۲۵ آذر ۱۴۰۳ |۱۳ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 15, 2024
ইসরায়েলকে এত অস্ত্র দিচ্ছে কারা?
ইসরায়েলের পশ্চিমাদের দেয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ

হাওজা / ইসরায়েলকে মূলত অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে পশ্চিমা দেশগুলো।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের সাত অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে জোরালোভাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে বর্বর হামলা শুরু করে ইহুদীবাদী দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রতিটি দিন, প্রতিটি মূহুর্তে গাজায় বোমা হামলা, গোলাগুলি, স্থল অভিযান চালিয়েছে দখলদার দেশটি।

ইসরায়েলকে মূলত অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে পশ্চিমা দেশগুলো। আর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যার কারণে পশ্চিমা সরকারগুলো ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার জন্য চাপের মুখে পড়েছে। ইসরায়েলের অস্ত্র নিয়ে বিশ্লেষণভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হল ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী হামলার ক্ষেত্রে আমদানি করা যুদ্ধবিমান, গাইডেড বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। আর আমদানিকৃত অস্ত্র দিয়েই ইসরায়েল আকাশপথে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে গাজাতে। বিশেষজ্ঞরা এই হামলাকে সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম তীব্র ও ধ্বংসযজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছেন।

আর এই কারণে বিভিন্ন অধিকার গোষ্ঠী ও ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর কিছু রাজনীতিবিদ বলেছেন, দেশটির কাছে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করা উচিত।

গত সোমবার যুক্তরাজ্য জানায় যে, তারা গাজায় সামরিক অভিযানে ব্যবহারের জন্য ইসরায়েলের সামরিক সরঞ্জামের প্রায় ৩০টি রপ্তানি স্থগিত করছে।

যুক্তরাষ্ট্র

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) অনুসারে , ২০১৯ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলে অস্ত্র আমদানির ৬৯ শতাংশই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়া ১০ বছরের একটি চুক্তির অধীনে ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক সামরিক সহায়তা প্রদান যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তার প্রধান উদ্দেশ্য ইসরায়েলকে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে গুণগত সামরিক শক্তিতে এগিয়ে রাখা।

এছাড়া সহায়তার একটি অংশ (বার্ষিক ৫০০ মিলিয়ন ডলার) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য আলাদা করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে যৌথভাবে আয়রন ডোম, অ্যারো ও ডেভিডস স্লিং ব্যবস্থার বিকাশ।

গাজার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে ‘আত্মরক্ষা’য় এগুলোর ওপর নির্ভর করে আসছে ইসরায়েল।

হামাসের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে "অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া এসআইপিআরআই বলছে যে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র খুব দ্রুত হাজার হাজার গাইডেড বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে ইসরায়েলে।

মার্কিন কংগ্রেসের পর্যালোচনা এড়িয়ে জরুরি কর্তৃত্ব ব্যবহার করার পর গত ডিসেম্বরে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে দুই দফা অস্ত্র বিক্রির কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে। এক দফায় ছিল ১০ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের ১৪ হাজার ট্যাংকের গোলাবারুদ। দ্বিতীয় দফায় ছিল ১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার মূল্যের আর্টিলারি শেল (১৫৫ মিমি) তৈরির উপকরণ।

মার্কিন গণমাধ্যম গত মার্চে জানায়, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তখন পর্যন্ত বাইডেন প্রশাসন চুপিসারে ইসরায়েলের কাছে ১০০টির বেশি ধাপে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর মূল্য ডলারের হিসেবে এমন পরিমাণ ছিল, যে ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর দরকার হয় না।

এসব অস্ত্রের মধ্যে হাজার হাজার গাইডেড বোমা, ছোট ব্যাসের বোমা, বাংকার বাস্টার ও ছোট অস্ত্র ছিল বলে জানা গেছে।

গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান আটকে দিলেও পরবর্তীতে আবার সামরিক সাহায্য দেওয়া হয়। আগস্টে বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসকে জানায়, তারা ইসরায়েলে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। তবে ২০২৬ সালের আগে এসব অস্ত্রশস্ত্র ইসরায়েলের কাছে সরবরাহ করা হবে বলে মনে হয় না।

জার্মানি

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের পর ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে জার্মানি। ২০১৯-২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলে ৩০ শতাংশ অস্ত্র সরবরাহ করেছে জার্মানি।

২০২২ সালে ইসরায়েল তিনটি উন্নত, ডাকার-শ্রেণির ডিজেল সাবমেরিন কেনার জন্য জার্মানির সাথে তিন বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেগুলো ২০৩১ সালের পর থেকে সরবরাহ করা হবে। এছাড়া গত বছর, ইসরায়েলের কাছে ইউরোপীয় দেশটি অস্ত্র বিক্রি করেছিল ৩৬১ মিলিয়ন ডলারের।

ডিপিএ নিউজ এজেন্সি অনুসারে , অস্ত্রগুলোর মধ্যে তিন হাজারটি বহনযোগ্য অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য পাঁচ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইতালি

ইতালি ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। এসআইপিআরআইয়ের তথ্যমতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির মাত্র ০.৯ শতাংশ ইতালি থেকে এসেছে। আমদানি করা অস্ত্রসহ সামরিক

ইসরায়েলকে এত অস্ত্র দিচ্ছে কারা?

গত বছরের সাত অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে জোরালোভাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে বর্বর হামলা শুরু করে ইহুদীবাদী দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রতিটি দিন, প্রতিটি মূহুর্তে গাজায় বোমা হামলা, গোলাগুলি, স্থল অভিযান চালিয়েছে দখলদার দেশটি।

ইসরায়েলকে মূলত অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে পশ্চিমা দেশগুলো। আর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যার কারণে পশ্চিমা সরকারগুলো ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার জন্য চাপের মুখে পড়েছে। ইসরায়েলের অস্ত্র নিয়ে বিশ্লেষণভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হল ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী হামলার ক্ষেত্রে আমদানি করা যুদ্ধবিমান, গাইডেড বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। আর আমদানিকৃত অস্ত্র দিয়েই ইসরায়েল আকাশপথে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে গাজাতে। বিশেষজ্ঞরা এই হামলাকে সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম তীব্র ও ধ্বংসযজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছেন।

আর এই কারণে বিভিন্ন অধিকার গোষ্ঠী ও ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর কিছু রাজনীতিবিদ বলেছেন, দেশটির কাছে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করা উচিত।

গত সোমবার যুক্তরাজ্য জানায় যে, তারা গাজায় সামরিক অভিযানে ব্যবহারের জন্য ইসরায়েলের সামরিক সরঞ্জামের প্রায় ৩০টি রপ্তানি স্থগিত করছে।

যুক্তরাষ্ট্র

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) অনুসারে , ২০১৯ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলে অস্ত্র আমদানির ৬৯ শতাংশই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়া ১০ বছরের একটি চুক্তির অধীনে ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক সামরিক সহায়তা প্রদান যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তার প্রধান উদ্দেশ্য ইসরায়েলকে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে গুণগত সামরিক শক্তিতে এগিয়ে রাখা।

এছাড়া সহায়তার একটি অংশ (বার্ষিক ৫০০ মিলিয়ন ডলার) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য আলাদা করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে যৌথভাবে আয়রন ডোম, অ্যারো ও ডেভিডস স্লিং ব্যবস্থার বিকাশ।

গাজার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে ‘আত্মরক্ষা’য় এগুলোর ওপর নির্ভর করে আসছে ইসরায়েল।

হামাসের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে "অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া এসআইপিআরআই বলছে যে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র খুব দ্রুত হাজার হাজার গাইডেড বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে ইসরায়েলে।

মার্কিন কংগ্রেসের পর্যালোচনা এড়িয়ে জরুরি কর্তৃত্ব ব্যবহার করার পর গত ডিসেম্বরে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে দুই দফা অস্ত্র বিক্রির কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে। এক দফায় ছিল ১০ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের ১৪ হাজার ট্যাংকের গোলাবারুদ। দ্বিতীয় দফায় ছিল ১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার মূল্যের আর্টিলারি শেল (১৫৫ মিমি) তৈরির উপকরণ।

মার্কিন গণমাধ্যম গত মার্চে জানায়, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তখন পর্যন্ত বাইডেন প্রশাসন চুপিসারে ইসরায়েলের কাছে ১০০টির বেশি ধাপে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর মূল্য ডলারের হিসেবে এমন পরিমাণ ছিল, যে ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর দরকার হয় না।

এসব অস্ত্রের মধ্যে হাজার হাজার গাইডেড বোমা, ছোট ব্যাসের বোমা, বাংকার বাস্টার ও ছোট অস্ত্র ছিল বলে জানা গেছে।

গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান আটকে দিলেও পরবর্তীতে আবার সামরিক সাহায্য দেওয়া হয়। আগস্টে বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসকে জানায়, তারা ইসরায়েলে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। তবে ২০২৬ সালের আগে এসব অস্ত্রশস্ত্র ইসরায়েলের কাছে সরবরাহ করা হবে বলে মনে হয় না।

