۹ تیر ۱۴۰۳ |۲۲ ذیحجهٔ ۱۴۴۵ | Jun 29, 2024
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মারাত্মক প্রভাব ভারতে : প্রখর তাপ ও পানির অভাবে দিল্লিতে গরীব মানুষ সবচেয়ে নিকৃষ্ট আবহাওয়া সংকটের ভুক্তভোগী।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মারাত্মক প্রভাব ভারতে : প্রখর তাপ ও পানির অভাবে দিল্লিতে গরীব মানুষ সবচেয়ে নিকৃষ্ট আবহাওয়া সংকটের ভুক্তভোগী।

হাওজা / বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মারাত্মক প্রভাব ভারতে : প্রখর তাপ ও পানির অভাবে দিল্লিতে গরীব মানুষ সবচেয়ে নিকৃষ্ট আবহাওয়া সংকটের ভুক্তভোগী।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মেরু অঞ্চলের উষ্ণায়ন : উষ্ণায়ন কারী তাপমাত্রার মানে হচ্ছে আরও বেশি বেশি বরফ গলন ( গলিত বরফ ) !!!!

বিজ্ঞানী যেমন ধারণা করেছিলেন তার চেয়েও অধিক দ্রুত গতিতে ডুমসডে গ্লেসিয়ার গলে যাচ্ছে। আর বিজ্ঞানীরা ডুমসডে গ্লেসিয়ারের নীচে মাইলের পর মাইল জুড়ে সমুদ্র জলের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন !!!!

বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্র তল বেড়ে যাওয়ায় পানামার প্রথম দ্বীপ খালি করতে হচ্ছে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মারাত্মক প্রভাব ভারতে : প্রখর তাপ ও পানির অভাবে দিল্লিতে গরীব মানুষ সবচেয়ে নিকৃষ্ট আবহাওয়া সংকটের ভুক্তভোগী। (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)

এ খবরগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ :

আসলে পশ্চিমারা বিশেষ করে যুরা (যুক্তরাজ্য) অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রকৃতি বৈরী প্রকৃতি - পরিবেশ বিধ্বংসী শিল্প বিপ্লব ঘটিয়ে লাগামহীন বল্গাহীন শিল্পায়ন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করে আজ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত দূষণ ঘটিয়ে মানবজাতিকে মহা বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ভারত এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রার মারাত্মক বৃদ্ধি এবং পানীয় জলের অভাব ও স্বল্পতা আসলে ভয়াবহ ঐ পরিণতির পূর্বাভাস মাত্র । সামনে আরও ভয়াবহ মাত্রায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যেই দুই মেরুর বরফ গলে সমুদ্র তল যা ধারণা করা হচ্ছে তার চেয়েও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং পৃথিবীর অনেক দেশ তলিয়ে যাবে ! আর পৃথিবীতে যে আধুনিক শিল্পায়ন হয়েছে তাতে কোন জায়গাই আর মারাত্মক স্বাস্থ্যবিধ্বংসী প্রাকৃতিক দূষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। প্রাকৃতিক দূষণ রোধে যদিও নতুন নতুন পন্থা উদ্ভাবনের দাবি করছে পশ্চিমারা কিন্তু কার্যতঃ কোনো টাই জবাব দিচ্ছে না। কারণ প্রকৃতি ও পরিবেশের ধ্বংস সাধন ( تخریب তাখরীব ) তো বিশ্ব জুড়ে থেমে নেই । আর সেটা যদি অব্যাহত ও চলতেই থাকে তাহলে তখন বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি , উষ্ণায়ন এবং প্রাকৃতিক দূষণ কিভাবে বন্ধ হবে ?!!! শুধু মাত্র কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন ও নি:সরণ নয় বরং চিরকালীন বা চিরস্থায়ী রাসায়নিক ( Forever chemicals) দ্রব্যাদিও আছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশ গুলোর ( সারফেস বা আন্ডার গ্রাউন্ড) পানি বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি বায়োটিক ও রাসায়নিক ( পদার্থ ) দিয়ে তীব্রভাবে দূষিত ! বাতাস , পানি ও মাটিতে যদি এত সব দূষণ থাকে তাহলে মানবজাতি , উদ্ভিদ ও প্রাণীকূল বাঁচবে কীভাবে ? সমুদ্রও এখন নানা রকম রাসায়নিক দূষণের শিকার। আর এর সাথে যোগ করা হোক পারমাণবিক তেজস্ক্রিয় দূষণ । জাপান প্রশান্ত মহাসাগরে পারমাণবিক বর্জ্য ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ব্যবহার করা হেভি ওয়াটার ( ভারী পানি ) ছাড়ছে এবং সেটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ঐ একটাই সমগ্র মানব জাতি , প্রাণী ও জীব জগত ধ্বংসের জন্য একাই যথেষ্ট অনেক পরিবেশ বিজ্ঞানীর মতে । তাহলে এত ঘোড়ার ডিম মার্কা শিল্পায়ন ও প্রাযুক্তিক উন্নতির ফলাফলটা কী দাঁড়াল ? পরিবেশ বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন : এ ভাবে প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত দূষণ ও ধ্বংস সাধন প্রক্রিয়া চলতে থাকলে মাত্র ১০০০ বছর বা ৬০০ বছর বা ১০০ বছর বা কয়েক দশক বা ১৮-২০ বছরের মধ্যেই মানব জাতি অক্কা পাবে এবং পৃথিবী থেকে চিরবিলুপ্ত হয়ে যাবে । এ তো বড় সাংঘাতিক কথা !! আসলে পাশ্চাত্যে রেনেসাঁর মাধ্যমে যে ভয়াবহ সর্বনাশা বস্তুবাদ ও ভোগবাদের পুনর্জন্ম হয়েছিল তা আজ মানব জাতিকে ভয়ঙ্কর বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে । এই রেনেসাঁ আসলে ছিল বিবেকবোধ , বুদ্ধিবৃত্তি , ধর্ম - ধার্মিকতা ও নীতি নৈতিকতার বিরুদ্ধে ইউরোপীয়দের গাত্র উত্থান অর্থাৎ তারা রেনেসাঁর মাধ্যমে প্রাচীন গ্রীক ও রোমান পৌত্তলিকতাবাদের পুনর্জন্ম ঘটিয়েছিল ইউরোপে ইব্রাহীমী ধর্ম খ্রীষ্টবাদের বিরুদ্ধে । তাই রেনেসাঁর সাথে সাথেই নাস্তিক্যবাদ , গ্রীক - রোমান পৌত্তলিকতা , অধার্মিকতা , অনৈতিকতা , শোষণ , বৈষম্য ও সাম্রাজ্যবাদ ইত্যাদিরও প্রসার হয় । অতএব ইউরোপীয় রেনেসাঁ এ সব দিক থেকে ভালো কিছু ছিল না । তাই পাশ্চাত্য রেনেসাঁ ও তার ধারাবাহিকতায় আজকের আধুনিক শিল্প ও প্রযুক্তি কেন্দ্রিক সভ্যতা ও সংস্কৃতির এত সব মারাত্মক ভয়াবহ বাই-প্রোডাক্ট ও সাইড এফেক্ট ( পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ) এ সভ্যতা ও সংস্কৃতি বর্জনের সময় কালকেই অতি নিকটবর্তী করেছে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .