রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ১- তূফানুল আকসার জিহাদের ৮৮ তম দিবসে হামাসের রাজনৈতিক দফতরের উপপ্রধান সালেহ আল - আরূরী লেবাননের রাজধানী বৈরূতের দক্ষিণ অংশে ( আদ দ্বহীয়া আল - জুনূবীয়ায় ) স্বীয় বাসভবনে ঘাতক ইসরাইলী ড্রোনের হামলায় শহীদ হয়েছেন এবং তাঁর সাথে আরো ৬ জন শহীদ হয়েছেন।
সালেহ আল - আরূরীর বোন , ভাইয়ের শাহাদাতের খবর শুনে বলেছেন : " মহান আল্লাহর সকল প্রশংসা ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে শাহাদাতের মাধ্যমে আমাদের সালেহকে মাথা উঁচু ও অত্যন্ত সম্মানিত করেছেন। শাহাদাত ছিল তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা যার অন্বেষণ সে সবসময় করেছে । "
আল - জাযীরার সাথে প্রদত্ত তার সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে শহীদ সালেহ বলেছিলেন : " (গাযায়) ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ ও সার্বিক ও চূড়ান্ত যুদ্ধ বিরতি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবন্দী বিনিময় হবে না । "
তিনি ঐ সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন : " যুদ্ধ বন্ধ এবং সকল ফিলিস্তীনী বন্দী মুক্ত হওয়ার শর্তেই কেবল যায়নবাদী যুদ্ধবন্দীরা মুক্ত হবে । "
শহীদ সালেহ আল আরূরীর হত্যাকাণ্ডকে ২২০০০ গাযাবাসীকে বোমাবর্ষণ করে হত্যা এবং ৫২০০০- এর অধিক কে আহত করা এবং গাযার খানিকটা ভূখণ্ড দখলের সাথে যুদ্ধে ইসরাইলের এক বিরাট সাফল্যে বলে দেখানোর চেষ্টা করবে নেতানিয়াহু সরকার যাতে সে দুর্নীতির মামলা ও বিচারে জেলে যাওয়া থেকে রেহাই পেতে সক্ষম হয় !!!
আরো এক মাসও যদি এ যুদ্ধ ও আগ্রাসন চলে তাহলে তা ইসরাইলের জন্য অনেক মারাত্মক হবে । আর যুদ্ধ জয় এবং ঘোষিত চূড়ান্ত লক্ষ্য সমূহ অর্জন তো দূরের কথা ইসরাইল এ যুদ্ধে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সামরিক সাফল্য অর্জন করতে পারছে না। আর এ কারণেই ইসরাইল ফিলিস্তীনী প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতাদের বিশেষ করে হামাস ও ইসলামী জিহাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে হত্যার মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দিকে ঝুঁকেছে ।