জার্মানি

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের পর ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে জার্মানি। ২০১৯-২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলে ৩০ শতাংশ অস্ত্র সরবরাহ করেছে জার্মানি।

২০২২ সালে ইসরায়েল তিনটি উন্নত, ডাকার-শ্রেণির ডিজেল সাবমেরিন কেনার জন্য জার্মানির সাথে তিন বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেগুলো ২০৩১ সালের পর থেকে সরবরাহ করা হবে। এছাড়া গত বছর, ইসরায়েলের কাছে ইউরোপীয় দেশটি অস্ত্র বিক্রি করেছিল ৩৬১ মিলিয়ন ডলারের।

ডিপিএ নিউজ এজেন্সি অনুসারে , অস্ত্রগুলোর মধ্যে তিন হাজারটি বহনযোগ্য অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য পাঁচ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইতালি

ইতালি ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। এসআইপিআরআইয়ের তথ্যমতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির মাত্র ০.৯ শতাংশ ইতালি থেকে এসেছে। আমদানি করা অস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে হেলিকপ্টার ও নৌ আর্টিলারি অন্তর্ভুক্ত থাকার বিষয়টি জানা যায়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী দ্য ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট আর্মস ট্রেড (সিএএটি) বলছে, ২০২২ সালে ইসরায়েলের কাছে ইতালির সামরিক পণ্যের রপ্তানি ও লাইসেন্সের মূল্য ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো (১ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার)।

ইতালির অর্থবিষয়ক একটি সাময়িকী দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ইসরায়েলের কাছে ইতালির অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রির অর্থমূল্য ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো।

যুক্তরাজ্য

২০২২ সালে ইসরায়েলের কাছে ব্রিটিশ সামরিক পণ্যের রপ্তানি বেশ কম ছিল বলে গত বছরের শেষে জানিয়েছিল যুক্তরাজ্য সরকার। রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড (৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার)। যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর বিজনেস অ্যান্ড ট্রেডের নথি অনুসারে, এ সংখ্যা ২০২৩ সালে ১৮ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ডে নেমে আসে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মের মধ্যে ইসরায়েলে সামরিক পণ্য বিক্রির জন্য ৪২টি রপ্তানি লাইসেন্স ইস্যু করে যুক্তরাজ্য সরকার। আর এই সময়ে বিদ্যমান লাইসেন্স ছিল ৩৪৫টি।

যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর বিজনেস অ্যান্ড ট্রেড বলেছে, লাইসেন্সের আওতায় থাকা সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে সামরিক বিমান, সামরিক যান ও যুদ্ধ নৌযানের উপাদান।

ব্রিটিশ চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সিএএটি বলেছে, যুক্তরাজ্য ২০০৮ সাল থেকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির জন্য মোট ৫৭ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ডের রপ্তানি লাইসেন্স দিয়েছে। এর বেশির ভাগই ছিল যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত উপাদানের জন্য।

চলতি সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়—এমন সামগ্রীর জন্য দেওয়া প্রায় ৩০টি রপ্তানি লাইসেন্স অবিলম্বে স্থগিত করার ঘোষণা দেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শিল্প

মার্কিন সহায়তায় নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পও গড়ে তুলেছে ইসরায়েল এবং বর্তমানে বিশ্বের নবম বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে স্থান পেয়েছে। ইসরায়েল বড় পরিসরের হার্ডওয়্যারের পরিবর্তে উন্নত প্রযুক্তিগত সামরিক পণ্যগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

এসআইপিআরআইয়ের তথ্যমতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অস্ত্র বিক্রিতে ইসরায়েলের অবদান ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ইসরায়েলের কাছ থেকে অস্ত্র আমদানিকারক প্রধান তিনটি দেশ হলো ভারত (৩৭ শতাংশ), ফিলিপাইন (১২ শতাংশ) ও যুক্তরাষ্ট্র (৮ দশমিক ৭ শতাংশ)।

এই রপ্তানির মধ্যে আছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, রাডার ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধব্যবস্থা, ফায়ার ও অস্ত্র উৎক্ষেপণ সরঞ্জাম এবং ড্রোন ও এভিওনিক্স।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে, অর্থাৎ গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে ইসরায়েলের কাছ থেকে অত্যাধুনিক অ্যারো ৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনতে ৩৫০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছিল জার্মানি। এটি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে ব্যবহৃত হয়। সেটি ছিল ইসরায়েলের সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা রপ্তানি চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল যৌথভাবে এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করে।

