হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সংখ্যালঘু ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পৌরসভার মেয়র ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। ‘ফিরহাদ ৩০’ নামে একটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম মন্তব্য করেছেন, একদিন মুসলিমরা সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগুরু হবেন৷ আর এই বক্তব্য মেনে নিতে পারেনি বিজেপি। সমালোচনায় সরব হয়েছে দলটি৷এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার স্পষ্ট অসন্তোষের বার্তা ফিরহাদকে জানিয়ে দিয়েছেন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য এ বার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তিরস্কারের মুখে পড়লেন রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিম। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসন্তোষ জানিয়েছেন।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, ফিরহাদ যা বলেছেন, তাতে দলের অনুমোদন নেই। তার বক্তব্য দলের নীতি, অবস্থান কোনো কিছুর সঙ্গেই সম্পর্কিত নয়। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে পরপর দু’বার ধর্ম টেনে ‘অবাঞ্ছিত’ মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করায় সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ফিরহাদকে। প্রসঙ্গত, ফিরহাদ নিজেই মমতার তৈরি করা তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য।
ওই অনুষ্ঠানে ফিরহাদ বলেছিলেন, বাংলায় আমরা ৩৩%। কিন্তু ভারতে মাত্র ১৭%। তবে আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবি না। আমরা ভাবি, সর্বশক্তিমানের কৃপা যদি আমাদের ওপরে থাকে, তা হলে আমরা এক দিন সংখ্যাগুরুর থেকেও সংখ্যাগুরু হব। সর্বশক্তিমানের এই নির্দেশ তথা ইচ্ছাকে আমাদের শক্তি দিয়ে হাসিল করতে পারব।
তার এমন মন্তব্যের মধ্যে বিভাজনে ইন্ধন এবং বিজেপিকে মেরুকরণের রাজনীতি করার উপাদান জোগানো হয়েছে বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তৃণমূলের ভেতরেও প্রশ্ন উঠেছে, বারবার এই ধরনের মন্তব্য করে তৃণমূল নেত্রীর ভাবমূর্তিতেই কি আঘাত দিচ্ছেন না ফিরহাদ? এর ফলে বিজেপি হাতিয়ার পাওয়ার প্রসঙ্গও শাসক শিবিরের অন্দরে আলোচনায় এসেছে। তার পরেই ফিরহাদকে সর্তক করতে সক্রিয় হয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিতর্কের মুখে পড়ে রোববার ফিরহাদ অবশ্য বলেছেন, ‘আমি একজন ভারতীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ। আমি মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষই থাকব।’
آپ کا تبصرہ