۲۵ آذر ۱۴۰۳ |۱۳ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 15, 2024
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেছেন, ইসরায়েলের কোনো স্থান নিরাপদ থাকবে না।
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেছেন, ইসরায়েলের কোনো স্থান নিরাপদ থাকবে না।

হাওজা / ইসরায়েলের কোনো স্থান নিরাপদ থাকবে না।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইহুদিবাদী ইসরায়েল লেবাননের বিরুদ্ধে পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধ শুরু করলে ইসরায়েলের ‘কোনো স্থান নিরাপদ থাকবে না’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো তেল আবিবকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে সাইপ্রাসকেও সতর্ক করে দিয়েছেন।

সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ গতকাল (বুধবার) হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার তালেব আব্দুল্লাহসহ আরো কয়েকজন শহীদ যোদ্ধার স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধ চায় না বরং এই সংগঠন গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করতে চায়। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হলে হিজবুল্লাহও যুদ্ধ বন্ধ করবে।

গাজার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমর্থনে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর ইসরায়েলে সংগঠনটি হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার পর শীর্ষ পর্যায়ের ইহুদিবাদী সেনা কর্মকর্তারা দু’দিন আগে লেবাননে ‘ব্যাপক-মাত্রায়’ হামলা চালানোর বিষয়টি অনুমোদন করেন। এরপর হিজবুল্লাহ নেতা হুঁশিয়ারি মূলক এ ভাষণ দিলেন।

সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, লেবাননের বিরুদ্ধে পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধ শুরু করলে ইসরায়েলকে জল, স্থল ও আকাশপথে নজিরবিহীন হামলার শিকার হতে হবে এবং তখন ভূমধ্যসাগরের পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যাবে। তিনি পরোক্ষভাবে ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত ইসরায়েলের গ্যাসক্ষেত্রগুলোর বিরুদ্ধেও হামলার হুমকি দিয়েছেন।

হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, “ব্যাপক-মাত্রায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে ইসরাইলের কোনো স্থান নিরাপদ থাকবে না। হিজবুল্লাহ তখন যুদ্ধের কোনো নিয়ম মানবে না, কোনো সীমারেখা থাকবে না। আমাদের প্রস্তুতি কেমন হতে পারে তা ইহুদিবাদী শত্রুর জানা আছে।”

ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসকে সতর্ক করে দিয়ে নাসরুল্লাহ বলেন, সাইপ্রাস যদি তার বিমানবন্দর ও ঘাঁটিগুলোকে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় তবে সাইপ্রাসকে ‘যুদ্ধের অংশ’ হিসেবে ধরে নেবে হিজবুল্লাহ।

সাইপ্রাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সামরিক চুক্তি রয়েছে এবং দুই পক্ষ মাঝেমধ্যেই যৌথ সামরিক মহড়া চালায়। ব্যাপক-মাত্রায় যুদ্ধ শুরু হলে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের বিমানবন্দরগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ইহুদিবাদীরা সাইপ্রাসকে ঘাঁটি করে লেবাননে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সে বিষয়টি বিবেচনা করে হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইপ্রাসকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ তার ভাষণে আরো বলেন, ইহুদিবাদী শত্রু লেবানন ফ্রন্টকে গাজা যুদ্ধ থেকে আলাদা করে দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, হিজবুল্লাহ গাজাবাসীর সমর্থনে অস্ত্র হাতে নিয়েছে। যতক্ষণ গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ লেবানন ফ্রন্টে যুদ্ধ চলবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .