হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মাসুদ পেজেশকিয়ান। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
গত শুক্রবার (৫ জুলাই) ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সংস্কারপন্থী ড. মাসুদ পেজেশকিয়ান। এরপর হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর কাছে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি ইরানের সমর্থন পুনব্যক্ত করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পেজেশকিয়ানের এটিই প্রথম কোনো পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক মন্তব্য।
হিজবুল্লাহর উদ্দেশ্যে ড. পেজেশকিয়ান বলেন, প্রতিরোধের অধিকারের প্রতি সমর্থন দেয়া ইরানের মৌলিক নীতির মধ্যেই রয়েছে। হিজবুল্লাহর প্রতিরোধ যুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, ১৯৮২ সালে লেবাননে গৃহযুদ্ধের সময়ে দখলদার ইসরায়েল বৈরুত দখল করে নিয়েছিল। সেই সময়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর উদ্যোগে হিজবুল্লাহ গঠিত হয়। এরপর থেকেই হিজবুল্লাহকে আর্থিক ও সমারিক সহায়তা দিয়ে আসছে ইরান।
এদিকে সোমবার (৮ জুলাই) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, তেহরান লেবানিজদের প্রতি সমর্থন জানাতে কোনোরকম দ্বিধা করবে না। ইসরায়েলকে সতর্ক করে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ইসরায়েল যদি এই অঞ্চলে বিশেষ করে লেবাননে হামলা করার মতো দুঃসাহস দেখায়, তাদের পরিণতি ভালো হবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরদিন থেকেই হামাসকে সমর্থন দিয়ে উত্তর ইসরায়েলে রকেট এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ। হামলার আগুনে পুড়েছে হাজার হাজার একর জমি। এতে উচ্ছেদ হওয়া ৭০ হাজার ইসরায়েলি এখনও ঘরে ফিরতে পারেনি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ) পাল্টা আঘাত হানছে, তাদের হামলার কারণে দক্ষিণ লেবাননের ৯০ হাজার মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।