ইসরায়েলে মার্কিন সামরিক মজুত

১৯৮৪ সালে আঞ্চলিক সংঘাতে সৈন্যদের সরবরাহের জন্য এবং জরুরী পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে অস্ত্রের দ্রুত সরবরাহের জন্য ইসরায়েলে একটি বিশাল মার্কিন অস্ত্র গুদাম স্থাপন করা হয়েছিল। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেই গুদাম থেকে মজুদ করা অস্ত্রও ইসরায়েলে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরঞ্জামের মধ্যে হেলিকপ্টার ও নৌ আর্টিলারি অন্তর্ভুক্ত থাকার বিষয়টি জানা যায়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী দ্য ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট আর্মস ট্রেড (সিএএটি) বলছে, ২০২২ সালে ইসরায়েলের কাছে ইতালির সামরিক পণ্যের রপ্তানি ও লাইসেন্সের মূল্য ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো (১ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার)।

ইতালির অর্থবিষয়ক একটি সাময়িকী দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ইসরায়েলের কাছে ইতালির অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রির অর্থমূল্য ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো।

যুক্তরাজ্য

২০২২ সালে ইসরায়েলের কাছে ব্রিটিশ সামরিক পণ্যের রপ্তানি বেশ কম ছিল বলে গত বছরের শেষে জানিয়েছিল যুক্তরাজ্য সরকার। রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড (৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার)। যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর বিজনেস অ্যান্ড ট্রেডের নথি অনুসারে, এ সংখ্যা ২০২৩ সালে ১৮ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ডে নেমে আসে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মের মধ্যে ইসরায়েলে সামরিক পণ্য বিক্রির জন্য ৪২টি রপ্তানি লাইসেন্স ইস্যু করে যুক্তরাজ্য সরকার। আর এই সময়ে বিদ্যমান লাইসেন্স ছিল ৩৪৫টি।

যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর বিজনেস অ্যান্ড ট্রেড বলেছে, লাইসেন্সের আওতায় থাকা সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে সামরিক বিমান, সামরিক যান ও যুদ্ধ নৌযানের উপাদান।

ব্রিটিশ চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সিএএটি বলেছে, যুক্তরাজ্য ২০০৮ সাল থেকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির জন্য মোট ৫৭ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ডের রপ্তানি লাইসেন্স দিয়েছে। এর বেশির ভাগই ছিল যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত উপাদানের জন্য।

চলতি সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়—এমন সামগ্রীর জন্য দেওয়া প্রায় ৩০টি রপ্তানি লাইসেন্স অবিলম্বে স্থগিত করার ঘোষণা দেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শিল্প

মার্কিন সহায়তায় নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পও গড়ে তুলেছে ইসরায়েল এবং বর্তমানে বিশ্বের নবম বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে স্থান পেয়েছে। ইসরায়েল বড় পরিসরের হার্ডওয়্যারের পরিবর্তে উন্নত প্রযুক্তিগত সামরিক পণ্যগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

এসআইপিআরআইয়ের তথ্যমতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অস্ত্র বিক্রিতে ইসরায়েলের অবদান ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ইসরায়েলের কাছ থেকে অস্ত্র আমদানিকারক প্রধান তিনটি দেশ হলো ভারত (৩৭ শতাংশ), ফিলিপাইন (১২ শতাংশ) ও যুক্তরাষ্ট্র (৮ দশমিক ৭ শতাংশ)।

এই রপ্তানির মধ্যে আছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, রাডার ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধব্যবস্থা, ফায়ার ও অস্ত্র উৎক্ষেপণ সরঞ্জাম এবং ড্রোন ও এভিওনিক্স।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে, অর্থাৎ গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে ইসরায়েলের কাছ থেকে অত্যাধুনিক অ্যারো ৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনতে ৩৫০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছিল জার্মানি। এটি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে ব্যবহৃত হয়। সেটি ছিল ইসরায়েলের সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা রপ্তানি চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল যৌথভাবে এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করে।

ইসরায়েলে মার্কিন সামরিক মজুত

১৯৮৪ সালে আঞ্চলিক সংঘাতে সৈন্যদের সরবরাহের জন্য এবং জরুরী পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে অস্ত্রের দ্রুত সরবরাহের জন্য ইসরায়েলে একটি বিশাল মার্কিন অস্ত্র গুদাম স্থাপন করা হয়েছিল। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেই গুদাম থেকে মজুদ করা অস্ত্রও ইসরায়েলে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .