হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসি ইসলামাবাদ সফরে রওনা হওয়ার আগে এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার এমন একটি দেশ যার সঙ্গে ইরানের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে এবং উভয় দেশই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর জোর দিচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মানবাধিকার, ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতিরক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়ে ইরান ও পাকিস্তানের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি তার নীতির পরিসরে পাকিস্তানসহ ইসলামি ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায় এবং আমাদের ইসলামাবাদ সফরে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, জ্বালানি ও সীমান্ত সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তেহরান ও ইসলামাবাদের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের পর্যায়ে নেই এবং এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে প্রাপ্ত সুযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের উচিত দশ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে পৌঁছানো।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের মুমিন ও ধার্মিক জনগণের ইসলামি বিপ্লব এবং বিশেষ করে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী এবং ইসলামী বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ সৈয়্দ আলী খামেনায়ীর প্রতি বিশেষ অনুরাগ ও ভক্তি রয়েছে এবং ইরানের প্রতি তাদের ভক্তির প্রমাণ বারবার পেশ করা হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা পাকিস্তানের নিরাপত্তাকে আমাদের নিরাপত্তা বলে মনে করি এবং আমরা বিশ্বাস করি যে সীমান্ত এলাকায় স্থিতিশীল নিরাপত্তা উভয় দেশ ও উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে।