۲۴ آذر ۱۴۰۳ |۱۲ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 14, 2024
কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ও লোকসভা সদস্য শশী থারুর
কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ও লোকসভা সদস্য শশী থারুর

হাওজা / সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিবেদক: রাসেল আহমেদ রিজভী

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতি হিন্দুদের বাড়ি-ঘর ও উপাসনালয় রক্ষা করতে দেশের ছাত্র-জনতা এগিয়ে এসেছে। তারা রাত জেগে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির ও বাড়ি-ঘর পাহারা দিচ্ছে এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ও লোকসভা সদস্য শশী থারুর বলেছেন, ‘দুয়েকটা ঘটনা যে ঘটছে না তা নয়। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও দেখতে হবে দাঙ্গার মধ্যেই বাংলাদেশের মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দির রক্ষা করছেন। এমন খবর আমরা পড়ছি।’ শনিবার (১০ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শশী থারুর বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সাল থেকেই আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আছি। নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে আমরা সম্পর্ক বজায় রেখেছি। এমনকি যে সরকারই এসেছে, তাদের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল। দেশটির সরকার যখন কথা বলেছে, আমরা সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছি।’

শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া না হলে ভারতের জন্য লজ্জাজনক হত বলে মনে করেন লোকসভার এ সদস্য। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বর্তমান সরকার ও বিরোধী দলের সব ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার সুসম্পর্ক ছিল, তিনি ভারতের বন্ধু এবং ভারত তার বন্ধু। যখন কোনো বন্ধু সমস্যায় পড়ে তখন আপনি তাদের সাহায্য করার জন্য দু’বার ভাববেন না। আপনি বন্ধুকে উদ্ধার করবেন নিরাপত্তা দেবেন। ভারত ঠিক এটিই করেছে এবং এটি করার জন্য আমি সরকারকে সাধুবাদ জানাই।’

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কংগ্রেসের এ নেতা বলেন, ‘আমার যতদূর মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সবাই চেনেন। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি, অন্য ভারতীয় নেতারাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকে দেখেছেন। তিনি অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি।’

ড. ইউনূস কিছুটা ওয়াশিংটনপন্থী উল্লেখ করে শশী থারুর বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে তিনি জামায়াতে ইসলামি বা পাকিস্তানি আইএসআই নয়, কিছুটা ওয়াশিংটনপন্থী। এই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা কেউ পরিচিত নন। কিন্তু মনে হচ্ছে না এরা কেউই ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ। তবে বড় উদ্বেগের বিষয় পাকিস্তান ও চীন ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে কি না।’

تبصرہ ارسال

You are replying to: .