হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি সরকারের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে ইসলামি দেশ সৌদি আরবে বিশ্বের মুসলমানরা যাকে পবিত্র স্থান মনে করতেন সেখানে এমন কিছু কাজ হচ্ছে যা হয়তো আগে কল্পনাও করা হয়নি। আগে এই পবিত্র শহরে সিনেমা এবং সঙ্গীত কনসার্টের পর, হ্যালোইনও পালিত হচ্ছে।
সৌদি আরব, যা মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান, সেখানে শয়তানের আধিপত্য চলছে। সৌদি আরবই একমাত্র দেশ যেখানে মুসলমানরা শয়তানের তিনটি প্রতীককে পাথর মেরে হত্যা করলেও এখন এদেশে শয়তান উপাসক জন্ম নিচ্ছে।
একদিকে বিশ্বজুড়ে মুসলিম ধর্মীয় নেতা ও পণ্ডিতরা হ্যালোইন উদযাপন নিষিদ্ধ করেছেন, অন্যদিকে আল সৌদ সরকারের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এসব কিছু উপেক্ষা করে সৌদি আরবে শয়তানবাদীদের সমর্থন করছেন।
সালমান বিন আবদুল আজিজ সৌদি আরবের শাসক হওয়ার পর থেকে এবং তার পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমান ক্রাউন প্রিন্স হয়েছেন, তারা শয়তানবাদীদের দেশে হ্যালোইন উদযাপন করার অনুমতি দিয়েছে।
মুসলিম পণ্ডিত ও ধর্মীয় নেতারা বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সৌদি আরবের মতো একটি ইসলামিক দেশে এ ধরনের অশুভ কর্মকাণ্ড হচ্ছে তা বিশ্বাস করা কঠিন।
সর্বোপরি, সৌদি আরবে এমন শয়তানী ঘটনার প্রয়োজনীয়তার কারণ কী? এটি দেখায় যে আলে সৌদ সরকারের দৃষ্টিতে ইসলামের কোন গুরুত্ব নেই এবং এই কারণেই তাদের কোন কাজেই ইসলামী সংস্কৃতির কোন আভাস দেখা যায় না।
সৌদি আরব সেই একই দেশ যেখানে জান্নাতুল-বাকীতে মহানবী (সা.)-এর আহলে বাইতের কবর ভেঙে ফেলা হয়েছিল কারণ তারা একে মূর্তিপূজা বলতো আজ তারা সৌদি শয়তানের মূর্তি বানিয়ে তা পালন করছে।
আলে সৌদ কি ভুলে গিয়েছে যে আল্লাহ এবং মহানবী (সা.) মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে মুসলমানদের সতর্ক করেছেন?