۲۳ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۴ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 12, 2024
রমজান মাসের ৫ম দিনের দুআ অনুবাদসহ ও দুআর বিশেষ বাক্যগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
রমজান মাসের ৫ম দিনের দুআ অনুবাদসহ ও দুআর বিশেষ বাক্যগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

হাওজা / হে আল্লাহ! এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে।

মজিদুল ইসলাম শাহ

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫ম রমযানের দোওয়া

اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مِنْ الْمُسْتَغْفِرينَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنْ عِبادِكَ الصّالِحينَ اْلقانِتينَ، وَاجْعَلني فيهِ مِنْ اَوْلِيائِكَ الْمُقَرَّبينَ، بِرَأْفَتِكَ يا اَرْحَمَ الرّاحِمينَ .

হে আল্লাহ! এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে। হে আল্লাহ! অনুগ্রহ করে আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান।

গুরুত্বপূর্ণ দিক

মুস্তাগফেরিন তাদের পাপগুলি নিয়ে লজ্জিত হয় এবং সর্বদা আল্লাহকে ভয় ও আশা সহ ক্ষমা প্রার্থনা করে, এবং তাদের ক্ষমা প্রার্থনা আযাব, দুঃখ, ভয় এবং উদ্বেগকে দূর করে। ক্ষমা প্রার্থনা করলে মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। আমরা জানি যে ক্রীতদাস হওয়া আমাদের ক্ষমতার বাইরে, কিন্তু নিজের আল্লাহর নিকট বড় বড় জিনিস কেন চাওয়া যায় না? তবে এও সত্য যে আল্লাহ তায়ালা তাঁর সালেহ বান্দাদের মধ্যে বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক এবং খুশি। যেহেতু নেয়ামতের দরজা আবার একবার খুলে দেওয়া হয়েছে সুতরাং আসুন আমরা আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম নেয়ামত কামনা করি। অর্থাৎ নেয়ামত ও বরকত ছাড়াও অন্য কিছুর জন্য চলুন এই মাসে আল্লাহর আরও কাছাকাছি যায়।

দুআর বিশেষ বাক্য গুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ

১– اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي فِيهِ مِنَ الْمُسْتَغْفِرِينَ

ক্ষমা চাওয়ার ফল

যে ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহ তায়ালা তাকে তিনটি জিনিস দিয়ে থাকেন:

مَنْ أَكْثَرَ اَلاِسْتِغْفَارَ جَعَلَ اَللَّهُ لَهُ مِنْ كُلِّ هَمٍّ فَرَجاً وَ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مَخْرَجاً وَ رَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لاَ يَحْتَسِبُ

(বিহারুল-আনওয়ার , খণ্ড ৭৪, পৃ. ১৭২। আওয়ালীউল-লায়ালী, খন্ড ১, পৃ. ১৭০)

প্রথম: আল্লাহ তায়ালা তাদের কাছ থেকে কষ্ট দূর করে দেয়।

দ্বিতীয়ত: আপনি যদি উদ্বিগ্ন হন (বিবাহে অসুবিধা, বাড়িতে অসুবিধা ইত্যাদি), তবে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, আল্লাহ তায়ালা এই সমস্যাগুলির গিঁট খুলে দেবেন।

তৃতীয়: এমন জায়গা থেকে রিযিক দেবেন যা সম্পর্কে মানুষ ভাবতেও পারবে না।

ক্ষমা চাওয়ার শর্ত

এক ব্যক্তি হজরত আলীর (আ:) খেদমতে এসে বললেন: "আস্তাগফেরুল্লাহ"

হযরত আলী (আ:) বললেন: তোর মা তোর দুঃখে কাঁদুক।

ইস্তিগফার কি জানিস ...? এটি একই ইস্তিগফার যা ইল্লিইনের (علیین) মর্যাদা রাখে, এটি সেই নাম (ইল্লিইন) যার ছয়টি অর্থ রয়েছে:

(১) অতীতের জন্য দুঃখিত হওয়া

(২) চিরকালের জন্য পাপ ও অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকার সংকল্পবদ্ধ

(৩) মাখলুকাতের হক আদায় কর যাতে পাক ও পবিত্রতার সাথে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করতে পার, অর্থাৎ মাখলুকাতের অধিকার তোমার ঘাড়ে না থাকে।

(৪) আর ওই সমস্ত ফরজ আমল যা নষ্ট করেছ সে গুলি আদায় কর।

(৫) হারামের মাধ্যমে যে মাংস তৈরি হয়েছে সেটিকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে গলিয়ে ফেল, এমনকি হাড় এবং ত্বকের মধ্যে যেন অন্য মাংশ এসে যায়।

(৬) তোমরা যে গুনাহগুলি ভোগ করেছ সেগুলিকে শারীরিক ব্যথা এবং যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে মুছে ফেল,যদি এই ভাবে করতে পারো তাহলে আস্তাগফেরুল্লাহ বলতে পারো।

ভরণপোষণ (রিযিক),শুধু অর্থ নয়

রিযিক সর্বদা অর্থ হয় না, হাদীসে বহুবার বর্ণিত হয়েছে যে যদি তুমি এ ধরনের কাজ কর তবে তোমার রিযিক বেশি হবে, রিযিকের অর্থ আধ্যাত্মিক জীবনযাপনও হতে পারে,ভাল বন্ধুও হতে পারে,জীবনের ভাল সঙ্গী এবং বন্ধুকেও রিযিক বলা হয়।

২– وَ اجْعَلْنِي فِيهِ مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ الْقَانِتِينَ

হে আল্লাহ আমাকে তোমার নেক বান্দাদের একজন করুন যাতে আমি তোমার আনুগত্য করতে এবং তোমার ইবাদত করতে পারি, কারণ আল্লাহ আনুগত্যকারী মানুষকে ভালবাসেন, কিয়ামতের দিন আমরা এটাই চাই যে আমাদেরকে নেক বান্দাদের মধ্যে গণ্য করুন।

৩– وَ اجْعَلْنِي فِيهِ مِنْ أَوْلِيَائِكَ الْمُقَرَّبِينَ

আয়াত এবং রেওয়ায়েতের আলোকে; যে ব্যক্তিকে আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার ভাগ্য হয় সেই ব্যক্তি কখনও তার জীবনের কোন অংশে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল থাকবে না এবং আল্লাহর উপাসনা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করবে; এটিকে বোঝার সর্বোত্তম উদাহরণ হজরত আলী (আ:) নিজেয় আছেন তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন এবং বলেন:

”الهی ما عبدتک خوفا من نارک و لاطمعا فی جنتک لکن وجدتک اهلا للعباده فعبدتک”

আমার আল্লাহ আমি জাহান্নামের ভয়ে এবং জান্নাতের লোভে তোমার উপাসনা করি না, তবে আমি তোমাকে উপাসনার যোগ্য মনে করি। আমরাও এই দিনে আল্লাহর নিকট অনুরোধ করি যে তিনি তাঁর অনুগ্রহে আমাদেরকে তাঁর বন্ধু এবং আত্মীয়দের উপস্থিতিতে রাখুন যাতে তাদের বশীভূত হয়।

৪– بِرَأْفَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

হে আল্লাহ আপনার অনুগ্রহে আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন,হে আল্লাহ তোমার করুণা পরম করুণাময়ের উপরে বিরাজ করে।

ফলাফল

দুআর বার্তা: ১-যারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাদের মধ্যে গণ্য হওয়া। ২-আনুগত্যপ্রাপ্ত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়া। ৩-আল্লাহর ঘনিষ্ঠ ওলিদের লাইনে থাকা। ৪-আল্লাহর করুণা এবং রহমতের জন্য অনুরোধ করা।

নির্বাচিত বার্তা: তওবা এবং ইস্তিগফার ইসলামের অন্যতম সর্বোচ্চ সত্য যা পবিত্র কোরআনের আশি এরও বেশি আয়াতে যার সম্পর্কে জোর দেওয়া হয়েছে।

সত্য অনুশোচনা করার জন্য চারটি মূল শর্ত রয়েছে: অতীতের অন্যায়ের জন্য অনুশোচনা, গুনাহ পুনরাবৃত্তি না করার দৃঢ়প্রতিশ্রুতি, আল্লাহর অধিকার এবং জনগণের অধিকার প্রদান।

পরিপূরক শর্ত: ১) উপাসনায় কষ্ট সহ্য করা। ২) পাপের সময় বেড়ে ওঠা মাংস এবং চামড়াকে গলিয়ে ফেলা।

নবী করীম (স:) বলেছেন: তুমি কি জান যে তওবা কারী কে? লোকেরা বলল: না! নবী করীম (স:)বললেন: তওবাকারী যদি তার সম্পর্কে অভিযোগকারীকে সন্তুষ্ট না করেন ততক্ষণ তার তওবা গ্রহণ করা হবে না; তওবাকারী যদি তার জীবনযাপন এবং তার খাওয়া-দাওয়া পরিবর্তন না করে ততক্ষণ পর্যন্ত তার তওবা কবুল হবে না; তওবাকারি যদি তার ইবাদত বৃদ্ধি না করে, তাহলে সে তওবাকারী হতে পারবে না। (মুস্তাদরাকুল-ওয়াসাইল, খণ্ড ১২, পৃ. ১৩১; বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩৫ এবং ৩৬)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .