লেখা: মুস্তাক আহমদ
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আল্লাহ'র নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর মতে দুনিয়া'তে তিনটি গুরুত্বপুর্ণ মসজিদ আছে, আর সেই গুরুত্বপুর্ণ তিনটি মসজিদের নামঃ
(১) কুদস (বাইতুল মোক্কাদশ)
(২) কাবা (বাইতুল্লাহ)
(৩) মসজিদে নববী (মদিনা)
— এই তিনটি মসজিদ পৃথিবীর বুকে এতটাই গুরুত্বের দাবীদার যে, এই তিনটি মসজিদ যাদের হাতে থাকবে, দুনিয়া'র পরিচালন ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে৷
এই তিন মসজিদের মধ্যে প্রথম দুটি মসজিদ মুসলমানদের কেবলা ৷ আর একটি মসজিদ নবী (সঃ)-এর পাক হস্তে তৈরী৷
লক্ষ্যণীয় - আজ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলি জায়োনিষ্টদের হাতে বন্দি৷ আর এজন্য পুরো দুনিয়ার পরিচালন ক্ষমতা জায়োনিষ্টদের হাতে৷
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের প্রথম কেবলা আল কুদস অর্থাৎ বাইতুল মোক্কাদশ কত দূরে অবস্থিত??
— এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব হল, আল কুদস আমাদের থেকে ৭৩-বছর দূরে৷ এখনও আমরা আল কুদস স্পর্ষ করতে সক্ষম হইনি৷
১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ সৈয়দ রুহুল্লাহ খোমেনি আল কুদস পুণঃউদ্ধারে কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ সূত্র বলেগেছেন, তারমধ্যে একটি হল, সকলে মিলে একবালতি করে পানি নিয়ে জেরুজালেমে ঢেলে দিলে ইজরাঈল থেকে জায়োনিষ্টরা ধুয়ে মুছে পরিস্কার হয়ে যাবে৷
আজ থেকে ৪৫-বছর আগে সবাই মিলে পানি দ্বারা যে কাজ হয়ে যেত, সেই কাজটিতে যখন সব মুসলমান যোগ দেয়নি, তখন পানির বদলে রক্ত ঝরাতে হচ্ছে৷
আল্লাহর রসুল (সঃ) বলেছিলেনঃ "আমার উম্মাত ৭৩-ভাগে বিভক্ত হবে, তারমধ্যে এক ভাগ জান্নাতে যাবে, আর ৭২-ভাগ জাহান্নামে পতিত হবে৷"
ইসলামের কেবলা বায়তুল মোক্কাদশ অর্থাৎ আজ কুদস প্রসঙ্গে পরিস্কার হয়ে গেছে, কারা কুদসের জন্য জান, প্রান, রক্ত ঝরিয়ে শহীদ হচ্ছেন৷