মহান আল্লাহতালার নিকট ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শান ও মান এতটাই উচ্চাসিন যে তাঁর (আ.) জন্য কান্না ও আহাজারি করে কিংবা তাঁর পবিত্র সমাধি জিয়ারতে গিয়ে তীব্র রোদ, বৃষ্টি ও নানাবিধ প্রতিকূলতা ও কষ্ট সহ্য করেও মানুষ নিজের পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন,
أَنَّ زَائِرَهُ لَیَخْرُجُ مِنْ رَحْلِهِ فَمَا یَقَعُ فَیْئُهُ عَلَى شَیْءٍ إِلَّا دَعَا لَهُ، فَإِذَا وَقَعَتِ الشَّمْسُ عَلَیْهِ، أَکَلَتْ ذُنُوبَهُ کَمَا تَأْکُلُ النَّارُ الْحَطَب. وَ مَا تُبْقِی الشَّمْسُ عَلَیْهِ مِنْ ذُنُوبِهِ شَیْئاً، فَیَنْصَرِفُ وَ مَا عَلَیْهِ ذَنْب.
ইমাম হোসাইন (আ.) এর যিয়ারতকারী যখন যিয়ারতের উদ্দেশ্যে তার ঘর থেকে বের হয়, তখন তার ছায়া কোনো কিছুর উপর পড়ে না- যতক্ষণ না ঐ জিনিসটি তার জন্য দোয়া করে এবং যখন তার উপর সূর্যের আলো (রোদ) পড়ে- তখন তা তার গুনাহগুলোকে ধ্বংস করে দেয়, যেমন আগুন কাঠকে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়।
[কামিলুয্ যিয়ারত, পৃষ্ঠা- ২৭৯]
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের পবিত্র আহলে বাইতের (আ.) অনুসরণ, অনুকরণ ও তাদের উৎসর্গ ও শাহাদাত স্মরণে বেশি আহাজারি ও অশ্রুপাত এবং তাদের পবিত্র মাজারসমূহ যিয়ারত করার তাওফিক দান করুক। আমিন ইয়া র'ব্বাল আলামিন।