হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের মধ্যেই ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি ও লেবানন-ভিত্তিক সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের দেখা দিয়েছে তীব্র উত্তেজনা। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরে হামলার পর ইসরায়েলে পাল্টা হামলার ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ।
গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনীর বর্বরতার মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিরা লোহিত সাগরে চলাচলরত ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে চালায় একের পর এক হামলা। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনের সানায় বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালায় মার্কিন জোট। তবে এবারই হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গত শনিবার (২০ জুলাই) হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে হুদেইদাহ বন্দরে হামলা চালায় তেল আবিব।
হুদেইদাহতে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে সতর্কবার্তা দেয় ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এর জেরে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালাতে দ্বিধাবোধে করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে তেল আবিবের বড় ধরনের সংঘাত জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হিজবুল্লাহ ও হুতিদের সঙ্গে সরাসরি বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে ইসরায়েল। এতে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে।