হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর থেকেই প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। যে কোন সময় ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে দেশটি।
এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে জাতিসংঘে একটি বিবৃতি জারি করেছে ইরানি মিশন। বিবৃতিতে ইরানের প্রতিক্রিয়ার সুস্পষ্ট ফলাফল আসা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
মেহের নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে ইসরায়েলে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান। এমনকি স্থল হামলাও করতে পারে দেশটি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রথমত ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য আগ্রাসী দেশকে শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত ইরানের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে হবে এবং ভবিষ্যতে যে কোনো আগ্রাসন ঠেকাতে (ইসরায়েলি) সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও ইরানের প্রতিক্রিয়ায় একটি সম্ভাব্য (গাজা) যুদ্ধবিরতির নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ইরান এমন সময় এবং পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া জানাবে যা ইসরায়েলিদের অবাক করে দেবে। হয়তো যখন তাদের চোখ আকাশে এবং রাডার স্ক্রিনের দিকে থাকে তখন তারা মাটিতে কোনো কিছু ঘটতে দেখে বিস্মিত হয় এবং হয়ত এই দুটিরই সংমিশ্রণ ঘটতে পারে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহের সাথে ইসরায়েলের প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। অপরদিকে ইরানে সাবেক হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় এখন তেহরানের সঙ্গেও ইসরায়েলের যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধের শংকা দেখা দিয়েছে।