۲۲ آذر ۱۴۰۳ |۱۰ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 12, 2024
১২ মুহররম ইমাম জায়নুল আবেদিন ( আ ) শাহাদাত দিবস
১২ মুহররম ইমাম জায়নুল আবেদিন ( আ ) শাহাদাত দিবস

হাওজা / আজ ১২ মুহররম ইমাম হুসাইনের (আ) পুত্র ইমাম আলী ইবনুল হুসাইনের ( আ ) শাহাদাত দিবস ।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ ১২ মুহররম ইমাম হুসাইনের (আ) পুত্র ইমাম আলী ইবনুল হুসাইনের ( আ ) শাহাদাত দিবস । তিনি ছিলেন মহানবীর (সা) পবিত্র মাসূম আহলুল বাইতের (আ) বারো মাসূম ইমামের ৪র্থ মাসূম ইমাম । তাঁর প্রসিদ্ধ উপাধি সমূহ : যাইনুল আবেদীন ( মহান আল্লাহর ইবাদতকারীদের শোভা ও সৌন্দর্য) , যাইনুল ইবাদ ( মহান আল্লাহর বান্দাদের শোভা ও সৌন্দর্য ) , সাজ্জাদ ( অতিশয় সিজদা কারী ) , সাইয়িদুস সাজিদীন ( সিজদা কারীদের নেতা ) । তিনি (আ) একটি বর্ণনা অনুসারে ৯৫ হিজরীর ১২ মুহররম এবং আরেকটি বর্ণনা অনুযায়ী ৯৫ হিজরীর মুহররম মাসের শেষের দিকে ১২ দিন অবশিষ্ট থাকতে অর্থাৎ ১৮ মুহররম ৫৭ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন। হিশাম ইবনে আব্দুল মালেক ৬ষ্ট উমাইয়া খলীফা ওয়ালীদ ইবনে আব্দুল মালেকের খিলাফত কালে বিষ প্রয়োগ করে শহীদ করে । শেখ মুফীদ ও শেখ তূসী বলেছেন : ইমাম যাইনুল আবেদীন ( আ ) ৯৪ হিজরীর ২৫ মুহররম শাহাদাত বরণ করেন। শাহাদাতের পর ইমাম যাইনুল আবেদীনকে ( আ ) পবিত্র মদীনা নগরীর জান্নাতুল বাকী গোরস্থানে যে বুক'আয় (সমাধিস্থল ) মহানবীর (সাঃ) আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ( রা) এবং তাঁর নিজের পিতৃব্য ইমাম হাসান ( আ ) শায়িত আছেন সেখানে দাফন করা হয় । তাঁর ইমামত কাল ছিল দীর্ঘ ৩৩ বা ৩৪ বছর ।

সুমহান এই ইমাম - ই হুমামের ( আ ) শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শোক ও তাসলিয়ত। ( দ্রঃ শেখ আব্বাস কুম্মী প্রণীত নেগহী বার যিন্দিগী চাহরদাহ্ মাসূম আলাইহিমুস সালাম , পৃ : ১৯৬ )

শেখ কুলাইনী ( র.হ. ) মহানবীর (সাঃ) আহলুল বাইতের (আ) বারো মাসূম ইমামের ( আ ) ৫ম মাসূম ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আলী আল - বাক্বির (আ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেন : ইমাম যাইনুল আবেদীনের (আ) জীবনের অন্তিম মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে আমাকে তাঁর বুকে টেনে নিয়ে বললেন : হে বৎস্য ! আমার পিতা ( ইমাম হুসাইন - আ - ) তাঁর মৃত্যু কালে আমাকে যে ওয়াসিয়ত করেছিলেন ঠিক সেই ওয়াসিয়তটাই তোমাকে করছি । আর ঠিক একই ভাবে এ ওয়াসিয়তটাই তাঁকে ( ইমাম হুসাইন - আ -) তাঁর পিতা ( ইমাম আলী - আ - ) করেছিলেন। আর এই ওয়াসিয়ত হচ্ছে :

