۲۳ آذر ۱۴۰۳ |۱۱ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 13, 2024
যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে ইসরাইল এক বছরের মধ্যেই ধ্বসে পড়তে পারে
যুদ্ধের বিরুদ্ধে মিছিল

হাওজা / যদি হামাস ও ইসরাইলের সাথে ক্ষয়কারী যুদ্ধ অব্যাহত ও চলতে থাকে তাহলে ইসরাইল এক বছরের মধ্যেই ধ্বসে পড়তে পারে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মিডিল ইস্ট মনিটরে ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর ও প্রতিবেদন :
অবসরপ্রাপ্ত ইসরাইলী মেজর জেনারেল ইসহাক ব্রিক্ সাবধান করে বলেছেন : যদি হামাস ও ইসরাইলের সাথে ক্ষয়কারী যুদ্ধ অব্যাহত ও চলতে থাকে তাহলে ইসরাইল এক বছরের মধ্যেই ধ্বসে পড়তে পারে ( ২০২৫ সালে )।
ব্রিক বলেন : দেশ ( ইসরাইল ) আসলেই জাহান্নামের ধারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। - ব্রিকের এ কথা ইসরাইলী দৈনিক হা আরেত্সের মতামত কলামে প্রকাশিত হয়েছে।

The retired General said that Gallant has begun to realise that “the concept of total victory in Gaza is nonsense”.
অবসরপ্রাপ্ত ইসরাইলী মেজর জেনারেল বলেন যে গ্যালান্ত্ এখন উপলব্ধি করতে শুরু করেছে যে গাযায় পূর্ণ বিজয় অর্থহীন।
“It seems that he has begun to realise that failing to reach a hostage deal with Hamas would lead to a regional war that would put Israel in serious danger,” Brik said.
ব্রিক বলেন : মনে হচ্ছে যে তিনি ( গ্যালান্ত ) বুঝতে শুরু করেছেন যে হামাসের সাথে একটি যুদ্ধ বন্দী বিনিময় চুক্তিতে উপনীত হওয়ার ব্যর্থতা একটা আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে সঞ্চালিত করবে যা ইসরাইলকে মারাত্মক বিপদে ( serious danger ) ফেলে দিবে ।
https://www.middleeastmonitor.com/20240822-israel-could-collapse-within-a-year-if-war-of-attrition-continues-warns-retired-general/
এ খবর নিয়ে কিছু কথা :
অবসর প্রাপ্ত ইসরাইলী মেজর জেনারেলের এ উক্তি থেকে প্রমাণিত হয়ে যায় যে ইসরাইলের অবস্থা মোটেও ভালো না যদিও ইসরাইল নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে ৪০০০০ এর অধিক গাযাবাসীকে হত্যা ও ৯৩০০০ এর অধিক কে আহত করেছে এবং সবধরনের যুদ্ধাপরাধ করেই যাচ্ছে । এই যুদ্ধ ইসরাইলকে ক্ষয় করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে । আর এ যুদ্ধ চলতে থাকলে ইসরাইল ধ্বসে পড়তে ও মেকি রাষ্ট্রটির পতন ঘটতে (কোলাপ্স )পারে এক বছরের মধ্যেই ! মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে চরম ধৈর্যের সাথে গাযাবাসীরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ ও জিহাদ করে যাচ্ছে। মহান আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন পবিত্র কুরআনে : যারা আমাদের ব্যাপারে ( অর্থাৎ ধর্মের জন্য , ন্যায়ের জন্য, ন্যায্য হক ও অধিকারের জন্য ) জিহাদ করেছে আমরা অবশ্যই তাদেরকে আমাদের পথ সমূহে পরিচালিত করব এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথেই আছেন ( সূরা -ই আনকাবূত : ৬৯) ।
وَٱلَّذِينَ جَٰهَدُواْ فِينَا لَنَهۡدِيَنَّهُمۡ سُبُلَنَاۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَمَعَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ
যে ইসরাইল ১৯৬৭ সালে মাত্র ৬ দিনের যুদ্ধে শক্তি ধর আরব রাষ্ট্র মিসর , সিরিয়া ও জর্দানের আরব সেনাবাহিনীকে চরম ধরাশায়ী ও পর্যদুস্ত করে মিসরের হাত থেকে গাযা ও সিনাই, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং জর্দানের হাত থেকে পূর্ব জেরুজালেমসহ জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ছিনিয়ে ও দখল করে নিয়েছিল আজ ৫৭ বছর পর ইসরাইল সেই ক্ষুদ্র ভূখণ্ড গাযায় (মাত্র ৩৩০ বর্গ কিলোমিটার ) ১১ মাস ধরে সর্বাত্মক ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ এবং সব ধরনের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ করেও বিজয়ী হতে পারছে না !!! ১৯৬৭ সালে মাত্র ছয়দিনের মধ্যেই এই গাযা ভূখণ্ড ইসরাইল মিসরের কাছ থেকে কব্জা ও দখল করতে পারল অথচ এখন ২০২৪ সালে ১১ মাস ব্যাপী ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বোমাবর্ষণ ও ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়েও কেন গাযা নিয়ন্ত্রণ এবং যুদ্ধে সাফল্য ও বিজয় অর্জন করতে পারছে না অথচ মিসর ও জর্দান এখন ইসরাইলের মিত্র , গাযা ১৭ বছর ধরে ইসরাইলের আরোপিত অত্যন্ত কঠোর ও জঘন্য তাহরীমের ( অবরোধ) শিকার, প্রায় সকল তেলসমৃদ্ধ আরব দেশ ইসরাইলকে সহায়তা করছে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ন্যাটো ও প্রায় সকল পশ্চিমা দেশ সর্বাত্মক সামরিক , অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক সাহায্য, সহযোগিতা ও সমর্থন দিচ্ছে ইসরাইলকে ?!!
তুরস্ক পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছে। শুধু ইরান , লেবাননের হিজবুল্লাহ , আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়ামান , সিরিয়া এবং ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধা গ্রুপ ও গোষ্ঠী সমূহ ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস, ইসলামী জিহাদ ও ফিলিস্তিনীদেরকে সাহায্য, সহযোগিতা ও সমর্থন দিচ্ছে ।
কী এমন ঘটে গেছে যে মহাশক্তিধর ইসরাইল বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরাশক্তির সাহায্য, সহযোগিতা ও সমর্থন পুষ্ট হয়েও গাযার মতো ক্ষুদ্র একটি ভূখণ্ডের ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর সাথে যুদ্ধে পেরে উঠছে না ?!! এ অবস্থা কি
كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ ﴿۲۴۹﴾ سورة البقرة
" মহান আল্লাহর অনুমতি ক্রমে কত ক্ষুদ্র গোষ্ঠী কত বৃহৎ গোষ্ঠীর ওপর বিজয়ী হয়েছে এবং আল্লাহ ধৈর্যশীল দের আছেন । " - পবিত্র কুরআনের এ আয়াতের অন্তর্নিহিত বিষয়বস্তু ও তাৎপর্যের মূর্ত প্রতীক নয় ?!!

তাই সকল চাক্ষুষ্মানের ভাবা উচিত (ফা'তাবিরূ ইয়া উলিল আবসার ) !
আমরা কি আসলেই সঠিক ভাবে ভাবি ও চিন্তা করি ?
গাযার ব্যাপারে মুসলিম বিশ্ব প্রায় অসচেতন। কেন ?
গাযা কি পবিত্র কুরআনে বর্ণিত " মহান আল্লাহর অনুমতি ক্রমে বিজয়ী ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর ( ফিআতুন ক্বলীলাহ্ )" প্রকৃত বাস্তব নমুনা ( মিসদাক ) এবং সম্মিলিত ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা দেশগুলো এবং তাদের তল্পিবাহক আরব ও তুরস্কের মতো অনারব মুসলিম দেশগুলো "ব্যর্থ ও পরাজিত বৃহৎ গোষ্ঠীর ( ফিআতুন কাসীরাহ ) " প্রকৃত বাস্তব নমুনা নয় ?!! এ থেকে কি পবিত্র কুরআনের সত্যবাদিতা ও হক্কানিয়ত ( সত্য হওয়া ) প্রমাণিত হয় না ?!!!
পবিত্র কুরআনে আল্লাহর রাহে জিহাদের ওয়াদা কৃত দুই উত্তম কল্যাণ ( ফলাফল ও পরিণতি বা হুসনায়াইন ) একটি (১)জিহাদে বিজয় অথবা (২) শাহাদাত গাযার ক্ষেত্রে কি বাস্তবায়িত হয় নি ?
قُلْ هَلْ تَرَبَّصُونَ بِنَا إِلَّا إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ ۖ وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمْ أَنْ يُصِيبَكُمُ اللَّهُ بِعَذَابٍ مِنْ عِنْدِهِ أَوْ بِأَيْدِينَا ۖ فَتَرَبَّصُوا إِنَّا مَعَكُمْ مُتَرَبِّصُونَ

আপনি বলে দিন : তোমরা ( বিধর্মীগণ ) শুধু আমাদের ব্যাপারে কি কেবল দুটো উত্তম কল্যাণের (ফলাফল ও পরিণতি ) একটির প্রতীক্ষায় আছ ? আর আমরাও ( মুমিন মুসলমানগণ ) তোমাদের জন্য এ প্রতীক্ষায় আছি যে মহান আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে অথবা আমাদের হাতে তোমাদের শাস্তি দিবেন । অতএব তোমরা প্রতীক্ষা কর এবং আমরাও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষারত ( সূরা -ই তওবা : ৫৪)।
তূফানুল আকসা : ইন্নাহু জিহাদুন ইম্মা নাসর ওয়া ইম্মা শাহাদাহ্ !
طوفان الاقصی : إنّه جهاد إمّا نصر و إمًا شهادة .
[[ তূফানুল আকসা নিশ্চয়ই জিহাদ হয় এতে বিজয় ( অর্জিত হবে) নতুবা শাহাদাত । ]]
আর উভয়ক্ষেত্রেই ( জিহাদে বিজয় ও শাহাদাত ) রয়েছে চরম ও পরম সাফল্য ।
মুসলিম উম্মাহকে কায়মনোবাক্যে এ সত্য ও‌ বাস্তবতা উপলব্ধি ও অনুভব করতে হবে।
২২ আগস্ট ২০২৪ ( মাত্র ১২ দিন আগে ) অবসরপ্রাপ্ত ইসরাইলী মেজর জেনারেল ইসহাক ব্রিকের মন্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়ে যায় ইসরাইল নামক মেকি সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী বৈষম্যবাদী অপরাধী রাষ্ট্রটি বিলুপ্তি ও পতনের দ্বারপ্রান্তে ?!!!
এরপরও কি মুসলিম দেশগুলোর পাশ্চাত্য পন্থী বিশ্বাস ঘাতকরা ( খায়েন - গাদ্দারগণ ) পাশ্চাত্যের প্রতি ঈমান ( বিশ্বাস ) ও আস্থা পোষণ করেই যাবে ? এদের কি কভু বোধোদয় হবে না ?
এ সব খায়েন বিশ্বাস ঘাতকের জন্যই মুসলিম উম্মাহর এহেন সর্বনাশ ও দুর্গতি ।
গাযাবাসীরা নিজেদের কুরবানী ও উৎসর্গ করে মুসলিম বিশ্ব ও উম্মাহর প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা বিধান করছে । তারা যদি এই জিহাদে শহীদ হয়ে যায় তাহলে তারা পবিত্র কুরআনে ঘোষিত জিহাদের দুই উত্তম ফলাফলের একটি অবশ্যই অর্জন করবে ( শাহাদাত যা হায়াত ও জীবনের সর্বোত্তম পর্যায় যা হায়াত - ই তাইয়েবাহ্ ( পবিত্র সুন্দর জীবন) :
وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ ﴿۱۶۹﴾ آل عمران
وَلا تَقولوا لِمَن يُقتَلُ في سَبيلِ اللَّهِ أَمواتٌ ۚ بَل أَحياءٌ وَلٰكِن لا تَشعُرونَ﴿۱۵۴﴾ سورة البقرة
যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয় তাদের তোমরা অবশ্যই মৃত বিবেচনা করবে না বরং তারা জীবিত ও মহান আল্লাহর কাছ থেকে জীবিকা প্রাপ্ত ( সূরা -ই আলে ইমরান : ১৬৯ )
যারা আল্লাহর পথে নিহত ( শহীদ ) হয় তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না বরং তারা জীবিত তবে তোমরা তা অনুভব কর না ( সূরা -ই বাকারা : ১৫৪ ) ।
আর ইসরাইলের কী হবে ? যুদ্ধে যদি হামাস ও ইসলামী জিহাদকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করেও দেয় ইসরাইল তবুও ইসরাইলের শেষ রক্ষা হবে না। কারণ ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ সংগ্রামীরা ( তূফানুল আকসা অভিযানের মাধ্যমে কার্যতঃ) ইসরাইলকে ধ্বসিয়ে দিয়েছে যারফলে ইসরাইল নামক এই মেকি বর্বর রাষ্ট্রটি আর টিকে থাকতে পারবে না অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তা কোলাপ্স করবে অর্থাৎ এর পতন ঘটবে যা ঐ অবসরপ্রাপ্ত ইসরাইলী মেজর জেনারেলের কণ্ঠেও অতিসম্প্রতি ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়েছে !!
আমরা সেই সুমহান দিনের অপেক্ষায় আছি যে দিন আমরা যুগের ইমাম মাহদীর ( আ ) নেতৃত্ব ও ইমামতিতে ও হযরত ঈসা মসীহের ( আ ) সাথে কাতার বদ্ধ হয়ে পবিত্র কুদস ও মসজিদুল আকসায় জামাতে নামায আদায় করব ।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .