۲۲ آذر ۱۴۰۳ |۱۰ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 12, 2024
ইসমাঈল হানিয়ে
ইসমাঈল হানিয়ে

হাওজা / ইসমাঈল হানিয়েকে শহীদ করে ইসরাইল নিজের অস্তিত্বকে নিজেই ধ্বংস করল।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাঈল হানিয়েকে ইসরাইল নাশকতা মূলক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যা করে আসলে নিজেই নিজের বুকে পেরেক ঠুকে দিয়েছে । ইসমাঈল হানিয়েকে শহীদ করে ইসরাইল নিজের অস্তিত্বকে নিজেই ধ্বংস করল ! আসলে ৭ অক্টোবর ২০২৩ তূফানুল আকসা অভিযানের মাধ্যমে সূচিত হয়ে গেছে ইসরাইল নামক মেকি কৃত্রিম বানোয়াট ভিত্তিহীন চরম বর্ণ - বৈষম্য বাদী হানাদার দখলদার আগ্রাসী সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হোতা অবৈধ রাষ্ট্রিটির ধ্বংস ,পতন ও বিলুপ্তি। আসলে ইসরাইল রাষ্ট্রটি বর্তমানে আর বিদ্যমান নেই। যদিও এ কথা অনেকের কাছে অবাস্তব লাগবে । কিন্তু আসল সত্য কথা হচ্ছে ঠিক এটাই ।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ওয়ালী আমরিল মুসলিমীন হযরত আয়াতুল্লাহ আল - উযমা ইমাম খামেনেয়ী কর্তৃক ইরানের রাষ্ট্রীয় অতিথি হামাস প্রধান ইসমাঈল হানিয়েকে সন্ত্রাসী নাশকতামূলক হামলায় হত্যা ও শহীদ করার জন্য ইসরাইল থেকে কঠিন প্রতিশোধ ও বদলা এবং ইরানের স্বাধীনতা , সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ , অখণ্ডতা ও জাতীয় নিরাপত্তা লংঘন ও ইরানের রাষ্ট্রীয় অতিথিকে হত্যা করে ইরানী রাষ্ট্র ও জাতির জাতীয় মর্যাদা ক্ষুণ্ন ও হানি করার মতো জঘন্য অপরাধের জন্য ইসরাইলকে কঠোর শাস্তি দানের কথা ঘোষণা করা হলে ইসরাইল থেকে ইসরাইলীদের পলায়নের হিড়িক পড়ে গেছে এবং ইসরাইলে বিমান চলাচল স্থগিত করার কারণে দেশটির বিমান বন্দর সমূহে ভীড় উপচে পড়ছে । এবার বহু যায়নবাদী ইহুদী চিরতরে ইসরাইল ত্যাগ করবে এবং আর কোনো দিন তারা এই মেকি কৃত্রিম রাষ্ট্রে (ইসরাইলে ) ফিরে আসবে না । আর হামাসের তূফানুল আকসা ( ৭-১০-২০২৩ ) অভিযানের পর থেকে এই দশ মাসের যুদ্ধে এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়ামানের অনবরত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার এবং গত তিন মাস আগে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে বহু ইহুদী চিরতরে ইসরাইল ত্যাগ করেছে এবং এখন নতুন করে ইরানের আক্রমণের হুমকির ফলে ইসরাইলের ইহুদীরা বুঝে গেছে যে ইসরাইল তাদের জন্য আর মোটেও নিরাপদ ( সেফ হ্যাভেন ) নয় । এরফলে ইসরাইল তার ইহুদী জনতা হারাচ্ছে ও হারাতে থাকবে এবং এক পর্যায়ে অল্প সময়ের মধ্যেই ইসরাইল নামক মেকি কৃত্রিম রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। নিউ ইয়র্ক পোস্ট প্রাক্তন যায়নবাদী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদী হেনরী কিসিঞ্জারের উদ্ধৃতি দিয়ে আজ থেকে ১১ বছর ( ২০১৩ ) আগে লিখেছিল : " ১০ বছরের মধ্যে ইসরাইল আর বিদ্যমান থাকবে না। ( In 10 years there will be no more Israel . ) "

শুধু ড: হেনরি কিসিঞ্জারই নয় আরও ১৬ টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ( ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ) একমত যে অতি নিকট ভবিষ্যতে ইসরাইল আর টিকে থাকবে না ( Henry Kissinger & 16 American intelligence agencies agree that in the near future , Israel will no longer exist . )

হেনরি কিসিঞ্জার যেমন একটা সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ( ২০২২ সাল ) বেঁধে দিয়েছে ঠিক তেমন ভাবে এই ১৬ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ও এজেন্সি ইসরাইলের বিলুপ্তির একটা নিখুঁত ও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে না দিলেও হেনরি কিসিঞ্জারের সাথে এ ব্যাপারে ( অদূর ভবিষ্যতে ইসরাইলের বিলুপ্তির ব্যাপারে) একমত । ৭০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্মিলিত বার্ষিক বাজেট নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ও এজেন্সি সমূহ " ইসরাইল উত্তর মধ্যপ্রাচ্যের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ

" -- এ শিরোনামে ৮২ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণ ২৮ - ৮ - ২০১২ তারিখে অর্থাৎ আজ প্রায় ১২ বছর আগে প্রকাশ করেছিল । ( সূত্র : http : // www.foreignpolicy journal.com / 2012 / 08 / 28 / us preparing - for - a - post - Israel - middle - east )

দেখুন: কেভিন বারেট প্রণীত

Kissinger , US intelligence endorse " a world without Israel , Holiday, 22 - 03 - 2013

আর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল উযমা ইমাম খামেনেয়ীও নয় বছর আগে ( ২০১৫ সালে ) বলেছিলেন : " আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ইসরাইলই আর বিদ্যমান থাকবে না। "

লক্ষ্যণীয় যে , ২৫ বছর হচ্ছে সর্বোচ্চ সময় সীমা । তবে ইসরাইলের পতন ও বিলুপ্তি আরো কম সময়ের মধ্যেও হতে পারে। আর ইসরাইল নিজেই গাযায় আগ্রাসন ও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে নিজের পতন ও বিলুপ্তি ত্বরান্বিত করেছে এবং সাম্প্রতিক এই সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ড চালিয়ে নিজের সেই পতন প্রক্রিয়াকেই আরো ত্বরান্বিত করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী বেন গোরিয়নের মতে ইসরাইলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হচ্ছে দুটো বিষয় : ১.ইসরাইলের ভূখণ্ডের ভিতরে যুদ্ধ এবং ২.যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়া । আর এ দুটো বিষয়ই তূফানুল আকসা অভিযানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে।

প্রাগুক্ত মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ইসরাইলকে একটি অটেকসই ক্ষণস্থায়ী হীন নীচ রাষ্ট্র ( unsustainable pariah state ) হিসেবে দেখানো হয়েছে।

ঐ ১৬ টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ও এজেন্সি একমত যে ইসরাইল আসন্ন ফিলিস্তিনীদের সমর্থক মহাশক্তিধর প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে পারবে না যা হবে আরব বসন্ত , ইসলামী জাগরণ এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের উত্থানের সমন্বয়ে গঠিত ।

The 16 US intelligence agencies agree that Israel cannot withstand the coming pro - Palestinian juggernaut consisting of the Arab Spring , the Islamic Awakening , and the rise of the Islamic Republic of Iran . ( প্রাগুক্ত প্রবন্ধ Kissinger , US intelligence endorse a world without Israel ) . আর এ বিষয় ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ।

২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইসরাইলী সংবাদ মাধ্যম ynet news . com / opinion - এ প্রকাশিত এ প্রবন্ধ প্রণিধানযোগ্য :

We won't win in Gaza

( আমরা অর্থাৎ ইসরাইল গাযায় জয় লাভ করব না )

IDF hasn't won a war in 30 years ; notion that Gaza reoccupation will lead to a victory false

আইডিএফ ( ইসরাইলী সেনাবাহিনী) ৩০ বছরে ( ১৯৭৭ - ২০০৭ ) একটা যুদ্ধেও জয় লাভ করে নি । গাযা পুনর্দখল একটা অলীক অমূলক বিজয়ের দিকে পরিচালিত করবে !

এ পর্যন্ত ( ২০০৯ - ২০২৪ ) যে কয়বার গাযা - ইসরাইল যুদ্ধ হয়েছে সেগুলোর কোন একটিতেও ইসরাইল বিজয়ী হতে পারে নি । আর তূফানুল আকসার পর গত ১০ মাস ধরে ইসরাইল গাযায় হিংস্র পাশবিক আক্রমণ , আগ্রাসন ও যুদ্ধ করছে এবং নিষ্ঠুর বোমাবর্ষণ , গণহত্যা , প্রজন্ম হত্যা , ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ও সব ধরণের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ অব্যাহত রেখেও যুদ্ধের ঘোষিত লক্ষ্য গুলোর কোনো একটিও অর্জন করতে পারে নি। না ইসরাইল ইসরাইলী যুদ্ধ বন্দীদের মুক্ত ও উদ্ধার করতে পেরেছে, না হামাসকে পরাজিত করে গাযার প্রশাসন থেকে উৎখাত করতে পেরেছে আর না গাযাবাসীদের গাযা থেকে বিতাড়িত করতে পেরেছে। অথচ এই গাযা ১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব - ইসরাইল যুদ্ধে মিসরের হাত থেকে কয়েক দিনের মধ্যেই দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ ১০ মাস ধরে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ও পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরার ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) সর্বাত্মক সমর্থন ও সাহায্য পেয়ে এবং গাযায় ৮১০০০ টন বোমা ফেলে ৪০০০০ মানুষ মেরে ( যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী) , ৯০০০০ এর অধিক আহত করে, গাযার অধিকাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংস করেও অতিক্ষুদ্র এ অঞ্চলে (গাযার আয়তন ৩৬০ বর্গ কিলোমিটার ) হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনী মুজাহিদ গ্রুপকে পরাস্ত করতে পারছে না । এটা কিসের লক্ষণ ? এটা কি ইসরাইলের বিশাল দুর্বলতার প্রমাণ নয় ? শক্তিশালী দেশ মিসরের হাত থেকে ১৯৬৭ সালে মাত্র ৬ দিনে সম্পূর্ণ গাযা ও সিনাই দখলকারী ইসরাইল ১০ মাস ধরে প্রলয়ঙ্করী যুদ্ধ চাপিয়ে এখন কেন ঐ গাযা ( যা হচ্ছে অতিক্ষুদ্র ভূখণ্ড তা ) দখল করে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছে না ? কী হয়েছে ইসরাইলের ? আসলে অনেক কিছুই ঘটে গেছে ইসরাইলের। হেনরি কিসিঞ্জার , উক্ত ১৬ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ও এজেন্সি এবং ইসলামী বিপ্লবের মহান নেতা আয়াতুল্লাহ আল উযমা ইমাম খামেনেয়ীর ভবিষ্যদ্বাণী ফলতে যাচ্ছে। আর তা হলো ইসরাইলের পতন ও বিলুপ্তি এবং ' ইসরাইল বিহীন পৃথবী ' । আজ হোক কাল হোক তা বাস্তবায়িত হবেই । ইসমাঈল হানিয়েদের হত্যা করে যালেম অপরাধী সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হোতা ইসরাইল তার গডফাদার মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা ও পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন ও সাহায্য নিয়েও টিকতে পারবে না। বিলুপ্তি তার অবশ্যম্ভাবী ও অত্যাসন্ন । আর এ বিষয়টা বিশ্ব লুটেরা অপরাধী সাম্রাজ্যবাদী মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও পশ্চিমারাও ভালো ভাবেই জানে । তা না হলে কিভাবে কিসিঞ্জার , মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ও এজেন্সিগুলো পারল ইসরাইল বিহীন পৃথিবীর কথা ব্যক্ত করতে ?!!!

Kissinger, US intelligence endorse a world without Israel.

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে কতিপয় মুসলিম দেশ বিশেষ করে বেশ কিছু আরব দেশে পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) আজ্ঞাবহ হতচ্ছাড়া অজাত বেজাত কুজাত সরকার গুলো তা বিশ্বাস করে না এবং সেই সাথে এ সব দেশের পশ্চিমাপন্থী গবেট বুদ্ধিজীবী ও এলিট শ্রেণীরাও । এ সব মুসলিম ও আরব দেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান , লেবাননের হিজবুল্লাহ , ফিলিস্তিনী মুক্তিকামী প্রতিরোধ আন্দোলন সমূহ , ইয়ামান , ইরাকের মুজাহিদ গ্রুপ সমুহ ও সিরিয়া অর্থাৎ ইসলামী প্রতিরোধ অক্ষের মত ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামে যোগ দিত তাহলে বহু আগেই ফিলিস্তীন মুক্ত ও স্বাধীন হত এবং হারামী হারামজাদা অবৈধ বদমাইশ সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হোতা আগ্রাসী দখলদার মেকি কৃত্রিম যায়নবাদী রাষ্ট্রটিকে ভূমধ্য সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া যেত । এতে ওর গডফাদার

মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা ( যুক্তরাজ্য) ও পশ্চিমারা কিছুই করতে পারত না । ইরানের নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ অক্ষের সাথে ইসরাইল এবং মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও পশ্চিমারা কী যুদ্ধে লিপ্ত নয় ? যুদ্ধের ময়দানে কোন্ পক্ষের প্রাধান্য রয়েছে? প্রাধান্য তো প্রতিরোধ অক্ষেরই ।

মহান আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল ও ভরসা করে হিম্মত , সাহস ও উদ্যোগ নিতে হবে। ইসরাইল খরকুটার মতো উড়ে যাবে বা এই নাপাক অপবিত্র খবীস পিশাচ রাষ্ট্র টিকে ভূমধ্যসাগরে ডুবিয়ে ধ্বংস করা সম্ভব হবে। কিছু আরব ও মুসলিম দেশের উচিত ইসরাইলের সাথে তাদের গোপন ও প্রকাশ্য সম্পর্কের ইতি টানা ও সব ধরনের ব্যবসায় বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া । এ সব খিয়ানত ও বিশ্বাসঘাতকতা সত্ত্বেও ইসরাইল পতন ও বিলুপ্তির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না যদিও ফিলিস্তিনীদেরকে ও প্রতিরোধ অক্ষকে অনেক চরম মূল্য ( সামানুন বাহেয ثَمَنٌ بَاهِظ ) দিতে হচ্ছে। হয় বিজয় অথবা শাহাদাত । কিন্তু এ দুটো আবার হাসিল করা সম্ভব : জিহাদ করে বিজয় অর্জন এবং শাহাদাত । আর এ দুটোকেই পবিত্র কুরআনে হুসনায়ান্ ( اَلْحُسْنَیَانِ ) অর্থাৎ দুটো অতি উত্তম ও সুন্দর বিষয় বলা হয়েছে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .