۲۴ آذر ۱۴۰۳ |۱۲ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 14, 2024
হে আল্লাহ! আলী যে দিকে ঘুরবে হক ও সত্যকেও তুমি সে দিকে ঘুরিয়ে দিও।
হে আল্লাহ! আলী যে দিকে ঘুরবে হক ও সত্যকেও তুমি সে দিকে ঘুরিয়ে দিও।

হাওজা / হে আল্লাহ! আলী যে দিকে ঘুরবে হক ও সত্যকেও তুমি সে দিকে ঘুরিয়ে দিও।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার প্রিয় হাবিব রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে মাওলা আলী ইবনে আবু তালিব (আ.)-এর শান ও মাকাম সম্পর্কে অসংখ্য ও অগণিত রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে! মাওলা আলী ও আহলে বাইত (আ.) বিদ্বেষীদের শত বাঁধা ও কুটচালের পরও আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সূত্রে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সে সমস্ত হাদীসের মধ্য থেকে আপনাদের খেদমতে নিম্নে কিছু হাদীস তুলে ধরছি:

১. “আমি যার মাওলা (অভিভাবক ও নেতা) আলীও তার মাওলা। হে খোদা! যে আলীর সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখে তুমিও তার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখো, যে আলীর সাথে শত্রুতা রাখে তুমিও তার সাথে শত্রুতা রাখো।”

[সূত্র- মুসলিম শীরফ, ২য় খণ্ড, পৃ- ৩৬২, মুসনাদে ইমাম হাম্বল, ৪র্থ খণ্ড, পৃ- ২৮১]

২. “আমি (রাসূল) যার বন্ধু, আলীও তাঁর বন্ধু।”

[সূত্র- তিরমিযি শরীফ, ইফাবা, ৬:৩৭১৩]

৩. “হে আল্লাহ! আলী যে দিকে ঘুরবে হক ও সত্যকেও তুমি সে দিকে ঘুরিয়ে দিও।”

[সূত্র- তিরমিযি শরীফ, ইফাবা, ৬:৩৭১৪]

৪. “হে আলী! তুমি আমার জন্য এবং আমি তোমার জন্য।”

[সূত্র: তিরমিযি, ইফাবা, ৬ঃ৩৭১৬]

৫. "আলী 'আমার', আমি 'আলী'র! আমার পক্ষ থেকে আমি আর আলী ছাড়া আর কেউ আমার "দায়িত্ব" পালন করতে পারে না।”

[সূত্র- তিরমিযি শরীফ, ইফাবা, ৬:৩৭১৯]

৬. “হে আলী! দুনিয়া ও আখেরাতে তুমি আমার 'ভাই'।”

[সূত্র: তিরমিযি শরীফ, ইফাবা, ৬:৩৭২০]

৭. “আল্লাহর সবচেয়ে 'প্রিয় বান্দা' আলী।”

[সূত্র - তিরমিযি শরীফ, ইফাবা, ৬:৩৭২১]

৮. “রাসূল (সা.) হলেন জ্ঞানের নগরী আর আলী হল সেই জ্ঞান নগরীর দরজা।”

[সূত্র: তিরমিযি, ইফাবা, ৬ঃ৩৭২৩]

৯. “তায়েফ যুদ্ধের দিন রাসূল (সা.) ইমাম আলী (আ.) এর সাথে গোপনে কথা বললে লোকেরা বলাবলি করতে লাগল যে, 'নবীজী (সা.) তাঁর চাচাত ভাইয়ের সাথে দীর্ঘক্ষণ গোপনে কথাবার্তা বলছেন!' তখন রাসূল (সা.) বললেন, "আমি তাঁর সাথে গোপনে কথা বলিনি, বস্তুতঃ আল্লাহ তা'আলাই তার সঙ্গে কথা বলেছেন।”_

[সূত্র: তিরমিযি, ইফাবা, ৬ঃ৩৭২৬]

১০. “হে আলী! আমার ক্ষেত্রে তোমার স্থান হল মূসার ক্ষেত্রে হারুনের মত! তবে আমার পরে কোনো নবী নেই।”

[সূত্র- তিরমিযি শরীফ, ইফাবা, ৬:৩৭৩০, ৩৭৩১/ মুসলিম, ইফাবা, ৫: ৫৯৯৯, ৬০০৩/ সহীহ্ আল বুখারী, মিনা. ৫:৩৪৩৪]

১১. “আলী (আ.) এক যুদ্ধে ছিলেন। তাই রাসূল (সা.) দুই হাত তুলে দোয়া করেছিলেন, হে আল্লাহ! আলীকে পুনর্বার না দেখিয়ে আমার মৃত্যু দিও না।”

[সূত্র: তিরমিযি শরীফ, ইফাবা, ৬:৩৭৩৭]

১২. “আলী (আ.) প্রথম মুসলিম। সর্বপ্রথম তিনিই সালাত আদায় করেন।”

[সূত্র: তিরমিযি শরীফ, ইফাবা, ৬:৩৭৩৪, ৩৭২৮]

১৩. “রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, “আদম সৃষ্টির পূর্বে আমি এবং আলী একত্রে আল্লাহর নিকট এক খণ্ড নূর হিসেবে অবস্থান করতাম। অতঃপর যখন আল্লাহ হযরত আদমকে সৃষ্টি করলেন, তখন তিঁনি সেই নূরকে দু’খণ্ডে বিভক্ত করলেন। এক খণ্ড আমি এবং অপরটি আলী।”

[আর রিয়াদুন নাদেবরা, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা- ১৬৪; মিযানুল এতেদাল, যাহাবী, খণ্ড-১ পৃষ্ঠা- ২৩৫; তারিখে বাগদাদ, খণ্ড- ৬, পৃষ্ঠা- ৫৮]

১৪. “রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "আমি আর আলী একই বৃক্ষ থেকে, আর অন্যেরা (মানুষ) বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।”

[সূত্র: কানযুল উম্মাল ১১/৬০৮/৩২৯৪৩; মাজমাউল যাওয়ায়েদ ৯:১০০]

تبصرہ ارسال

You are replying to: .