یَا بُنَيَّ إٌیَّاکَ وَ ظُلْمَ مَنْ لَا یَجِدُ عَلَیْکَ نَاصِرَاً إِلّا اللّٰهَ

হে আমার বৎস্য ! তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি ঐ ব্যক্তির ওপর যুলুম ( অন্যায় , অবিচার ও অত্যাচার ) করা থেকে মহান আল্লাহ ব্যতীত যার আর কোনো সাহায্যকারী নেই।

হযরত আবুল হাসান ( আ ) বলেছেন : যখন ইমাম যাইনুল আবেদীনের ( আ ) জীবনের অন্তিম ও শেষ মুহূর্ত ঘনিয়ে আসে তখন তিনি অজ্ঞান হয়ে যান ; অত:পর তিনি চোখ খুলে ও মেলে সূরা -ই ওয়াক্বিয়াহ্ এবং সূরা - ই ফাতহ তিলাওয়াত করেন এবং বলেন : " সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি আমাদের ( মহানবীর সাঃ আহলুল বাইত - আ- ) ব্যাপারে তাঁর নিজের ওয়াদা ( প্রতিশ্রুতি ) বাস্তবায়িত ও সত্যায়িত করেছেন এবং পৃথিবীকে আমাদের মীরাস ( উত্তরাধিকার) হিসেবে গণ্য করেছেন। আমরা বেহেশতের যে কোনো স্থানে ইচ্ছা বসবাস করতে পারব । অতএব আমলকারীদের প্রতিদান ও পুরস্কার কতই না উত্তম !! " এরপর তিনি ঐ সময় আর অন্য কথা না বলে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেন । ( দ্রঃ প্রাগুক্ত , পৃ : ১৯৭ )

ইমাম যাইনুল আবেদীন ( আ ) , হযরত যাইনব ( আ ) , হযরত উম্মে কুলসুম ( আ ) কারবালায় যা যা ঘটেছিল তা জনগণের কাছে ব্যক্ত করেন এবং স্পষ্ট করে দেন : বেহেশতের যুবকদের নেতা ইমাম হুসাইন (আ) এবং তাঁর সংগী সাথীদেরকে যে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে বিশেষ করে ইমাম হুসাইনকে ( আ ) পশুকে যেভাবে জবাই করা হয় ঠিক সেই ভাবে জবাই করা হয়েছে অথচ পশুকে জবাই করার আগে পানি পান করতে দেওয়া হয় কিন্তু ইমাম হুসাইনকে (আ) তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় হত্যা করা হয়েছে ।

এঁরাই ইমাম হুসাইনের ( আ ) জিহাদ, কিয়াম , বিপ্লব ও উম্মতের সংস্কার আন্দোলনের বাণী ও শিক্ষা সবার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন । ইমাম যাইনুল আবেদীন ( আ ) যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেখানে বিশেষ করে বনী উমাইয়ার ফিতনা - ফাসাদ, দুর্নীতি , দুষ্কর্ম , অপরাধ ও অপকর্মের কেন্দ্র ও রাজধানী দামেশকে মহানবীর (সাঃ) আহলুল বাইতের (আ) প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরেছিলেন। মহানবীর ( সা ) ওফাতের পরপরই মুসলিম বিশ্বে বনী উমাইয়ার ক্ষমতায়ন হয় এবং তখনকার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী প্রদেশ শামের কেন্দ্রস্থলের শাসন কর্তৃত্ব তুলে দেন ইসলামের দুশমন বনী উমাইয়ার হাতে স্বয়ং প্রথম খলীফা হযরত আবূ বকর । দামেশকে আবূ সুফিয়ানের পুত্র ইয়াযীদের মৃত্যু হলে হযরত আবূ বকর মুয়াবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ানকে দামেশকের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন । হযরত উমর খলীফা হয়ে তাকে ( মুয়াবিয়া ) উক্ত পদে বহাল রাখেন । এরপর হযরত উসমান খলীফা হয়ে মুয়াবিয়াকে দামেশকের শাসনকর্তার পদে শুধু বহাল ই রাখেন নি বরং সমগ্র শাম অঞ্চলের শাসন কর্তৃত্ব তার হাতে তুলে দেন । ( দ্রঃ আল্লামা সুয়ূতী প্রণীত তারীখুল খুলাফা , পৃ : ১৯৫ ) ইসলামের দুশমন জাহান্নামের কীট মুয়াবিয়া ও বনী উমাইয়ার অশিক্ষা কুশিক্ষা মিথ্যা প্রচার প্রোপাগান্ডায় এবং প্রথম ও দ্বিতীয় খলীফা কর্তৃক মহানবীর (সাঃ) হাদীস চর্চা ও বর্ণনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে ধ্বংস প্রাপ্ত হালাক হয়ে যাওয়া মুসলিম উম্মাহ মহানবীর ( সাঃ) আহলুল বাইতের (আ) প্রকৃত পরিচয় সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিল এবং যে সাকালাইনকে ( পবিত্র কুরআন ও রাসূলুল্লাহর - সা - পবিত্র আহলুল বাইত -আ- ) আঁকড়ে ধরার নির্দেশ সম্বলিত মুতাওয়াতির হাদীস - ই সাকালাইন , ইমাম হাসান ( আ ) ও ইমাম হুসাইন (আ ) যে বেহেশতের যুবকদের নেতা সেই মুতাওয়াতির হাদীস এবং মুতাওয়াতির হওয়ার চাইতেও অধিক মুতাওয়াতির হাদীস - ই গাদীর সংক্রান্ত কোনো ধারণাই তাদের ( মুসলিম উম্মাহর অধিকাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ) ছিল না। বরং আহলুল বাইতের (আ) শত্রুদের এবং অখ্যাত কুখ্যাত ব্যক্তিদের ফাযায়েলের জা'ল ( মিথ্যা বানোয়াট) হাদীস দিয়ে ভরে ফেলেছিল বনী উমাইয়া প্রশাসন ও মুয়াবিয়ার খিলাফত যন্ত্র । এ কারণেই মুয়াবিয়া খলীফা হয়েই মসজিদে মসজিদে হযরত আলীকে ( আ ) গালি দেওয়ার জঘন্য ঘৃণ্য বিদাতের প্রচলন করে যা ৯০ বছর ( বনী উমাইয়ার গোটা শাসন ও শোষণ কাল ) পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল! ঠিক এমন পরিস্থিতিতে হালাক ও ধ্বংস প্রাপ্ত এই উম্মতের কাছ থেকে মযলূম ইমাম হুসাইনকে (আ) হত্যা করা ছাড়া আর কিছু কি আশা করা যায় ?! যারা ইমাম হুসাইনকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাহায্য করে নি তারা , যারা তাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে তারা এবং যারা ( মুসলিম উম্মাহর সংখ্যা গরিষ্ঠ অংশ ) ইমাম হুসাইনের (আ) হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করে নির্বিকার , নির্লিপ্ত ও নিস্পৃহ বসে থেকেছে এবং ইমাম হুসাইনকে (আ) সাহায্য করে নি তারা সবাই জাহান্নামের কীট

হওয়ার কারণেই এরা সবাই সেদিন বেহেশতের যুবকদের নেতা ইমাম হুসাইনকে (আ) সাহায্য করে নি এবং সাহায্য না করার জন্য অনুশোচনা ও দু:খ প্রকাশও করে নি । আর এই হালত ও অবস্থায় তারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে জাহান্নামেই গমণ করেছে বলেই রাসূলুল্লাহ ( সা ) উম্মতকে সতর্ক করে বলেছিলেন : আমার উম্মতের ধ্বংস ও হালাক হবে একদল কুরাইশীয় অল্প বয়স্ক যুবকদের হাতে!

কেবল ঐ সব ব্যক্তি যারা ইমাম হুসাইনের (আ) সাথে থেকে জিহাদ করে কারবালায় শহীদ হয়েছেন তারা , যাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শরয়ী ন্যায়সঙ্গত ওযর বশতঃ ইমামের কাছে কারবালায় পৌঁছুতে পারে নি এবং সাহায্য করতে পারে নি তারা এবং যারা সাহায্য করা থেকে বিরত থাকার অপরাধ থেকে তৌবা করে ইমাম হুসাইনের ( আ ) হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন তারা ( যেমন : কূফার তাওয়াবীন ) এবং যারা প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে এবং কাতিলীনকে ( ইমাম হুসাইন ও তার সংগী সাথীদের হত্যাকারীদের ) হত্যা করেছে তারা এবং যারা এরপর আহলুল বাইতের (আ) সাথে থেকেছে ও আছে এবং আহলুল বাইতের ( আ ) অনুসরণ করেছে ও করছে কেবল তারাই হালাক ও ধ্বংস প্রাপ্ত উম্মতের মধ্য থেকে ব্যতিক্রম ও নাজাতপ্রাপ্ত। আর এটা কেবল সম্ভব হয়েছে কারবালার পর কূফায় , শামে , দামেশকে ইয়াযীদের দরবারে এবং দামেশক থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে ইমাম যাইনুল আবেদীন ( আ ) , হযরত যাইনাব ( আ ) , হযরত উম্মে কুলসুম ( আ ) জোরালো ও বলিষ্ঠ কণ্ঠে এবং সত্য কথন ও সত্য ভাষণের মাধ্যমে কারবালার প্রকৃত ঘটনা , ইয়াযীদের কুকীর্তি ও অপরাধ সমূহ এবং আহলুল বাইতের (আ ) সঠিক পরিচিতি , আদর্শ , শিক্ষা ও খাঁটি তৌহীদী মুহাম্মদী ইসলাম ও রাসূলুল্লাহর খাঁটি সুন্নাহ তুলে ধরেছিলেন ও বর্ণনা করেছিলেন বিধায়। আর যুগে যুগে বনী উমাইয়া খিলাফত , বনী আব্বাসীয় খিলাফত এবং পরবর্তী শাসকবর্গ ও খিলাফত ( যেমন :অটোম্যান খিলাফত) মহানবীর ( সাঃ ) আহলুল বাইতের (আ) খাঁটি অনুসারীদেরকে বিচ্যুত পথভ্রষ্ট, সাবাঈ , রাফেযী ইত্যাদি বলে চিহ্নিত করেছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা ও সংখ্যালঘু

হওয়া হক ও বাতিলের সঠিক মাপকাঠি নয় । মহানবীর (সাঃ) ইতরাৎ ( অতি নিকটাত্মীয় ও রক্তজ বংশধর ) আহলুল বাইত (আ) ও তাঁদের খাঁটি অনুসারীরা সবসময় মুষ্টিমেয় ও সংখ্যালঘু ছিলেন যদিও হক ও সত্যপন্থী বা বাতিল পন্থী হওয়া সংখ্যার সাথে মোটেও সংশ্লিষ্ট নয় । মুসলিম উম্মাহ ধ্বংস হবে না কেন ? বনী উমাইয়া দ্বীন ও সুন্নাহর কিছুই বাকী রাখে নি । ইমাম শাফেয়ীর গ্রন্থ কিতাবুল উম্মে বর্ণিত হয়েছে :

کُلُّ سُنَنِ رَسُوْلِ اللّٰهِ ( ص ) قَدْ غُیِّرَتْ حَتَّی الصَّلَوٰة

রাসূলুল্লাহর (সা) সকল সুন্নাহ এমনকি নামায পর্যন্ত পরিবর্তিত ( বিকৃত ) করে দেওয়া হয়েছে।

তাহলে ধর্মের আর কী বা বাকী থাকল ? এমতবস্থায় উম্মতের কী হবে ? ধ্বংস হওয়া ছাড়া আর কোন কিছু বাকি আছে কি তাদের ভাগ্যে। উম্মাহর ধ্বংস হওয়ার কারণ হচ্ছে তাদেরকে রাসূলুল্লাহর (সা) সুন্নাহ বাদ দিয়ে - শুধু বাদ দিয়েই নয় বরং ঐ সুন্নায় পরিবর্তন ও বিকৃতি সাধন এমনকি ইমাদুদ্দীন ( ধর্মের খুঁট ও স্তম্ভ ) নামাযেও রূপান্তর ও বিকৃতি ঘটানো হয়েছে - নিজেদের (বনী উমাইয়া) জাহিলিয়াতের সুন্নতের অনুসরণ করিয়েছে বনী উমাইয়া !!!

আর বনী উমাইয়ার এক অন্যতম জাহিলী সুন্নত (প্রথা ) হচ্ছে মহানবীর (সাঃ) দৌহিত্র ইমাম হুসাইন(আ)কে হত্যা এবং তাঁর আহলুল বাইতকে (আ ) বন্দী করা । যেহেতু হযরত আলী (আ) রাসূলুল্লাহর সুন্নাহর একনিষ্ঠ খাঁটি অনুসারী ও পাবন্দ ছিলেন সেজন্য আলীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণের কারণে বনী উমাইয়া রাসূলুল্লাহর ( সা ) সুন্নাহ ত্যাগ ও বর্জন করেছিল এবং মুসলিম উম্মাহকেও রাসূলুল্লাহর সুন্নাহ ত্যাগ ও বর্জন করিয়েছিল ।

আর হয়রত আবূ বকর ও হযরত উমর কর্তৃক হাদীস চর্চা ও বর্ণনা নিষিদ্ধ করা হলে তাতে বনী উমাইয়ার প্রভূত সুবিধাই হয় এবং তারাও হাদীস চর্চা ও বর্ণনার ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে বানোয়াট মিথ্যা জাল হাদীসসমূহের সয়লাব বইয়ে দিয়েছিল মুসলিম বিশ্বে যার ঘুর্ণিপাক ও দুর্বিপাকে আজও উম্মাহ হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু রাসূলুল্লাহর খাঁটি সুন্নাহ আসলে তাঁর পবিত্র আহলুল বাইতের (আ) বারো মাসূম ইমামের ( আ ) কাছেই কেবল বিদ্যমান এবং এ কারণেই মহানবী ( সা ) স্বীয় উম্মতকে বারবার তাঁর রেখে যাওয়া পবিত্র আমানত সাকালাইন ( দুটো অতি ভারী মূল্যবান বিষয় ) পবিত্র কুরআন ও তাঁর ইতরাৎ আহলুল বাইতকে ( আ ) আঁকড়ে ধরা অর্থাৎ নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করার বিষয় বারবার কর্ণ গোচর করেছিলেন যাতে উম্মত কখনো পথভ্রষ্ট না হয় । কিন্তু ....

আজ পবিত্র আহলুল বাইতের ( আ ) মাসূম বারো ইমামের ( আ ) ৪র্থ মাসূম ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন (আ) - যিনি কারবালায় ইমাম হুসাইনের ( আ ) শাহাদাতের সবচেয়ে বড় চাক্ষুষ সাক্ষী তাঁর শাহাদাতে শোক প্রকাশ করব আমরা ও তাঁর আদর্শ , শিক্ষা এবং জীবনী নিয়ে আলোচনা করব । তাঁর ( আ ) দুআ সমূহ খাঁটি ইসলামী মারেফাত , ইরফান ও উচ্চাঙ্গের আধ্যাত্মিক জ্ঞানের খনি - যার অন্যতম সমগ্র হচ্ছে সাহীফা - ই সাজ্জাদীয়াহ তা অর্থাৎ এ সব দুআ পাঠ করে স্রষ্টা তত্ত্ব , তৌহিদ , খাঁটি ইসলামী আকীদা বিশ্বাস ও ইসলামী আখলাকের ( স্বভাব চরিত্র নীতিনৈতিকতা ) পূর্ণ সবক , শিক্ষা ও দীক্ষা আমাদের নেওয়া উচিত ও কর্তব্য।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .