হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধে নৃশংস গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পারা, হামাসের ভূগর্ভস্থ টানেলের কুল কিনারা খুঁজে না পাওয়া, ইরান ও ইরান নিয়ন্ত্রিত প্রতিরোধ সংগঠন লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ ও ইরাকের বিভিন্ন প্রতিরোধ সংগঠনের ক্রমাগত হামলায় তাদের বহুল প্রচারিত শক্তিশালী বাহিনী ও নিশ্ছিদ্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা প্রকাশিত হয়ে যাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ চরম মতবিরোধ ও আন্তর্জাতিক চাপে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী গতকাল রাতে মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক-নিরাপত্তা বৈঠকে যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেয়। ইসরায়েলের মারিভ ও ইয়েনেট নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।
ইয়েনেটের এক প্রতিবেদনে যদিও বলা হয়েছে যে, মন্ত্রিসভায় যারা ছিলেন তাদেরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নেতানিয়াহু যুদ্ধের বিষয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক পরামর্শ চালিয়ে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু চরম বাস্তবতা হচ্ছে নেতানিয়াহুর মন্ত্রীসভায় থেকেও যারা তার সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারেননি এবং অধিকাংশ বিষয়ে চরম মতদ্বন্ধ ও বিরোধের কারণে পদত্যাগ করেছেন, তারা যুদ্ধবাজ ও ক্ষমতালোভী একঘেঁয়ে নেতানিয়াহু’র সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ চালিয়ে যাবেন- এমন আশা কেবলই অভ্যন্তরীণ কোন্দল লুকানো ও মুখ রক্ষার চেষ্টা।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জরুরিভিত্তিতে যে সরকার গঠন করা হয়েছিল তা এখন আর নেই। তাছাড়া যুদ্ধকালীন যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল তাও এখন অপ্রাসঙ্গিক।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে গ্যান্টজ বলেছিলেন, নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত বিজয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছেন। সে কারণে আমি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিচ্ছি।
আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বেনি গ্যান্টজ বলেছিলেন, এমন একটি নির্বাচন হওয়া উচিত যার মাধ্যমে এমন একটি সরকার আসবে, যারা জনগণের আস্থা অর্জন করবে। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য যে, গত কয়েক বছরে অবৈধ ও দখলদার ইহুদীবাদী রাষ্ট্রটিতে ঘনঘন নির্বাচন এবং নির্বাচনের পর নির্দিষ্ট সময়ে সরকার গঠন করতে না পারা কিংবা সরকার গঠন করেও পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও বিরোধের কারণে সরকার ভেঙে দেয়া অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে! পাশাপাশি নিয়মিতভাবেই জনগণের সরকার বিরোধী আন্দোলন এবং রাষ্ট্রটির ভঙ্গুর ও বেহাল অবস্থা আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনাম হচ্ছে।