অনুবাদ: ড. সামিউল হক
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, শাবান মাসের প্রাত্যহিক ফরজ নামাযের পরে পড়ার দোয়া:
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَي مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
হে আলল্লাহ! মুহাম্মদ ও (আহলে বাইত) তার বংশধরের উপর দরূদ প্রেরণ করুণ।
شَجَرَهِ النُّبُوَّهِ وَ مَوْضِعِ الرِّسَالَهِ وَ مُخْتَلَفِ الْمَلاَئِكَهِ وَ مَعْدِنِ الْعِلْمِ وَ أَهْلِ بَيْتِ الْوَحْيِ
(আহলে বাইত হল) নবুওতের বৃক্ষ, রেসালতের কেন্দ্র, হরেকরকম ফেরেশ্তাদের আনাগোনার স্থান, জ্ঞানের ভান্ডার এবং ওহির পরিবার।
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَي مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
হে আলল্লাহ! মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর দরূদ প্রেরণ করুণ।
الْفُلْكِ الْجَارِيَهِ فِي اللُّجَجِ الْغَامِرَهِ يَأْمَنُ مَنْ رَكِبَهَا وَ يَغْرَقُ مَنْ تَرَكَهَا
(আহলে বাইত হল) গভীড় সমূদ্রের উপর চলন্ত নৌকা, যে তাতে উঠবে সে নাযাত পাবে এবং যে তা পরিহার করবে সে ডুবে যাবে।
اَلْمُتَقَدِّمُ لَهُمْ مَارِقٌ وَ الْمُتَأَخِّرُ عَنْهُمْ زَاهِقٌ وَ اللاَّزِمُ لَهُمْ لاَحِقٌ
যে তাদের অগ্রভাগে চলবে, সে ধর্ম থেকে বিচ্যুত হবে এবং যে তাদের থেকে পিছনে পরে যাবে সে ধংশ হবে কারণ তাদের সান্নিধ্যই সত্যের সান্নিধ্য।
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَي مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
হে আলল্লাহ! মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর দরূদ প্রেরণ করুণ।
الْكَهْفِ الْحَصِينِ وَ غِيَاثِ الْمُضْطَرِّ الْمُسْتَكِينِ وَ مَلْجَإِ الْهَارِبِينَ وَ عِصْمَهِ الْمُعْتَصِمِينَ
(আহলে বাইত হল) নির্ভেদ আশ্রয়স্থল। নিরূপায়-কুলহীনদের ভরসাস্থল, পলায়নরত লোকদের আশ্রয়স্থল এবং যুদ্ধকামিদের শক্ত ঢাল।
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَي مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
হে আলল্লাহ! মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর দরূদ প্রেরণ করুণ।
صَلاَهً كَثِيرَهً تَكُونُ لَهُمْ رِضًا وَ لِحَقِّ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ أَدَاءً وَ قَضَاءً بِحَوْلٍ مِنْكَ وَ قُوَّهٍ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ
তাদের উপর বর্শিত হোক অসংখ্য দরূদ যাতে তারা সন্তুষ্ট হয়। আর মুহাম্মদ ও তার বংশধরের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা তোমার সাহায্য ও শক্তি চাই ওহে পরওয়ারদেগার!
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَي مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
হে আলল্লাহ! মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর দরূদ প্রেরণ করুণ।
الطَّيِّبِينَ الأَْبْرَارِ الأَْخْيَارِ الَّذِينَ أَوْجَبْتَ حُقُوقَهُمْ وَ فَرَضْتَ طَاعَتَهُمْ وَ وِلاَيَتَهُمْ
কারণ (আহলে বাইত হল) পবিত্র, সৎকর্মশীল ও ভালো মানুষ। যাদের হক আদায় করা ওয়াজিব, এবং যাদের আনুগত্য করা ও বেলায়াত মেনে নেয়া ওয়াজিব।
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَي مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
হে আলল্লাহ! মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর দরূদ প্রেরণ করুণ।
وَ اعْمُرْ قَلْبِي بِطَاعَتِكَ وَ لاَ تُخْزِنِي بِمَعْصِيَتِكَ
(ওহে পরওয়ারদেগার!) আমার কলব তোমার আনুগত্য দ্বারা আবাদ কর এবং অবাধ্য হয়ে আমাকে অপদস্থ করোনা।
وَ ارْزُقْنِي مُوَاسَاهَ مَنْ قَتَّرْتَ عَلَيْهِ مِنْ رِزْقِكَ بِمَا وَسَّعْتَ عَلَيَّ مِنْ فَضْلِكَ
(ওহে পরওয়ারদেগার!) যাকে তুমি রিজিক দিয়েছো, তাদের সান্নিধ্য লাভ করার তৌফিক দাও, যেটা হবে আমার প্রতি তোমার করুণা,
وَ نَشَرْتَ عَلَيَّ مِنْ عَدْلِكَ وَ أَحْيَيْتَنِي تَحْتَ ظِلِّكَ
আমার প্রতি তোমার ঢেলে দেয়া ন্যয়পরায়নতা। আর তোমার ছায়ায় আমাকে রিজিক দিয়ে বাচিয়ে রাখো।
وَ هَذَا شَهْرُ نَبِيِّكَ سَيِّدِ رُسُلِكَ شَعْبَانُ الَّذِي حَفَفْتَهُ مِنْكَ بِالرَّحْمَهِ وَ الرِّضْوَانِ
আর এ মাস তো তোমার নবীর মাস, যিনি সকল নবীর সর্দার। যাকে তোমার পক্ষ্য থেকে রহমত ও সন্তুষ্টি দিয়ে ঢেকে দিয়েছো এ মাসে।
الَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّي اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ وَ سَلَّمَ يَدْأَبُ فِي صِيَامِهِ
যে মাসে রাসূল স. দিনে রোজা রাখতেন, এ মাসের সম্মানেখূদার্থ থাকতেন।
وَ قِيَامِهِ في لَيَالِيهِ وَ أَيَّامِهِ بُخُوعاً لَكَ فِي إِكْرَامِهِ وَ إِعْظَامِهِ إلَي مَحَلِّ حِمَامِهِ
রাতব্যপি কিয়াম করতেন।
اَللَّهُمَّ فَأَعِنَّا عَلَي الاِسْتِنَانِ بِسُنَّتِهِ فِيهِ وَ نَيْلِ الشَّفَاعَهِ لَدَيْهِ
হে আল্লাহ! এ মাসে তার সুন্নত অনুসরণ করার তৌফিক দাও এবং তার শাফাআত নসীব করো।
اَللَّهُمَّ وَ اجْعَلْهُ لِي شَفِيعاً مُشَفَّعاً وَ طَرِيقاً إلَيْكَ مَهْيَعاً
হে আল্লাহ! তাকে আমার জন্য তোমার পক্ষ থেকে মনোনীত শাফী বানিয়ে দাও যার মাধ্যমে তোমার দিকে ধাবিত হতে পারি।
وَ اجْعَلْنِي لَهُ مُتَّبِعاً حَتَّي ألْقَاكَ يَوْمَ الْقِيَامَهِ عَنِّي رَاضِياً وَ عَنْ ذُنُوبِي غَاضِيا
আমাকে তার অনুসারি বানিয়ে দাও, যাতে কেয়ামতের দিন তোমার সাক্ষাৎ পাই আমার প্রতি তোমার সন্তুষ্টচিত্তে এবং গুনাহ থেকে দূরে রেখে বা উপেক্ষা করে।
قَدْ أَوْجَبْتَ لِي مِنْكَ الرَّحْمَهَ وَ الرِّضْوَانَ وَ أَنْزَلْتَنِي دَارَ الْقَرَارِ وَ مَحَلَّ الأَْخْيَارِ
আর আমার প্রতি তোমার রহমত ও সন্তুষ্টি আবশ্যক করো আর আমাকে উত্তম বেহেশ্তবাসীদের সাথে স্থান দিয়ো।