হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের গোলেস্তান প্রদেশের ওয়ালী ফকিহ’র প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ নূরমুফিদী রাগ ও অহংকারকে জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায় ও বাঁধা উল্লেখ করে বলেন, রেওয়াতে বর্ণিত হয়েছে যে ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: “ক্রোধ মানুষের অন্তরাত্মাকে ধ্বংস করে দেয় এবং যে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সে নিজের আকল বা জ্ঞান-বুদ্ধিরও নিয়ন্ত্রণ (অর্থাৎ যথাযথ প্রয়োগ) করতে পারে না!”
আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ কাজেম নূরমফিদি গোরগানে আয্-জাহরা স্পেশালাইজড থিওলজিক্যাল মাদ্রাসা (সা.আ.)) কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক নীতিশাস্ত্র (দারসে আখলাক) সভার দ্বিতীয় বৈঠকে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সূরা লুকমানের ১২ নম্বর আয়াতের «وَ لَقَدْ آتَیْنا لُقْمانَ الْحِکْمَةَ» উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আয়াতে প্রজ্ঞার অর্থ হল সেই টান যা একজন ব্যক্তিকে করুণাময় আকর্ষণের দিকে পরিচালিত করে এবং একজন ব্যক্তিকে বিষয়বস্তু ও ঘটনাগুলি যেমনি হোক তা অন্তর্নিহিত (প্রজ্ঞাপূর্ণ) অর্থ বোঝার মতো অবস্থানে পৌঁছে দেয়।
তিনি নফসের লালসা ও কামনাবাসনা নিয়ন্ত্রণ ও ইখলাস (আত্মিক বিশুদ্ধতা ও একনিষ্ঠতা) হেকমত বা প্রজ্ঞাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছানোর অন্যতম উপায় হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.)-এর একটি রেওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনি বলেছেন: "তোমার লালসাপূর্ণ নফসকে নিয়ন্ত্রণ করো যাতে হেকমত বা প্রজ্ঞাময় অবস্থানে পৌঁছাতে পারো।"
গোলেস্তান প্রদেশের ওয়ালী ফকিহ'র প্রতিনিধি মোনাজাতে শাবানিয়ার এই অনুচ্ছেদের «إِلهی هَب لی کمالَ الإِنقِطاعِ إِلیک وأَنِر أَبصارَ قلوبِنا بِضیاءِ نَظرِها إِلیک» দিকে ইঙ্গিত করে বলেন: "ইখলাস (আন্তরিকতা) একজন ব্যক্তিকে হেকমতের অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে এবং একজন ব্যক্তিকে হাকিকত বা সত্যপথ দেখাতে পারে।
আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ নূরমুফিদী তার দারসে আখলাক বা নৈতিক শিক্ষা পাঠ ক্লাসের পরিসমাপ্তিতে এসে বলেন, রাগ ও অহংকারকে জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায় ও বাঁধা। পরিশেষে তিনি ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর উদ্বৃতি উল্লেখ করে বলেন, “ক্রোধ মানুষের অন্তরাত্মাকে ধ্বংস করে দেয় এবং যে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সে নিজের আকল বা জ্ঞান-বুদ্ধিরও নিয়ন্ত্রণ (অর্থাৎ যথাযথ প্রয়োগ) করতে পারে না!”