হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অবস্থিত আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আগুন ধরে যায়। এতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার সেন্ট্রাল গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে অবস্থিত এই হাসপাতালের মাঠে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অস্থায়ী তাঁবুতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলার পরপরই আগুন ধরে যায়, যা ৩০টি তাঁবুতে ছড়িয়ে পড়ে। এই তাঁবুগুলোতে থাকা বেসামরিক নাগরিকরা আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মতে, ইসরায়েলের এই আগ্রাসন দেখিয়ে দিল যে, গাজার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়।
এছাড়াও আল-মুফতি স্কুলেও বোমা হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। যেখানে ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। যার মধ্যে ১৫টি শিশু এবং একজন নারী ছিলেন। এই স্কুলটিতে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল এবং এটি কোনো যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত ছিল না।
আল-মুজাহিদিন প্রতিরোধ আন্দোলন এই হত্যাকাণ্ডগুলোকে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি বিশ্বের নীরবতার প্রমাণ, যারা ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে নিশ্চুপ রয়েছে।
সংগঠনটি আরও বলেছে, ইসরায়েল গাজাজুড়ে এই ধরনের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধের ইচ্ছাকে ধ্বংস করা যায়।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে শিশুদের লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে। এতে পাঁচ শিশু নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এসব ঘটনার জন্য যুদ্ধবাজ ইসরায়েল এবং তার মিত্রদেরকেই সম্পূর্ণ দায়ী করেছে হামাসসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংগঠনগুলো।
সূত্র: আল-মায়াদিন