হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘আপনাদের (ভারতের) যদি অশুভ ইচ্ছা থাকে তাহলে আমরাও বলবো, আমাদের নবাবের এলাকা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা আমরা দাবি করবো’-আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের হামলার প্রতিবাদে গত ৪ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা বলেছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এই বক্তব্য শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিধানসভায় নিজের বক্তব্যের সময় রিজভীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। বিএনপির শীর্ষ নেতার নাম মুখে না এনেই মমতা বলেছেন, ‘তারা কেউ কেউ বলছে বিহার দখল করব, উড়িষ্যা দখল করব। আমি বলি ভাই, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন। কিন্তু এতবড় হিম্মত আপনাদের কেন কারো নেই যে বাংলা বিহার উড়িষ্যা সব নিয়ে নেবেন আর আমরা বসে বসে ললিপপ খাব।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শান্তি-সংযমের বার্তা দিলেও হঠাৎ বাংলাদেশ ইস্যুতে উচ্চবাচ্য করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি এক বক্তব্যে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে ভারত সরকারকে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনারও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
পরে নিজের দেশেই বেফাঁস এই মন্তব্যের জন্য কথা শুনতে হয়েছে তাকে। ভারতীয় কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা এবং দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শশী থারুর সরাসরি তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী কোথায় কেন পাঠানো হয়, সে বিষয়ে মমতার আদৌ জানাশোনা আছে কিনা সেটা নিয়ে তার সন্দেহ আছে।
এদিকে বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনার মধ্যে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রা। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর বিক্রম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আমি জোর দিয়ে বলেছি যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক চায়। আমরা সবসময়... অতীতেও দেখেছি; এবং আমরা ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ককে একটি জনকেন্দ্রিক এবং জনমুখী সম্পর্ক হিসেবে দেখব। যে সম্পর্কের কেন্দ্রে থাকবে সকল মানুষের কল্যাণ।’
آپ کا تبصرہ