হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ২- শিক্ষকঃ হযরত মাহদী কি বর্তমানে জীবিত আছেন?
ছাত্রঃ হ্যাঁ, তিঁনি জীবিত আছেন। বিভিন্ন কারণে তিঁনি আমাদের চোখের অন্তরালে রয়েছেন। যখন উপযুক্ত সময় আসবে তখন তিনি আল্লাহর নির্দেশে আবির্ভূত হবেন এবং পৃথিবীর অন্যায়-অবিচার নির্মূল করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন।
শিক্ষকঃ তিনি কখন জন্মগ্রহণ করেছেন?
ছাত্রঃ তিনি ২৫৫ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে তাঁর বয়স হচ্ছে ১১৭০ বছর।
শিক্ষকঃ এটা কিভাবে সম্ভব যে, একজন মানুষ এত বছর ধরে জীবন-যাপন করতে পারে। কেননা একজন মানুষ সর্বশেষ ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
ছাত্রঃ আমরা মুসলমানরা আল্লাহর ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখি। আল্লাহর সিদ্ধান্তের কারণে তিঁনি যদি এত বছর জীবন-যাপন করে থাকেন তবে তাতে সমস্যা কোথায়?
শিক্ষকঃ আল্লাহর ক্ষমতার বিষয়টি ঠিক আছে। কিন্তু এরূপ কিছু আল্লাহর সুন্নত বহির্ভূত বিষয়।
ছাত্রঃ আপনারাও কোরআনের উপর বিশ্বাস রাখেন তদ্রুপ আমরাও। সূরা আনকাবুতের ১৪ নং আয়াতে কোরআন বলছে,
و لقد ارسلنا نوحا إلى قومه فلبث فيهم الف سنة الا خمسين عاما
"আমরা নূহকে (আঃ) তাঁর গােত্রের প্রতি পাঠিয়েছিলাম, আর সে তাদের মধ্যে এক হাজার থেকে পঞ্চাশ বছর কম জীবন-যাপন করেছে।"
হযরত নূহ (আঃ) এই আয়াত অনুসারে ৯৫০ বছর তাঁর গােত্রের সাথে জীবন যাপন করেছিলেন। সুতরাং যদি আল্লাহ চান তবে অন্যান্য মানুষকেও এত পরিমান অথবা তার থেকেও বেশী পরিমান জীবিত রাখতে পারেন এবং এভাবেই আল্লাহ্ হযরত ঈসা (আঃ) কে এখনো জীবিত রেখেছেন।
আর নবী করীম (সাঃ) ইমাম মাহদীর (আঃ) ব্যাপারে প্রচুর বাণী উচ্চারণ করেছেন যে, তিঁনি হচ্ছেন এমনই ইমাম যিঁনি পৃথিবীকে ন্যায়ে ভরে দিবেন। আর এ সম্পর্কে শিয়া ও সুন্নীদের কাছে প্রচুর পরিমানে রেওয়ায়েতও রয়েছে যা অস্বীকার করার উপায় নেই। উদাহরণ স্বরূপ, নবী (সাঃ) বলেছেন,
المهدي من أهل بيتي يملأ الأرض قسطا و عدلا كما ملئت ظلم و جورة
"মাহদী আমার পরিবার থেকে, পৃথিবীর আনাচে-কানাচেতেও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে তদ্রুপভাবে যেভাবে তা অন্যায়-দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ ছিল।
[মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড-৩, পৃঃ- ২৭]
চলবে….
সংগ্রহ ও সংকলনঃ রাসেল আহমেদ রিজভী