۲۲ آذر ۱۴۰۳ |۱۰ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 12, 2024
শহীদ আব্দুল মুত্তালিব আকবরী (রহ.)
শহীদ আব্দুল মুত্তালিব আকবরী (রহ.)

হাওজা / শহীদ আব্দুল মুত্তালিব আকবরী (রহ.), যিনি ইমাম মাহদী (আ.ফা.)- এর সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলতেন!

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি শহীদ আব্দুল মুত্তালিব আকবরীর, যিনি ২২ বছর বয়সে ১৯৮৬ সালের ৩ জুলাই ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় শহীদ হন। ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন- হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আনজাভিনেজাদ।

জনাব সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আনজাভিনেজাদ বর্ণনা করেন, শহীদ আব্দুল মুত্তালিব আকবরীর এক বন্ধু আমার পাশে এসে বসলেন এবং বললেন: “জনাব, আমি কি আপনার সাথে একটি ঘটনা শেয়ার করতে পারি?”

আমি বললাম, “হ্যাঁ, দয়া করে বলুন।”

তিনি তখন আমাকে প্রায় ২০ বছর বয়সী একজন তরুণ শহীদ আব্দুল মুত্তালিব আকবরীর একটি ছবি দেখালেন। শহীদের বন্ধু বললেন যে শহীদ শাহিদ-আবাদ গ্রামে বসবাস করতেন (যা খোররামাবাদ জেলায় অবস্থিত, শিরাজ থেকে ১৮০ কিমি উত্তরে)।

যুদ্ধের সময় তিনি একজন মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। তাছাড়া, তিনি বধির ও মূক (বোবা) ছিলেন। যখন তার চাচাতো ভাই গোলাম রেজা আকবরী যুদ্ধে শহীদ হন, তিনি তার কবরের কাছে গিয়ে আমাদের সাথে তার কৌতূহলপূর্ণ ও অস্পষ্ট ভাষায় কথা বলতেন।

আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, "তুমি কি বলছ?!" কারণ তিনি যা বলার চেষ্টা করছিলেন, আমরা তা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। শহীদ আব্দুল মুত্তালিব সংকেতিক (ইশারা ও ইঙ্গিত) ও অস্পষ্ট যোগাযোগ (কথাবার্তা) বোঝা কঠিন হওয়ায় আমরা তাকে যথেষ্ট পাত্তা দিইনি।

যখন তিনি দেখলেন যে আমরা তার কথা বুঝতে পারছি না, তখন তিনি কবরের পাশে মাটিতে তার আঙুল দিয়ে একটি কবরের ছবি আঁকলেন এবং তাতে 'শহীদ আব্দুল মুত্তালিব আকবরী' লিখলেন। তারপর তিনি আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসলেন এবং আমরাও তাকে নিয়ে হাসাহাসি করলাম। আমরা পরস্পরকে বললাম, "হয়ত সে মজা করছেন!"

যখন তিনি দেখলেন যে আমরা কেউই তার কথা বুঝতে পারছি না এবং হাসাহাসি করছি, তখন তিনি আর কিছুই বললেন না। তিনি তার মাথা কবরের উপর রাখলেন এবং কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। তারপর তিনি তার আঁকা কবরের দিকে তাকালেন এবং হাত দিয়ে তা মুছে ফেললেন।

তার বন্ধু বললেন যে, পরের দিন তিনি যুদ্ধে চলে গেলেন। দশ দিন পর, তার দেহ ফিরিয়ে আনা হলো; এবং তাকে ঠিক সেখানেই সমাহিত করা হলো যেখানে মাটিতে তিনি কবরের ছবি এঁকেছিলেন। তার দেহ সমাহিত করার আগে, তার বন্ধুরা বিস্মিত ও হতবাক হয়ে পড়েছিলেন কারণ তারা সেই ঘটনার কথা মনে করছিলেন যেখানে শহীদ আব্দুল মুত্তালিব আকবরী কবরের ছবি এঁকেছিলেন এবং তাতে নিজের নাম লিখেছিলেন।

তার (অছিয়তনামা বা) নোটবুকে অল্প কিছু কথা লেখা ছিল, যা এমন:

بسم الله الرحمن الرحیم

یک عمر هرچی گفتم به من می خنــدیدند، یک عمر هــرچی میخواستـم به مردم محبت کنم، فکــر کردند من آدم نیستم، مسخره ام کــردند… یک عمر هـرچی جدی گفــتم، شوخی گرفتند… یک عمر کسی رو نداشتــم باهاش حــرف بزنم، خیلـی تنــها بودم.

اما مردم! حالا که ما رفتیم بدونیــد، هر روز با آقــام [امام زمان عج] حـرف می زدم. آقا بهم گفت: تو شهیــد می شی.

جای قبــرم رو هم بهم نشـون داد این رو هم گفتم اما بــاور نکردید!

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

আমার জীবনে যা কিছু বলেছি, (তা শুনে) সবাই হাসত। আমি আমার পুরো জীবন মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আমাকে মানুষ হিসেবে ভাবেনি। তারা আমাকে নিয়ে উপহাস করেছে। আমি যা কিছু বলেছি, তারা তা গুরুত্ব সহকারে নেয়নি। আমার সাথে কথা বলার মতো কেউ ছিল না এবং আমি খুব একাকী ছিলাম।

কিন্তু হে মানুষ! এখন যেহেতু আমি চলে গেছি (শহীদ হয়ে গেছি), জানুন যে আমি প্রতিদিন আমার মাওলার [ইমাম মাহদী (আ.ফা.)] সাথে কথা বলতাম।

ইমাম [ইমাম মাহদী (আ.ফা.)] আমাকে বলেছিলেন, “তুমি শহীদ হবে।” তিনি আমাকে আমার সমাহিত হওয়ার স্থানও দেখিয়েছিলেন। আমি এটি লোকদের বলেছি, কিন্তু তারা বিশ্বাস করেনি!”

تبصرہ ارسال

You are replying to: .