যোগ করেন, ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর প্রধানমন্ত্রী তার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মিথ্যা ধর্মীয় শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। সে বিশ্বাস করে যে ইহুদি ছাড়া অন্যরা মানুষ নয় এবং প্রত্যেক অ-ইহুদির সম্পত্তি, তার জীবন এবং সম্মান সেই ইহুদিদের ইচ্ছাধীন।
জবাব মোহাম্মদী গোলপয়গানি বলেছেন: এটা মুসলমানদের জন্য লজ্জার বিষয় যে একটি ইসলামী দেশের তেল ইসরায়েলে যায় এবং ইহুদিবাদী শাসকের বিমান সেই পেট্রল নিয়ে গাজা ও লেবাননকে ধ্বংস করে, অথচ ইমাম খোমেনি (রহ.) বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমান যদি এক বালতি পানি ঢেলে দেয়- ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাবে। ইসলামি বিপ্লবের নেতা আরো বলেছেন: যে ব্যক্তি গাজা ও লেবাননের ক্ষুদ্রতম খেদমত করতে পারে, তা তার জন্য ওয়াজিব এবং আজ আমরা গাজা ও লেবাননের জনগণের জন্য জনগণের সাহায্য প্রত্যক্ষ করছি।
তিনি সুস্পষ্ট করে বলেছেন: আজ ইরানের সর্বোচ্চ নেতার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এবং আমেরিকায় মানুষ রাস্তায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকা ও ইহুদিবাদী শাসকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।