۲۸ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۹ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 17, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম তাকী আব্বাস রিজভী
হুজ্জাতুল ইসলাম তাকী আব্বাস রিজভী

হাওজা / ধর্মীয় মাদ্রাসাকে রক্ষা ও শক্তিশালী করার মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্ম ও ঈমানের সঠিক পথে রাখা সম্ভব।

হুজ্জাতুল ইসলাম তাকী আব্বাস রিজভী

যদি একটি প্রশ্ন হিসাবে আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করেন যে এই ধর্মীয় মাদ্রাসাগুলো আমাদের সমাজকে কী দিয়েছে?

তাহলে উত্তর হবে এই যে, প্রাচীনকাল থেকে আমাদের সমাজে যে সকল ধর্মীয়, শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে বা হয়ে আসছে তা আমাদের আলেম, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দ্বারা অনুপ্রাণিত।

ধর্মীয় মাদ্রাসাকে রক্ষা ও শক্তিশালী করার মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্ম ও ঈমানের সঠিক পথে রাখা সম্ভব, এটাকে আড়াল করা এবং ইসলামী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে অবহেলা করা উভয়ই অপরাধ।

এই মাদ্রাসাগুলোর সুবিধা হলো যে আমাদের সমাজে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (স:) কথা আছে, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য আছে, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আচার-অনুষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধা ও উপলব্ধি মানুষের মধ্যে বিদ্যমান...এক সময় জাতি ও মুমিনদের স্বেচ্ছায় অনুদানে এসব মাদ্রাসা পরিচালিত হতো কিন্তু! এই পৃষ্ঠপোষকতা থেকে এখন বঞ্চিত।

এটা দুঃখজনক যে জনগণ এখন অপরাধমূলকভাবে এটিকে আড়াল করছে, তবে মাদ্রাসাগুলো জাতির সন্তানদের (ছাত্র) বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি তাদের বাসস্থান, খাবার ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করে থাকে।

অন্তত এসব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিকে এগিয়ে আসা উচিত এবং সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী মাদ্রাসাগুলোকে সাহায্য করা উচিত, কিন্তু পরিস্থিতি এখন ভিন্ন।

বর্তমান কুসংস্কার ও ধ্বংসাত্মক কুসংস্কার, দুর্নীতি, অনৈতিকতা, ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি অবজ্ঞা এবং পরকীয়ার যুগে আপনার এবং আপনার বংশধরদের ঈমানকে রক্ষা করার জন্য প্রথমে ধর্মীয় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করুন, যাতে ঘর পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে থাকা অজ্ঞতা ও কুফলের অন্ধকার তার রশ্মি থেকে দূর করা যায়।

মূল্যবান ও যোগ্য তারাই যারা ধর্মীয় বিষয়ে খোলা মনে কাজ করে এবং সমাজে ধর্মীয়, বুদ্ধিবৃত্তিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .