হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ‘হাওজা ইলমিয়া’গুলোর প্রধান আয়াতুল্লাহ আলীরেজা আরাফি সম্প্রতি তুরস্ক সফরে গিয়ে দেশটির ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রগুলোর একদল আলেমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতে তিনি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানো সারাবিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য হওয়া উচিত।
হাওজা ইলমিয়া’গুলোর প্রধানের পাশাপাশি আয়াতুল্লাহ আরাফি ইরানের আল-মুস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করছেন। তার তুরস্ক সফর সম্পর্কে পার্সটুডে ফার্সি জানাচ্ছে, ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সাক্ষাতে আয়াতুল্লাহ আরাফি মুসলিম দেশগুলোর ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণ উদ্যমে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ কাজে বিন্দুমাত্র বিরতি দেয়া বা অবহেলা করা যাবে না। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে যুক্তিবিদ্যা, জ্ঞান ও সমাজের চলমান প্রয়োজনগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে।
বৈঠকে আয়াতুল্লাহ আরাফি নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে আত্মশুদ্ধির প্রতি ইঙ্গিত করেন এবং বিভিন্ন দেশে ইসলাম নিয়ে গবেষণামূলক কাজের ফলাফল প্রকাশ ও সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত তুরস্কের ইসলামি চিন্তাবিদগণ মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলসহ গোটা মুসলিম বিশ্বের সর্বশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে আয়াতুল্লাহ আলীরেজা আরাফি রুশ মুসলমানদের ধর্মবিষয়ক বিভাগের প্রধান মুফতি শেখ রাভিল আইনুদ্দিনের আমন্ত্রণে সেদেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘আধ্যাত্মিক সিল্ক রোড’-এ অংশগ্রহণের লক্ষ্যে রাশিয়া সফর করেন। ওই কনফারেন্সে দেয়া ভাষণে আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন: ইরানের ইসলামি বিপ্লব পবিত্র ইসলামের যে পাঠ তুলে ধরেছে তা পবিত্র কুরআন ও আহলে বাইত আলাইহিমুস সালামের খাঁটি শিক্ষা অনুসারে একটি সত্য ও যৌক্তিক পঠন এবং এটি যে কোনো চরমপন্থা ও পশ্চাদপদতা থেকে মুক্ত।