হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বাস্তবিক অর্থে কোনো পদক্ষেপ না নিলেও সেই শুরু থেকেই উচ্চকণ্ঠ ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এবার ইসরায়েলের হাতে ‘মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন পদপিষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্কের খেলা দেখে জার্মানি থেকে দেশে ফেরার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এরদোগান। এ সময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইসরায়েলকে এই অমানবিক হামলাগুলো বন্ধ করার মাধ্যমে গণহত্যার ইতি টানতে হবে। এখনও ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে, একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের হাতে মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন পদদলিত হচ্ছে।’
গাজা যুদ্ধের পাশাপাশি লেবাননেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে লেবাননকে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে তারা। গাজা যুদ্ধ লেবানন পর্যন্ত টেনে নেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করে এরদোগান বলেন, ‘তারা লেবাননকেও (যুদ্ধের) হুমকি দিচ্ছে। এই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্য) সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য থেকে ইসরায়েলকে সরে আসতে হবে।’
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সিরিয়া এবং ইরানের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক নিয়েও খোলামেলা আলাপ করেন এরদোগান। সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে এরদোগান বলেন, ‘বাশার আল আসাদ (সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট) তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের পদক্ষেপ নিলেই আমরা সাড়া দেব। আমরা তুরস্ক-সিরিয়া সম্পর্ককে আগের অবস্থানে দেখতে চাই।’
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দেশটির সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের বিষয়ে জোর দিয়ে এরদোগান যোগ করেন, ‘ইরান আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি, তাদের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। আশা করি, নতুন সময়ে তুর্কি-ইরান সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাবে।’