۲۶ شهریور ۱۴۰۳ |۱۲ ربیع‌الاول ۱۴۴۶ | Sep 16, 2024
ইসমাঈল হানিয়ের
ইসমাঈল হানিয়ে

হাওজা / ২৫ মুহররম আহলুল বাইতের ( আ) ৪র্থ মাসূম ইমাম হযরত আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবেদীনের ( আ ) শাহাদাত উপলক্ষে জানাই আন্তরিক শোক ও তাসলিয়ত ( সমবেদনা ) ।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী,

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম

সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদী ইসরাইল কর্তৃক তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাঈল হানিয়ের শাহাদাত :

مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ رِجَالࣱ صَدَقُواْ مَا عَٰهَدُواْ ٱللَّهَ عَلَيۡهِۖ فَمِنۡهُم مَّن قَضَىٰ نَحۡبَهُۥ وَمِنۡهُم مَّن يَنتَظِرُۖ وَمَا بَدَّلُواْ تَبۡدِيلࣰا

মু'মিনদের মধ্য থেকে কতিপয় এমন পুরুষ আছে যারা মহান আল্লাহ যে প্রতীজ্ঞা করেছিলেন তা পূর্ণ ও বাস্তবায়িত করেছেন; তাঁদের মধ্য থেকে এমন কতক রয়েছেন যারা শাহাদাত বরণ করে স্বীয় প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন এবং তাদের মধ্য থেকে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা শাহাদাত বরণের প্রতীক্ষায় আছেন এবং তারা তাদের ওয়াদা ( অঙ্গীকার ও প্রতীজ্ঞা ) বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করেন নি ।

لِّيَجۡزِيَ ٱللَّهُ ٱلصَّـٰدِقِينَ بِصِدۡقِهِمۡ وَيُعَذِّبَ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ إِن شَآءَ أَوۡ يَتُوبَ عَلَيۡهِمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورࣰا رَّحِيمࣰا 24

যাতে আল্লাহ সত্যবাদীদের তাদের সত্যবাদিতার জন্য পুরস্কৃত করেন এবং ইচ্ছা করলে মুনাফিকদের শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদের তৌবা কবুল করেন ; নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত করুণাময় ( সূরা -ই আসযাব ৩৩ : ২১ - ২৪ )

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهِ ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْهَا ۚ إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِينَ مُنْتَقِمُونَ ( السجدہ 32 : 22 )

তার অপেক্ষা বড় যালেম ( ও অবিচারক ) আর কে হতে পারে যাকে তার প্রতিপালকের আয়াতসমূহ স্মরণ করানো হয় অতঃপর সে তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় ? নিশ্চয় আমরা অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব। [ সূরা -ই সিজদা (৩২ ) : ২২ ]

[32–22] (مشاهده آیه در سوره)

سوره مبارکه البقرة آیه ۱۵۴وَلا تَقولوا لِمَن يُقتَلُ في سَبيلِ اللَّهِ أَمواتٌ ۚ بَل أَحياءٌ وَلٰكِن لا تَشعُرونَ﴿۱۵۴﴾و به آنها که در راه خدا کشته می‌شوند، مرده نگویید! بلکه آنان زنده‌اند، ولی شما نمی‌فهمید!

আর যারা আল্লাহর পথে নিহত ( শহীদ) হয় তাদের তোমরা মৃত বলো না । বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা (তা) অনুভব কর না ( ও বুঝতে পার না ) । ( সূরা -ই বাকারা : ১৫৪ )

سوره مبارکه آل عمران آیه ۱۶۹وَلا تَحسَبَنَّ الَّذينَ قُتِلوا في سَبيلِ اللَّهِ أَمواتًا ۚ بَل أَحياءٌ عِندَ رَبِّهِم يُرزَقونَ﴿۱۶۹﴾(ای پیامبر!) هرگز گمان مبر کسانی که در راه خدا کشته شدند، مردگانند! بلکه آنان زنده‌اند، و نزد پروردگارشان روزی داده می‌شوند.

এবং যারা মহান আল্লাহর রাহে নিহত হয় তাদের তোমরা অবশ্যই মৃত বিবেচনা করবে না বরং তারা জীবিত ও তাদের প্রভুর পক্ষ হতে রিযিক প্রাপ্ত । ( সূরা -ই আলে ইমরান : ১৬৯ )

قوله تعالی:

﴿وَسَیعْلَمُ الَّذِینَ ظَلَمُوا أَی مُنْقَلَبٍ ینْقَلِبُونَ﴾ (الشعراء: ۲۲۷)

ترجمه آیه:

(وآنان که ظلم وستم کردند، به زودی خواهند دانست که به کدام بازگشتگاه (ودوزخی) بازآیند).

আর যারা অবিচার ও অন্যায় ( যুলুম ) করেছে তারা শীঘ্রই জানতে পারবে যে তারা কোন্ প্রত্যাবর্তনের স্থানে (ও কোন্ দোযখে ) প্রত্যাবর্তন করবে। ( সূরা -ই শু'আরা ২৬ : ২২৭ )

২৫ মুহররম আহলুল বাইতের ( আ) ৪র্থ মাসূম ইমাম হযরত আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবেদীনের ( আ ) শাহাদাত উপলক্ষে জানাই আন্তরিক শোক ও তাসলিয়ত ( সমবেদনা ) । আর ঠিক এ মহান ইমামের শাহাদাত দিবসে বিশ্ব লুটেরা যুগের উদ্ধত ফিরাওন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিভূ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হোতা সন্ত্রাসী মেকি যায়নবাদী যুদ্ধাপরাধী ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনী মুক্তিকামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান অক্লান্ত বীর মূজাহিদ ইসমাঈল হানিয়েকে একজন দেহরক্ষী সহ তেহরানে শহীদ করেছে । তাঁর এ শাহাদাত উপলক্ষে জানাই সবাইকে অভিনন্দন, তাসলিয়ত ও সমবেদনা। ইসমাঈল হানিয়ে বিধর্মী যায়নবাদী দখলদার সন্ত্রাসী অপরাধী ইসরাইলের জবরদখল থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্তি ও উদ্ধার এবং মযলূম ফিলিস্তীনীদের ন্যায্য অধিকার আদায় করার জন্য সারাজীবন জিহাদ ও সংগ্রাম করে কাটিয়েছেন এবং অবশেষে ২৫ মুহররম ১৪৪৬ হি ( ৩১ জুলাই ২০২৪ ) মহান আল্লাহ মুজাহিদদের প্রতি তাঁর কৃত ওয়াদা ইহদাল হুসনাইন / আল্লাহর রাহে জিহাদের সাফল্য ও বিজয় এবং এ পথে শাহাদাত - এ দুটো উত্তম বিষয়ের একটি অর্থাৎ শাহাদাতের সৌভাগ্যের তাঁকে দান করেছেন।

হানিয়ান লাকাশ শাহাদাহ ইয়া হানিয়েহ !

হে ইসমাঈল হানিয়ে! শাহাদাত তোমার জন্য সুখকর ও সৌভাগ্যের প্রতীক হোক !

ইসরাইল এ জঘন্য অপরাধ করে মহাখুশী এবং সেই সাথে তার গডফাদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারাও । ইসমাঈল হানিয়েই নয় তাঁর আগে হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমাদ ইয়াসীন এবং প্রাক্তন হামাস প্রধান রা'নতীসীকেও সন্ত্রাসী কায়দায় শহীদ করেছিল ইসরাইল । আর এ পর্যন্ত হামাস ও ইসলামী জিহাদের বহু অগণিত যোদ্ধা ও কম্যান্ডারকে ইসরাইল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে শহীদ করেছে। কিন্তু এর ফলে কি হামাস ও ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ সংগ্রাম নিস্তেজ ও ভেঙ্গে পড়েছে ? প্রতিবার ইসরাইলের এ ধরনের সন্ত্রাসী গুপ্ত ঘাতক হামলা ও আগ্রাসনের পর ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ সংগ্রাম ও আন্দোলন আগের চেয়ে আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ঠিক এবারও ইসমাঈল হানিয়ের শাহাদাতের পর হামাস ও ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ আন্দোলন মোটেও দুর্বল হবে না । বরং শহীদ ইসমাঈল হানিয়ের তাযা খুন ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ সংগ্রাম ও জিহাদকে আরো প্রাণোজ্জীবিত করবে। প্রতিবার যখনই ইসরাঈল ময়দানে যুদ্ধে পরাজিত ও ব্যর্থ হয়েছে ঠিক তখনই এ ধরনের অন্ধ সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। আর এটাই হচ্ছে ইসরাইলের চিরাচরিত সন্ত্রাসী চরিত্র ও রীতি। ইসমাঈল হানিয়ের হত্যাকাণ্ড ও শাহাদাত নি: সন্দেহে গাযায় ১০ মাসের আগ্রাসন ও যুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক ব্যর্থতার প্রমাণ। ইসরাইল ষড়যন্ত্র ও বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের স্থানীয় ও আঞ্চলিক চরদের মাধ্যমে তেহরানে এ জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং শীঘ্রই এর দাঁতভাঙ্গা ও উপযুক্ত জবাব ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের সকল প্রতিরোধ আন্দোলনের কাছ থেকে পাবে । আর এটা হবে তীব্র প্রতিশোধ ও ইন্তিকাম ।

ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ জঘন্য সন্ত্রাসী অপরাধ করে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে সাংঘাতিক প্রচার প্রচারণা চালাবে এবং দেখানোর‌ চেষ্টা করবে যে ইসরাইল ও পশ্চিমারা কত শক্তিশালী, শক্তিধর ও ক্ষমতাবান যে তারা যেখানে ইচ্ছা সেখানে যে কোনো ধরনের হামলা ও অভিযান চালাতে সক্ষম এবং তারা অত্র অঞ্চল ও বিশ্বের অধিবাসীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করবে যে আমাদের বিরুদ্ধে লড়তে আসলে সবার এমন পরিণতি ও ভাগ্য বরণ করতে হবেই। কিন্তু গাযাবাসী , লেবাননের হিজবুল্লাহ , ইরাক , সিরিয়া , ইয়ামান ও অত্র এলাকার প্রতিরোধ আন্দোলন এ সব হুমকি ধামকি ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় মোটেও ভীত নয় । বরং তারা ইসরাইল ও তার প্রভু গডফাদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের আধিপত্য কামী দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ সংগ্রাম পূর্ণ গতিতে চালিয়ে যাবে চূড়ান্ত বিজয় সাফল্য অর্জন করা পর্যন্ত। গত চল্লিশ বছরে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের জবরদখল আফগানিস্তানে ব্যর্থ ও পরাস্ত হয়েছে। আর ইরাক দখল করলে সেখানেও মার্কিন ও পশ্চিমা দখলদারিত্ব পরাস্ত হয়েছে। সিরিয়ায় পাশ্চাত্য ও ইসরাইল সন্ত্রাসীদের দিয়ে সিরীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে সেই যুদ্ধেও ব্যর্থ হয়েছে। পশ্চিমারা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও সিরিয়া দখল করার জন্য দায়েশ বা আইসিসের মতো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করার চেষ্টা করলে জেনারেল কাসেম সুলাইমানীর নেতৃত্বে প্রতিরোধ আন্দোলনের কাছে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ও পরাস্ত হয়েছে। আর সেই রোষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে কাপুরুষোচিত পন্থায় হত্যা ও শহীদ করে জেনারেল কাসেম সুলাইমানী ও ইরাকের হাশদুশ শাবী ( গণবাহিনী ) প্রধান আবু মাহদী আল - মুহান্দিসকে । অথচ শহীদ কাসেম সুলাইমানী ইরাক সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে সে দেশ সফররত ছিলেন। আর ঠিক গাযায় হামাস ও ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধে ইসরাঈল ব্যর্থ হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অত্র অঞ্চলে পশ্চিমা ও ইসরাইলের চরদের দিয়ে তেহরানে এ জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ইসরাইল দীর্ঘ ১০ মাস ধরে আগ্রাসন ও যুদ্ধ চালিয়েও মানবতাবিরোধী সব ধরনের অপরাধ করেও ৪০০০০ গাযাবাসী যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী তাদের হত্যা করেও ৮৮০০০ এর বেশি গাযাবাসীকে আহত করেও হামাস ও ফিলিস্তিনী যোদ্ধাদের পরাজিত করতে পারে নি এবং তাদের হাতে বন্দী ইসরাইলীদের মুক্ত ও উদ্ধার করতে পারে নি এবং হামাসকেও গাযার প্রশাসন থেকে উৎখাত করতে পারে নি। ইসরাইল এ যুদ্ধের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য ও কোন সাফল্য ই অর্জন করতে পারে নি। আর এ কারণেই তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তর প্রধান ইসমাঈল হানিয়েহকে সন্ত্রাসী কায়দায় শহীদ ও হত্যা করে নেতানিয়াহু এটাকে গাযা যুদ্ধে তার বিরাট বড় সাফল্য হিসেবে দেখিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে নিজেকে বিচার ও কারাবরণ থেকে রক্ষা করতে কাজে লাগাবে । আর সেই সাথে ইরানের সামরিক ,নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা শক্তি ও সামর্থকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবে। শহীদ হানিয়েকে তেহরানে হত্যা করার চেয়ে কাতার বা অন্য কোথাও হত্যা করা শহীদ হানিয়েকে তেহরানে হত্যা করার চেয়ে কাতার বা অন্য কোথাও হত্যা করা অধিক সহজ ছিল। কিন্তু ইরান বিরোধী ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য ইসরাইল ইসমাঈল হানিয়েকে তেহরানে হত্যা করাটাই বেছে নিয়েছে এবং এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অবশ্যই ইসরাইলকে সাহায্য ও সহাযোগিতা করেছে। কিন্তু এ অপরাধের শাস্তি ও মাশুল অবশ্যই ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে এবং এ অপরাধের জন্য ইসরাইলের পতন , ধ্বংস ও বিলুপ্তি ত্বরান্বিত হবে।

