হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমাম হোসাইন (আ.) ও শোহাদায়ে কারবালার যিয়ারতের অশেষ গুরুত্ব ও ফযিলত রয়েছে! স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য আমলের মতই এি গুরুত্ববহ ও ফযিলতপূর্ণ আমলের কিছু নিয়মকানুন, শৃঙ্খলা রয়েছে।
কেউ কেউ হয়ত ইতিমধ্যে যিয়ারত করে নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে এসেছেন, কেউ কেউ এখনো যিয়ারতের জন্য কারবালা এবং ইরাকের বিভিন্ন পবিত্র স্থানে আহলে বাইতের ইমামগন (আ.) ও তাদের সাহাবী ও একান্ত অনুগত অনুসারীদের মাজার প্রাঙ্গনে অবস্থান করছেন বা পথে রয়েছেন কিংবা যিয়ারতে যাওয়ার নিয়ত করছেন, তাদের জন্য ইমাম জাফর সাদিক (আ.) কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নসিহত ও উপদেশ দিয়েছেন! নিম্নে তা (সারাংশ) উল্লেখ করা হলো:
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন,
يَلْزَمُكَ حُسْنُ الصَّحَابَةِ لِمَنْ يَصْحَبُكَ ....
وَ كَثْرَةُ الصَّلَاةِ وَ الصَّلَاةُ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ يَلْزَمُكَ التَّوْقِيرُ لِأَخْذِ مَا لَيْسَ لَكَ وَ يَلْزَمُكَ أَنْ تَغُضَّ بَصَرَكَ وَ يَلْزَمُكَ أَنْ تَعُودَ إِلَى أَهْلِ الْحَاجَةِ مِنْ إِخْوَانِكَ إِذَا رَأَيْتَ مُنْقَطِعاً وَ الْمُوَاسَاة...
» সফরসঙ্গীদের সঙ্গে সর্বোত্তম আচার-আচরণ করো,
» (যথাসম্ভব) বেশি বেশি ইবাদত, দোয়া করো এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) ও আহলে বাইতের (আ.) প্রতি দরুদপাঠ করো,
» অন্যদের আমলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন (ও পারতপক্ষে কারো আমল ও ইবাদতে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে যথাসাধ্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি) করো,
» যাবতীয় হারাম থেকে নিজেকে বিরত রাখো,
» পথিমধ্যে বিপদগ্রস্ত ও অভাবগ্রস্থ কারো সাক্ষাৎ হলে তাকে সমবেদনা ও সহযোগিতা করো।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সকলের যিয়ারত কবুল করুক; যারা যিয়ারত করার নিয়ত করছেন, তাদের নিয়ত পূর্ণ করুক। আমিন ইয়া র'ব্বাল আলামিন!