হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৮ ই জিলহজ্ব দিনটি মুসলমানদের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। কেবল এই দিনটিই নয়, ইসলামি ইতিহাস, হাদিস ও কোরআনে পুরো জিলহজ্ব মাসটিকে তাৎপর্যপূর্ণ মাস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
হযরত মোহাম্মদ (সা.) বিদায় হজ্জের এদিনে 'গাদিরে খুম' নামক এই স্থানে খুতবা পাঠের মাধ্যমে হযরত মাওলা আলী (আ.)'কে নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ঘোষণা দেন। পরবর্তী সময়ে সেটা ঈদুল গাদীর হিসেবে পালন করা হয় বলে বক্তরা অভিমত পেশ করেন।
২৮ জুন (শুক্রবার) বিকালে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রাম স্টেশন রোড এশিয়ান এস আর হোটেলের হল-রুমে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্'র আয়োজনে মাওলা আলী (আ.) 'গাদীরে খুম- অভিষেক' অনুষ্ঠানে বক্তরা এসব কথা বলেন। (ঐতিহাসিক ঈদে গাদীর+ছবি)
বক্তরা আরও বলেন ইসলামের সঠিক ইতিহাস থেকে মুসলমানরা সরে যাচ্ছে এবং ইউরোপীয় ও পশ্চিমা দেশগুলোর সুবিধা পেতে ও তাদের এজেন্ট হয়ে একদল দালাল সিন্ডিকেট তথাকথিত 'ইসলামিক স্কলার'রা ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে যাচ্ছে। গাদীর দিবস, মহররম ও ইসলামের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর প্রেক্ষাপট তারা বিকৃত ও বিতর্কিত ফেলেছে। পবিত্র মহররম মাস ও কারবালার প্রকৃত ঘটনা ও শিক্ষাকে তারা ভিন্ন পথে সঞ্চালিত করছে। মহরম মাস হচ্ছে ইসলামের জাগরণের মাস। এই মাস মুসলমানদের ইসলাম প্রচারের ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা তৈরি করে, তেমনি মাওলা আলী'র (আ.) এই স্থলাভিষিক্ত ঘোষণার মধ্য দিয়ে ইসলামের অভিষেক ঘটে।
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্'র আহ্বায়ক জাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব হিমু হামিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ওমর গণি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক নোমান সিদ্দিকী, দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান কামাল পারভেজ ও হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মো. আমজাদ হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা বক্তব্য রাখেন জনাব শাহজাহান আলী মাইজভান্ডারী, আব্দুল হাকিম ও মনজুরুল আলম। অনুষ্ঠানটি ইকবাল বিন মালেকের সঞ্চালনায় মাওলানা মিজানুর রহমানের কোরআন তেলওয়াত মাধ্যমে শুরু হয় এবং অনুষ্ঠানের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে ইসলামিক নাত ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়।