হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, নিম্নোক্ত হাদিসটি "এলালুশ-শেরায়ে" বই থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
হাদিসটি নিম্নরূপ।
ইমাম রেজা (আ:) বলেছেন:
الإمامُ الرِّضا علیه السلام ـ في علّةِ وُجوبِ الصَّومِ ـ: لِكَي يَعرِفُوا ألَمَ الجُوعِ و العَطَشِ، و يَستَدِلُّوا على فَقرِ الآخِرَةِ، و لِيكونَ الصائمُ خاشِعا ذَليلاً مُستَكينا مَأجُورا مُحتَسِبا عارِفا صابِرا على ما أصابَهُ مِن الجُوعِ و العَطَشِ، فَيَستَوجِبَ الثَّوابَ مَع ما فيهِ مِنَ الإمساكِ عنِ الشَّهَواتِ، و لِيكونَ ذلكَ واعِظا لَهُم في العاجِلِ، و رائضا لَهُم على أداءِ ما كَلَّفَهُم و دَليلاً لَهُم في الأجرِ، و لِيَعرِفوا شِدَّةَ مَبلَغِ ذلكَ على أهلِ الفَقرِ و المَسكَنَةِ في الدنيا، فَيُؤَدُّوا إلَيهِم ما فَرَضَ اللّهُ لَهُم في أموالِهِم.
ইমাম রেজা (আ:) রোজা ফরজ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন: (রোজা আল্লাহ ফরজ করেছেন)।যাতে মানুষ ক্ষুধা ও তৃষ্ণার যন্ত্রণা ও কষ্ট অনুভব করে এবং পরকালে তাদের ভাগ্য উপলব্ধি করতে পারে এবং ক্ষুধা ও তৃষ্ণার প্রভাবে যারা রোজা রাখে তারা বিনয়ী, নম্র, মহান, আল্লাহর খুশি, পুরস্কারের সন্ধানকারী, জ্ঞানী এবং ধৈর্যশীল হয়। আর সেই কারণেই তাদেরকে পুরস্কারের যোগ্য ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ইন্দ্রিয় কামনা থেকে দূরে থাকারও একটি কারণ রোজা।
আর সেই রোজা যেন দুনিয়াতে তাদের জন্য স্মারক হয়ে ওঠে এবং তাদেরকে শান্ত ও তাদের দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত করে এবং মানুষকে সওয়াব অর্জনের পথ দেখায়। এবং তারা যেন ক্ষুধা ও তৃষ্ণা অনুভব করে যে অভাবী ও দরিদ্ররা এই পৃথিবীতে কষ্ট পাচ্ছে এবং অবশেষে তাদের সেই অধিকার পরিশোধ করে যা আল্লাহ তাদের সম্পত্তি ও সম্পদের উপর ফরজ ঘোষণা করেছেন।
(এলালুশ-শেরায়ে ২৭০)