আসলে ইসরাইল তূফানুল আকসা অভিযানের পর থেকে ধ্বংস ও বিলুপ্তির অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে এবং ডুবন্ত ব্যক্তি এমনকি খরকুটা ধরেও বাঁচার চেষ্টা করে। তাই ডুবন্ত ইসরাইল এ ধরনের অপরাধ করে খরকুটা ধরে বাঁচার চেষ্টা করার মতো ব্যর্থ চেষ্টা করছে।

শহীদ ইসমাঈল হানিয়েহ গতকাল ( ৩০ জুলাই ২০২৪ ) ইরানী পার্লামেন্টে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাস'ঊদ পেযেশকিয়নের শপথ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি ছিলেন। তাঁকে এ ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যা ও শহীদ করে ইসরাইল ও তার মিত্ররা সকল আন্তর্জাতিক রীতি নীতি ভঙ্গ ও পদদলিত করেছে । [ ইসরাইল এ হামলা করে এক জাতির জনপ্রিয় নেতা ও নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ গাযা সরকার প্রধান ( ইসমাঈল হানিয়েহ ) যিনি ইরানের রাষ্ট্রীয় অতিথি ছিলেন তাঁকে হত্যা করেছে যার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার বৈধ অধিকার ইরানের রয়েছে যেহেতু তিনি ইরানের রাষ্ট্রীয় অতিথি ছিলেন সেহেতু এবং ইসরাইলের এ হামলা ও হত্যাকাণ্ড ইরানের সার্বভৌমত্ব , জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের লংঘন এবং এ অপরাধের জন্য ইরান ইসরাইলকে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার বৈধ অধিকার রাখে । এখানে ইসরাইল আসলে তিনটা গুরুতর অপরাধ করেছে এবং এ জন্য ইসরাইল তিনটা গুরু শাস্তি পাওয়ার যোগ্য । ]

এর মাধ্যমে ইসরাইল , তার মিত্ররা এবং গডফাদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারো নিজেদেরকে সন্ত্রাসী , সন্ত্রাসবাদী ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হোতা ও প্রবক্তা এবং বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি বলে প্রমাণ করল ! ইসরাইল এ অপরাধের দায় দায়িত্ব থেকে পালাতে পারবে না।

এবং তারা ( ঈসার শত্রুরা ) ষড়যন্ত্র করল ; আর আল্লাহও ( তা নিষ্ফল করার ) কৌশল করলেন , এবং আল্লাহ সর্বাপেক্ষা কৌশলী । ( সূরা -ই আলে ইমরান : ৫৪ )

মহান আল্লাহ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর শত্রু ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল ও বাঞ্চাল করে দিবেন।

সত্যের বিজয় ও বাতিলের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। আর এটাই মহান আল্লাহর আল - কুরআনের প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদা ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .