۲۵ آذر ۱۴۰۳ |۱۳ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 15, 2024
খুলনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী ও ইসলামী ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
খুলনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী ও ইসলামী ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হাওজা / ইমাম খোমেনি (রহ.) ১২ রবিউল আওয়াল থেকে ১৭ রবিউল আওয়ালকে ইসলাম ঐক্য সপ্তাহ হিসেবে ঘোষণা দেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের ইসলামি বিপ্লবের স্থপতি ও মহান নেতা ইমাম খোমেনি (রহ.) ১২ রবিউল আওয়াল থেকে ১৭ রবিউল আওয়ালকে ইসলাম ঐক্য সপ্তাহ হিসেবে ঘোষণা দেন। বর্তমানে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে এই ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তারই ধারাবহিকতায় খুলনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা.) এবং ইমাম জাফর সাদিক (আ.) এর পবিত্র জন্মদিবস ও ১২-১৭ রবিউল আওয়াল ইসলামী ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে নগরীর শিল্পকলা একাডেমীতে ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল ৩টায় আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী’র আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরানের আল-মোস্তাফা (সা.) আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের মাননীয় প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন জনাব ড. শাহাবুদ্দীন মাশায়েখী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে খুলনা তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ.এফ.এম. নাজমুস সাউদ, সম্মিলিত ওলামা কেরাম খুলনা এর সভাপতি মাওলানা ইব্রাহিম ফাইজুল্লাহ ও খুলনা আহসানউল্লাহ কলেজ এর অধ্যাপক মাওলানা আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
উক্ত আলোচনা সভায় মূ্খ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আইনজীবি এ্যাডভোকেট ড. মোঃ জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মহানবী (স.) রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন। তিনি শুধু মুসলমানদের জন্য রহমত ছিলেন তা নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যও তিনি রহমত স্বরূপ ছিলেন। ইসলামের শত্রুরা আমাদেরকে বিভিন্ন নামে বিভক্ত করে আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে। আমাদের উপর কর্তৃত্ব করার জন্য তারা এ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। অথচ যদি খ্রিস্টানদের দিকে তাকাই তাদেরকে বাইরে থেকে দেখলে একদল মনে হলেও আসলে কি তাদের মাঝে কোনো বিভক্তি নেই? আমরা মুসলমানরা কেন আজ দলে দলে বিভক্ত? শিয়া সুন্নি উভয়েরই প্রভু আল্লাহ। আমাদের কুরআন এক, নবী এক, তাহলে এত ভেদাভেদ কেন? আমাদেরকে এসব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজ মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশের শাসকরা ইসলামের পতাকাবাহী বলে নিজেদেরকে দাবি করে, তাদেরকে জাতিসংঘের সভাগুলোতে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলতে দেখা যায় না। এছাড়ও বক্তারা বলেন, ইসলামি বিশ্ব হচ্ছে একই দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো বা একটি সমন্বিত পরিবারের ন্যায় যার শেকড় অনেক গভীরে এবং এর সংযোগ স্থাপনকারী শাক্তিশালী উপাদান রয়েছে যা কিনা এই বৃহৎ ধর্মীয় পরিবারকে সুদৃঢ় (সমন্বিত) ও শক্তিশালী করতে পারে এবং সদা-সর্বদা ও সর্বত্র একত্র রাখতে পারে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের আল্লাহর রজ্জুকে আকড়ে ধরতে হবে। তিনি আরো বলেন, আজ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা মোকাবেলায় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .