হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের খোরাসান রাজাভি প্রদেশের ওয়ালি ফকিহর প্রতিনিধি বলেছেন: ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.)-এর শাহাদাত সাকিফা বনি সাইদাহের ফলে ঘটে যাওয়া অবৈধ ঘটনাকে প্রতিফলিত করে।
এটি ছিল একটি তিক্ত ও অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা যা মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর ইসলামে সংঘটিত হয়েছিল এবং তা উম্মাহকে ইমামতির পথ থেকে বিচ্যুত করতে পরিচালিত করেছিল।
সফর মাসের শেষ দিনগুলোতে ইরানের খোরাসান-রিজভী প্রদেশের ওয়ালী ফকিহ প্রতিনিধি বলেছেন: মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের দিনটি আহলে বাইত (সা.)-এর সকল দুঃখ-কষ্ট ও নিপীড়নের সূচনা।
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর ইন্তেকালের দিন কিছু তথাকথিত মুসলমানের পক্ষ থেকে একটি বড় ফিতনা দেখা দেয়। যা তাঁর আহলে বাইত (আ.)-এর সকল শাহাদাত ও নিপীড়নের ভিত্তি স্থাপন করেছিল এবং এই ফিতনা ছিল ‘সাকীফাহ বনি সাইদাহ’।
আয়াতুল্লাহ আলামুল হুদা আরও বলেন: মহানবী (সা.)-এর মৃত্যু হজরত ফাতিমা জাহরা (সা.)-এর নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। আর ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.)-এর শাহাদাতকে মহানবী (সা.)-এর মৃত্যু দিবসের সঙ্গে তুলনা করা এই সত্যকে ব্যাখ্যা করে যে, তাঁর মৃত্যুদিনে যা ঘটেছিল তা ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.)-এর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকাশ ও উদাহরণ হতে পারে।
তিনি বলেন: ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.)-এর শাহাদাত সাকিফা বনী সাইদার ফলে ঘটে যাওয়া অবৈধ ঘটনাকে প্রতিফলিত করে। এটি ছিল একটি তিক্ত ও অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা যা মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর ইসলামে সংঘটিত হয়েছিল এবং তা উম্মাহকে ইমামতির পথ থেকে বিচ্যুত করতে পরিচালিত করেছিল।