۲۲ آذر ۱۴۰۳ |۱۰ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 12, 2024
ইরানের জাতীয় সংসদে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া
ইরানের জাতীয় সংসদে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া

হাওজা / ইসমাইল হানিয়া এবং তার দেহরক্ষী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের তেহরানে নিজ বাসভবনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আজ বুধবার সকালে ইসমাইল হানিয়ার নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে।

খবরে বলা হয়, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী তেহরানে এক হামলায় ইসমাইল হানিয়া এবং তার দেহরক্ষী নিহত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে গুপ্ত ইহুদিবাদী হামলায় হানিয়াহ নিহত হয়েছেন।

ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এ সময় ফিলিস্তিনিদেরকে ‘ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, ধৈর্যশীল ও অবিচল থাকার’ আহ্বান জানান আব্বাস।

বুধবার (৩১ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী রিয়ার বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডকে "সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক হত্যা" বলে বর্ণনা করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ বলেছেন, ‘হামাস নেতার মৃত্যু উত্তেজনাকে আরও বাড়াবে।‘

এদিকে, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও "তেহরানে লজ্জাজনক হত্যাকাণ্ডের" নিন্দা জানিয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে যে "এই হামলার লক্ষ্য গাজা যুদ্ধকে একটি আঞ্চলিক মাত্রায় ছড়িয়ে দেওয়া।“

তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। দেশটি সতর্ক করেছে যে এই হত্যা একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির বৃদ্ধি করবে।

ইরান সমর্থিত লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ একটি বিবৃতি জারি করে ঘোষণা করেছে যে ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু "প্রতিরোধের সকল ক্ষেত্রে যোদ্ধাদের দৃঢ়সংকল্পকে শক্তিশালী করেছে এবং শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য তাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করেছে।"

বিবৃতিতে হানিয়াহকে "প্রতিরোধ যুগের মহান নেতাদের একজন হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে, যিনি সাহসীভাবে মার্কিন আধিপত্য ও ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।"

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার নিন্দা জানিয়ে জর্ডানের সরকার বলছে, এই হত্যাকাণ্ডটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, 'এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।'

এদিকে ইরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার বিরোধিতা করে নিন্দা জানিয়েছে চীনও। বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ঘটনাটি আরও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .