۲۵ آذر ۱۴۰۳ |۱۳ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 15, 2024
হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা
পর্তুগিজ পতাকা ধারী জাহাজ বহু দূরে আরব সাগরে আঘাত প্রাপ্ত হলে তা (ইয়ামানের) হুথি বিদ্রোহীদের শক্তি সামর্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা উচ্চকিত করছে ।

হাওজা / পশ্চিমারা বিশেষ করে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)এবং ইসরাইল , ইরান , ইয়ামান , ফিলিস্তীন , গাযা , হামাস , হিজবুল্লাহ ও ইরাক - সিরিয়ার ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে যা যা দাবি করে তা কালক্রমে মিথ্যা প্রমাণিত হয় !

রিপোর্ট: আব্দুল করিম

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমারা বিশেষ করে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)এবং ইসরাইল , ইরান , ইয়ামান , ফিলিস্তীন , গাযা , হামাস , হিজবুল্লাহ ও ইরাক - সিরিয়ার ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে যা যা দাবি করে তা কালক্রমে মিথ্যা প্রমাণিত হয় !

এই অল্প কিছুদিন আগেও মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) অথবা ইসরাইলের কোনো এক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিল যে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরার ( যুক্তরাজ্য ) আক্রমণে বাবুল মান্দাব ও এডেন সাগরে হুথিদের নাকি সামুদ্রিক জাহাজ আক্রমণের ক্ষমতা অনেক কমে গেছে। দেখুন :

পর্তুগিজ পতাকা ধারী জাহাজ বহু দূরে আরব সাগরে আঘাত প্রাপ্ত হলে তা (ইয়ামানের) হুথি বিদ্রোহীদের শক্তি সামর্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা উচ্চকিত করছে । (উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা)

এই প্রতিবেদনের এক স্থানে বলা হয়েছে :

Houthi attacks had dropped in recent weeks as the rebels were targeted by a U.S.-led airstrike campaign in Yemen.

ইয়ামানে মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) নেতৃত্বে বিমান হামলা ক্যাম্পেইনের কারণে সাম্প্রতিক সপ্তাহ গুলোয় হুথি বিদ্রোহীরা টার্গেট ও শিকার হলে হুথিদের হামলা পড়ে ( কমে ) গিয়েছিল।

আর এখন ফাইনালসিয়াল টাইমস্ বলছে যে হুথিরা আরো অধিক বিস্তৃত ভারত মহাসাগর পর্যন্ত সামুদ্রিক জাহাজ চলাচলের ওপর আক্রমণের ব্যাপকতা দান করেছে। মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অত্যাধুনিক ও দামী ড্রোন ভূপাতিত করার পর ইয়ামানের পক্ষ থেকে নতুন রাউন্ড ও ধারার হুমকি দেখতে পাচ্ছেন।

শুধু তাই নয় এ প্রতিবেদনের এক স্থানে লেখা হয়েছে : হুথিদের হামলা বিশ্ব বাণিজ্য ব্যাহত ও বিপর্যস্ত এবং ইসরাইলের ঈলাৎ বন্দরে সামুদ্রিক জাহাজ চলাচলকে ( নেতিবাচক ভাবে) প্রভাবিত করেছে।

"The Houthi attacks have disrupted global trade and affected traffic at Israel’s Eilat port.

People in Houthi-controlled areas of Yemen have been protesting in large numbers every Friday since the start of the war to express solidarity with Palestinians and condemn Israel and its Western allies."

https://www.aljazeera.com/news/2024/4/27/yemens-houthis-damage-oil-tanker-shoot-down-us-drone#:~:text=The%20Houthi%20attacks,its%20Western%20allies.

https://www.aljazeera.com/news/2024/4/27/yemens-houthis-damage-oil-tanker-shoot-down-us-drone

তাহলে ঐ সংবাদ পত্রের দাবি এবং ফাইনাল সিয়াল টাইমসের এ প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে আগের সংবাদ পত্রের দাবি ঠিক ছিল না।প্রায় ৪ মাস ধরে হুথিদের লক্ষ্য বস্তু সমূহের ওপর মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরার ( যুক্তরাজ্য ) ক্রমাগত ও ক্রমবর্ধমান হামলায় হুথিদের আক্রমণ ক্ষমতা মোটেও হ্রাস পায় নি এবং এখন তা আরো সম্প্রসারিত হয়েছে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত ! আসলে ৪ মাস ধরে ইয়ামানের হুথিদের ওপর অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরার (যুক্তরাজ্য) হামলা সমূহ ব্যর্থই হয়েছে !!! এই যদি হয় অবস্থা তাহলে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও দারিদ্র্য ক্লিষ্ট ইয়ামান যা ইরানের কাছ থেকে অস্ত্র ও সমর প্রযুক্তি পেয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরার (যুক্তরাজ্য) কোমর ভেঙে ও ব্যর্থ করে দিতে পারে তাহলে সেই ইয়ামানের চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী ইরান গত ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইসরাইলের কেমন ভীষণ ক্ষতি করেছে , মার দিয়েছে ও বারোটা বাজিয়েছে তা বেশ ভালোভাবেই অনুমেয় এবং বোঝাও যায় যদিও ইসরাইল ও মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম সমূহ বলছে ইরানী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সমূহের ৯৯% নাকি ইসরাইলী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঠেকিয়ে দিয়েছে , যদিও হাআরেটসের মতো ইসরাইলী দৈনিকের প্রশ্ন যে ইরানের হামলার দশ দিন গত হয়ে যাওয়ার পরেও কেন ইসরাইলীরা নেগেভ ও অন্যান্য এলাকায় ইরানী ক্ষেপণাস্ত্রের অক্ষত খোল ও ধর ( intact body ) খুঁজে পাচ্ছে যার মানে হচ্ছে যে ইরানী ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা !! আর ইরানী ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ার হেড কাঙ্খিত ইসরাইলী লক্ষ্য বস্তু সমূহের ওপর ঠিকই আঘাত হেনেছে। যদি ইসরাইলী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশেই ইরানী ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ও ধ্বংস (ইন্টারসেপ্ট ) করতে সক্ষম ও সফল হত তাহলে ইরানী ক্ষেপণাস্ত্রের এত অক্ষত খোল ও ধর পাওয়া যেত না এবং সেগুলো ইন্টারসেপ্টোরের আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যেত !!!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .